
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ছিউশি জার্নাল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, চীনা প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধ ‘অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণ একটি কৌশলগত পদক্ষেপ’ প্রকাশিত হবে। এতে ২০১৫ সাল অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রবন্ধে লেখা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা উভয়ের সাথে সম্পর্কিত, এটি একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি কৌশলগত বাস্তবায়ন চীনা অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই ও সুস্থ উন্নয়ন বজায় রাখা এবং উন্নত জীবনের জন্য জনগণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে প্রয়োজন। আমাদের উচিত অভ্যন্তরীণ চাহিদা, বিশেষ করে ভোগের সীমাবদ্ধতা দূর করা, যাতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি ও স্থিতিশীলতার নোঙর হয়ে উঠবে
প্রবন্ধে জোর দিয়ে বলা হয়, চীনের দেশীয় অর্থনীতির সুবিধা হল অভ্যন্তরীণ সঞ্চালন। আমাদের উচিত উৎপাদন, বিতরণ, সঞ্চালন, ভোগসহ বিভিন্ন পর্যায় দেশীয় বাজারের উপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে সুস্থ ও কার্যকর চক্র তৈরি করা। অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণ ও উন্মুক্তকরণ পরস্পরবিরোধী নয়। অভ্যন্তরীণ চক্র যত মসৃণ হয়, বৈশ্বিক সম্পদ ও উত্পাদনের কারণগুলোর প্রতি এর আকর্ষণ তত বেশি শক্তিশালী হবে, অভ্যন্তরীণ চক্রকে মূল ভিত্তি হিসেবে রেখে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চক্র পারস্পারিকভাবে শক্তিশালী করার নতুন কাঠামো তৈরি করা তত বেশি সহায়ক হবে, এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ও সহযোগিতায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে তত বেশি নতুন সুবিধা তৈরি হবে।
প্রবন্ধে আরও বলা হয়, বর্তমান অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বন্দ্ব হল অপর্যাপ্ত সামগ্রিক চাহিদা। আমাদের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ চাহিদা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা, সামাজিক নিরাপত্তা উন্নত করা, আয় বণ্টন কাঠামো সর্বোত্তম করা, বিনিয়োগ ব্যবস্থা উন্নত ও সম্প্রসারিত করা, সরবরাহ-পক্ষের কাঠামোগত সংস্কার আরও গভীর করা এবং জনগণের জীবিকা উন্নত করা। সূত্র : সিএমজি।
আন্তর্জাতিক: 
























