ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হাদির উপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে ২ জনকে কুপিয়ে জখম Logo ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় মুরাদনগরে দোয়া মাহফিল Logo রাণীনগরে ৬০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo কালীগঞ্জে অপহরণের ১৬ ঘন্টা পর এক যুবককে উদ্ধার, তিন অপহরণকারী গ্রেফতার Logo শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার পর সীমান্তে বিজিবির কড়া নিরাপত্তা Logo দীগলটারীতে ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের পাঁচ শতাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ Logo নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু  Logo লাকসাম গোবিন্দপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশ Logo শাহরাস্তি পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবি Logo বুড়িচংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ছিন্ন বিছিন্ন দেহ উদ্ধার

দীগলটারীতে ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের পাঁচ শতাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীগলটারী এলাকায় ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ দীর্ঘ সাত বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিদের একের পর এক আশ্বাস ও নতুন সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে আজও নির্মাণ হয়নি সেতুটি।

ভারত থেকে নেমে আসা গিরিধর নদীর পানিপ্রবাহ বয়ে যায় দালাইলামা ছড়ার ওপর দিয়ে। এই ছড়ার ওপর নির্মিত সেতুটি ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হলেও মাত্র এক বছরের মাথায় ২০১৭সালের বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর থেকেই সেতুটির খণ্ডিত অংশ পানিতে ডুবে আছে। সেতুর বাকি অংশ চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ফলে ডিগ্রিচর ও দীগলটারী এলাকার মানুষের রাস্তাঘাট কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে, দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ বছরের পর বছর বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী, শিক্ষার্থী ও কৃষকরা। অসুস্থ রোগীকে কাঁধে করে নদী পার করা, স্কুল-কলেজের পথে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা এবং কৃষিপণ্য ঘরে তুলতে অতিরিক্ত ভোগান্তি-সবই এখন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পাঁচ-সাত শ’ মানুষ এখানে বসবাস করি। সেতু ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আমাদের স্থায়ী দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।

রোগীর সেবায় ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। সেতুটি দ্রুত পুনঃনির্মাণ করার দাবি জানাই।’

কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেতুর অভাবে ফসল আনা-নেয়া করতে সমস্যায় পড়তে হয়। কাদা-পানি মাড়িয়ে কাঁধে করে ফসল বহন করতে হয়। শ্রমিক খরচও বেড়ে যায়।’ শিক্ষক নূর আলম বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে সবাই আসে, সেতু বানিয়ে দেবেন বলে কথা দেন। কিন্তু ভোট শেষে কেউ আর কথা রাখেন না।’

এ বিষয়ে লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আলম জানান, সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদির উপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে ২ জনকে কুপিয়ে জখম

SBN

SBN

দীগলটারীতে ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের পাঁচ শতাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ

আপডেট সময় ১০:০৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীগলটারী এলাকায় ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ দীর্ঘ সাত বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিদের একের পর এক আশ্বাস ও নতুন সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে আজও নির্মাণ হয়নি সেতুটি।

ভারত থেকে নেমে আসা গিরিধর নদীর পানিপ্রবাহ বয়ে যায় দালাইলামা ছড়ার ওপর দিয়ে। এই ছড়ার ওপর নির্মিত সেতুটি ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হলেও মাত্র এক বছরের মাথায় ২০১৭সালের বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর থেকেই সেতুটির খণ্ডিত অংশ পানিতে ডুবে আছে। সেতুর বাকি অংশ চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ফলে ডিগ্রিচর ও দীগলটারী এলাকার মানুষের রাস্তাঘাট কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে, দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ বছরের পর বছর বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী, শিক্ষার্থী ও কৃষকরা। অসুস্থ রোগীকে কাঁধে করে নদী পার করা, স্কুল-কলেজের পথে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা এবং কৃষিপণ্য ঘরে তুলতে অতিরিক্ত ভোগান্তি-সবই এখন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পাঁচ-সাত শ’ মানুষ এখানে বসবাস করি। সেতু ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আমাদের স্থায়ী দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।

রোগীর সেবায় ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। সেতুটি দ্রুত পুনঃনির্মাণ করার দাবি জানাই।’

কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেতুর অভাবে ফসল আনা-নেয়া করতে সমস্যায় পড়তে হয়। কাদা-পানি মাড়িয়ে কাঁধে করে ফসল বহন করতে হয়। শ্রমিক খরচও বেড়ে যায়।’ শিক্ষক নূর আলম বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে সবাই আসে, সেতু বানিয়ে দেবেন বলে কথা দেন। কিন্তু ভোট শেষে কেউ আর কথা রাখেন না।’

এ বিষয়ে লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আলম জানান, সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।