ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মতলব দক্ষিণে দাঁড়িপাল্লা মার্কার উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo লাকসামে বিএনপির মহিলা দলের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo বৈশ্বিক মন্থরতাকে পেছনে ফেলে স্থির অগ্রযাত্রায় চীনের অর্থনীতি Logo বেইজিং সম্মেলনে উচ্চমানের সংস্কার ও উন্মুক্ততার ওপর জোর Logo সমন্বিত পদক্ষেপে বিশ্ব প্রশাসন উন্নয়নে নতুন গতি Logo পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ পাচারকারী আটক Logo কটিয়াদীতে স্বপ্নছোঁয়া ফ্রেন্ডস ক্লাবের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ Logo ঢাকার বুকে ছত্রীসেনার থাবা, আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি; বিজয়ের আলোছায়ার দিন Logo স্বাস্থ্যই মুক্তির লড়াই: বৈষম্যহীন ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা”

সমন্বিত পদক্ষেপে বিশ্ব প্রশাসন উন্নয়নে নতুন গতি

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৭:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধিদল ৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে “বিশ্ব প্রশাসন বন্ধুদল” (সংক্ষেপে ‘ফ্রেন্ডস গ্রুপ’ বা বন্ধুদল) চালু করার লক্ষ্যে এক সভার আয়োজন করে। এই সভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ফু ছুং এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ফু ছুং বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘গ্লোবাল গভর্নেন্স’ বা বিশ্ব প্রশাসন বিষয়ক প্রস্তাবনা পেশ করেছেন, যা পাঁচটি মূল ধারণার ওপর গুরুত্ব দেয়। এগুলো হলো সার্বভৌমত্বের সমতা মেনে চলা, আন্তর্জাতিক আইনের শাসন অনুসরণ করা, বহুপক্ষবাদ চর্চা করা, মানবকেন্দ্রিকতা বজায় রাখা এবং কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দেওয়া। এটি বিশ্বের জন্য চীন প্রদত্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ‘গণপণ্য’ এবং বিশ্ব প্রশাসন সংস্কার ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের প্রজ্ঞা ও সমাধানের প্রতিফলন।

বিশ্ব প্রশাসন প্রস্তাবনার নেতৃত্বে চীন এই ‘ফ্রেন্ডস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। এর উদ্দেশ্য হলো—সব পক্ষের সঙ্গে একযোগে বিশ্ব প্রশাসন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার করা এবং আরও ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত বিশ্ব প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়াস চালানো। চীন গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করে এর কাঠামোগত উন্নয়ন, সহযোগিতা গভীর করা এবং বিশ্ব প্রশাসন সংস্কার ও উন্নয়নে অবদান রাখতে ইচ্ছুক।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সভায় সক্রিয়ভাবে বক্তব্য রাখেন। তাঁরা বিশ্ব প্রশাসন প্রস্তাবনাকে উচ্চমাত্রায় স্বীকৃতি ও সমর্থন জানান এবং ‘ফ্রেন্ডস গ্রুপ’-এর প্রতিষ্ঠাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তাঁরা বিশ্ব প্রশাসন প্রক্রিয়ায় চীনের নেতৃত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। তাঁরা প্রত্যাশা করেন, এই গ্রুপ নীতিগত সংলাপ ও বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করে বহুপক্ষবাদ রক্ষা এবং বিশ্ব প্রশাসন সংস্কার ও উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তি জোগাবে।

সভা শেষে ‘ফ্রেন্ডস গ্রুপ’ একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে জোর দিয়ে বলা হয়, এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠা বিশ্ব প্রশাসন প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সব পক্ষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়লব্ধ ফলাফল একসঙ্গে রক্ষা করবে, জাতিসংঘের ভূমিকাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানাবে, বিশ্ব প্রশাসন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আরও সমমনা দেশকে অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাবে।

সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব দক্ষিণে দাঁড়িপাল্লা মার্কার উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

সমন্বিত পদক্ষেপে বিশ্ব প্রশাসন উন্নয়নে নতুন গতি

আপডেট সময় ০৭:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধিদল ৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে “বিশ্ব প্রশাসন বন্ধুদল” (সংক্ষেপে ‘ফ্রেন্ডস গ্রুপ’ বা বন্ধুদল) চালু করার লক্ষ্যে এক সভার আয়োজন করে। এই সভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ফু ছুং এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ফু ছুং বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘গ্লোবাল গভর্নেন্স’ বা বিশ্ব প্রশাসন বিষয়ক প্রস্তাবনা পেশ করেছেন, যা পাঁচটি মূল ধারণার ওপর গুরুত্ব দেয়। এগুলো হলো সার্বভৌমত্বের সমতা মেনে চলা, আন্তর্জাতিক আইনের শাসন অনুসরণ করা, বহুপক্ষবাদ চর্চা করা, মানবকেন্দ্রিকতা বজায় রাখা এবং কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দেওয়া। এটি বিশ্বের জন্য চীন প্রদত্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ‘গণপণ্য’ এবং বিশ্ব প্রশাসন সংস্কার ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের প্রজ্ঞা ও সমাধানের প্রতিফলন।

বিশ্ব প্রশাসন প্রস্তাবনার নেতৃত্বে চীন এই ‘ফ্রেন্ডস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। এর উদ্দেশ্য হলো—সব পক্ষের সঙ্গে একযোগে বিশ্ব প্রশাসন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার করা এবং আরও ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত বিশ্ব প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়াস চালানো। চীন গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করে এর কাঠামোগত উন্নয়ন, সহযোগিতা গভীর করা এবং বিশ্ব প্রশাসন সংস্কার ও উন্নয়নে অবদান রাখতে ইচ্ছুক।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সভায় সক্রিয়ভাবে বক্তব্য রাখেন। তাঁরা বিশ্ব প্রশাসন প্রস্তাবনাকে উচ্চমাত্রায় স্বীকৃতি ও সমর্থন জানান এবং ‘ফ্রেন্ডস গ্রুপ’-এর প্রতিষ্ঠাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তাঁরা বিশ্ব প্রশাসন প্রক্রিয়ায় চীনের নেতৃত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। তাঁরা প্রত্যাশা করেন, এই গ্রুপ নীতিগত সংলাপ ও বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করে বহুপক্ষবাদ রক্ষা এবং বিশ্ব প্রশাসন সংস্কার ও উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তি জোগাবে।

সভা শেষে ‘ফ্রেন্ডস গ্রুপ’ একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে জোর দিয়ে বলা হয়, এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠা বিশ্ব প্রশাসন প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সব পক্ষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়লব্ধ ফলাফল একসঙ্গে রক্ষা করবে, জাতিসংঘের ভূমিকাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানাবে, বিশ্ব প্রশাসন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আরও সমমনা দেশকে অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাবে।

সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।