
শেখ জাহিদ, ঝালকাঠি
ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের বারৈয়ারা গ্রামে বস্তায় আদা চাষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ কর্মসূচির আওতায় সোমবার আদা কর্তন করা হয়।
কর্তনকালে দেখা গেছে, প্রতিটি বস্তায় গড়ে ৯০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত আদা উৎপাদন হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ফলন চাষের দিক থেকে অত্যন্ত সন্তোষজনক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আহম্মদ বলেন,
“ঝালকাঠি সদর উপজেলায় এ বছর প্রায় ১০০ জন কৃষক বস্তায় আদা চাষ করেছেন। পতিত ছায়াযুক্ত জায়গায় কম খরচে অধিক লাভ পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এই পদ্ধতি বসতবাড়ির ছায়াযুক্ত জায়গার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।”
কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, “অল্প জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। এতে খরচ কম, লাভ বেশি—আগামী মৌসুমেও এই চাষ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।”
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইয়েদ মোর্শেদ জানান, “কৃষকদের আধুনিক ও লাভজনক চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও বেশি কৃষককে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।”
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি জনপ্রিয় হলে বসতবাড়ির ছায়াযুক্ত পতিত জমিটুকু মসলা জাতীয় ফসল চাষাবাদের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং জাতীয় পর্যায়ে মসলা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। পাশাপাশি এটি কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতেও বিশেষ অবদান রাখবে।
বারি-২ আদা চাষে এই পদ্ধতি কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 

























