
শাহিন আলম আশিক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ একটি অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ নির্বাসন আর ষড়যন্ত্রের পাহাড় ডিঙিয়ে দেশনায়ক তারেক রহমান যখন প্রিয় মাতৃভূমির মাটিতে পা রাখলেন, তখন সৃষ্টি হলো এক নতুন ইতিহাসের।
আভিজাত্য নয়, বিনয়ই যাঁর পরিচয়
ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, “যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উচ্চাসনে আসীন করেন।” (মিশকাত)। তারেক রহমানের মাঝে সেই বিনয়ের প্রতিফলন দেখা গেল বিমানবন্দরে নামার পর। লক্ষ জনতার ভিড় ঠেলে বেরিয়ে তিনি যখন জুতো খুলে নগ্ন পায়ে দাঁড়ালেন এবং দুই হাতে জন্মভূমির পবিত্র মাটি তুলে নিলেন, তখন প্রমাণিত হলো—তিনি ক্ষমতার মোহে নয়, বরং নাড়ির টানে ফিরেছেন। মাটির তৈরি মানুষ মাটির স্পর্শে এসে যেন দীর্ঘ প্রবাস জীবনের সব ক্লান্তি মুছে ফেললেন।
এক সংক্ষুব্ধ জীবনের নাম: তারেক রহমান
তিনি কেবল শহীদ জিয়ার রক্ত আর দেশনেত্রীর উত্তরসূরি নন; তিনি এক জীবন্ত সংগ্রাম।
শৈশবের বন্দিদশা: ১৯৭১-এর রণাঙ্গনে শিশুকালেই পাকিস্তানি জান্তার বন্দিশালা।
যৌবনের কারাবরণ: ওয়ান-ইলেভেনের অমানবিক নির্যাতন।
নির্বাসিত জীবন: দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় বিদেশের মাটিতে থেকেও এক মুহূর্তের জন্য দেশের মানুষকে ভুলে যাননি।
ইসলামের মহান শিক্ষা—”দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ”। সেই প্রেমের টানেই ডিজিটাল বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি তৃণমূলের লক্ষ লক্ষ কর্মীকে সুসংগঠিত করেছেন, যা আধুনিক রাজনীতির ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা।
আগামীর স্বপ্ন ও ইনসাফ কায়েম
তারেক রহমানের ঘোষিত ‘৩১ দফা’ সংস্কার প্রস্তাব মূলত সমাজে ইনসাফ বা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক রূপরেখা। তিনি এমন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন যেখানে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন—যা ইসলামের অন্যতম মূলমন্ত্র ‘আদল’ বা ন্যায়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফুট পর্যন্ত বিস্তৃত যে জনসমুদ্র দেখা গেছে, তা কেবল একজন নেতার প্রত্যাবর্তন নয়; তা ছিল নির্যাতিত মজলুম জনতার দীর্ঘশ্বাসের মুক্তি। মাটির সন্তান মাটিতেই ফিরে এসেছেন। ইনশাআল্লাহ, তাঁর এই ফেরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক নতুন ও উজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করবে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 





















