ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ Logo আবুধাবিতে ওয়াং ই–শেখ আবদুল্লাহ বৈঠক Logo ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে—রণাঙ্গনে চূড়ান্ত আঘাতের দিন

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান কারাগারে

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

রোববার (১৯ মার্চ) সকালে লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-৩ এর বিচারক ইকবাল হাসান উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের জামিন নামঞ্জুর করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, লালমিনরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বরাদ্দের টিআর ও কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের ভাগাভাগি নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সরকারি বরাদ্দের ৮০ শতাংশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও বাকি ২০ শতাংশ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন উপজেলা পরিষদ। ২০ শাতাংশ পান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান।

২০২২-২৩ অর্থ বছরের টিআর ও কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের ২০ শতাংশের ভাগাভাগি নিয়ে গত ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের অফিসে দুই ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরুর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।

এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার উপজেলা চেয়ারম্যানকে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন অফিস ত্যাগ করে চলে যান।

পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা এসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের অফিস ভাঙচুর করেন। এসময় খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর সোমবার রাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনকে প্রধান করে আটজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৪/১৫ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার। মামলাটি হাতীবান্ধা থানায় নথিভুক্ত না করায় গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার।

আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে হাতীবান্ধা থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি নথিভুক্ত করে পুলিশ।

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান। এরপর নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার বাদী হাতীবান্ধা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

লালমনিরহাট জেলা কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর নুরুজ্জামান বলেন, হাতীবান্ধার একটি মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করলে আমরা তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ

SBN

SBN

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান কারাগারে

আপডেট সময় ০২:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

রোববার (১৯ মার্চ) সকালে লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-৩ এর বিচারক ইকবাল হাসান উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের জামিন নামঞ্জুর করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, লালমিনরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বরাদ্দের টিআর ও কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের ভাগাভাগি নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সরকারি বরাদ্দের ৮০ শতাংশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও বাকি ২০ শতাংশ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন উপজেলা পরিষদ। ২০ শাতাংশ পান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান।

২০২২-২৩ অর্থ বছরের টিআর ও কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের ২০ শতাংশের ভাগাভাগি নিয়ে গত ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের অফিসে দুই ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরুর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।

এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার উপজেলা চেয়ারম্যানকে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন অফিস ত্যাগ করে চলে যান।

পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা এসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের অফিস ভাঙচুর করেন। এসময় খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর সোমবার রাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনকে প্রধান করে আটজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৪/১৫ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার। মামলাটি হাতীবান্ধা থানায় নথিভুক্ত না করায় গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার।

আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে হাতীবান্ধা থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি নথিভুক্ত করে পুলিশ।

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান। এরপর নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার বাদী হাতীবান্ধা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

লালমনিরহাট জেলা কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর নুরুজ্জামান বলেন, হাতীবান্ধার একটি মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করলে আমরা তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছি।