
জাপানি মন্ত্রিসভা ২০২৬ অর্থবছরের জন্য ৯ ট্রিলিয়ন ইয়েনের বেশি একটি প্রতিরক্ষা বাজেট পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। আগামী বছর জাপানি পার্লামেন্টে এই পরিকল্পনা পাস হলে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যয় আবারও সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছাবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে পদদলিত করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির ধারাবাহিক উস্কানিমূলক মন্তব্যের পর, দেশটির ডানপন্থী শক্তিগুলো সামরিক বিধিনিষেধ থেকে ‘মুক্তি’ পাওয়ার অপচেষ্টা জোরদার করেছে। এ প্রেক্ষাপটে সিজিটিএন পরিচালিত একটি বৈশ্বিক জনমত জরিপে ১৭,০৪৩জন উত্তরদাতা অংশ নেন।
জরিপে দেখা গেছে, ৮১.৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সানায়ে তাকাইচিকে ‘ইতিহাস বিকৃতকারী’, ‘শান্তি বিনষ্টকারী’ এবং ‘কুটিল উস্কানিদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তারা জাপানি ডানপন্থী শক্তিগুলোর সামরিকবাদ পুনরুজ্জীবনের বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী উত্তরদাতাদের মধ্যে ৮৩ শতাংশেরও বেশি মানুষ এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সানায়ে তাকাইচি বারবার ইয়াসুকুনি সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ১৪জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীকে সমাহিত করা হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৮ শতাংশ মনে করেন, জাপানি ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের বারবার ইয়াসুকুনি সমাধি পরিদর্শন তাদের আগ্রাসনের ইতিহাসকে অস্বীকার করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জনগণের প্রতি চরম উস্কানি।
৮৭.৭ শতাংশ উত্তরদাতা ঐতিহাসিক বিষয়গুলো মোকাবিলায় জাপানের জঘন্য আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন এবং এটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের ফলাফল ও যুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন। ৮৯.৪ শতাংশ উত্তরদাতা জাপানি সরকারকে ইতিহাস সংক্রান্ত বিষয়ে কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া, এশীয় দেশগুলোর ৮৬.৭ শতাংশ উত্তরদাতা উল্লেখ করেছেন যে, কেবল নিজেদের ইতিহাসকে সঠিকভাবে স্বীকার ও মোকাবিলার মাধ্যমেই জাপান একটি স্বাভাবিক রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক সমাজে ফিরে আসতে পারে।
সূত্র : সিজিটিএন- সিএমজি।
আন্তর্জাতিক: 
























