ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাঘাইছড়ি উপজেলায় বন্যা দুর্গত ৫০০ টি পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ Logo মুরাদনগরে খেলার মাঠে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী Logo চান্দিনা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অস্বাভাবিক বরাদ্দ Logo আশ্রয়ণ প্রকল্পের থাকা চিত্রনায়িকা বনশ্রী আর নেই Logo এনসিপি নেতা নাহিদের ওপর প্রকাশ্য হত্যার হুমকি Logo নীলফামারীতে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo মনোহরগঞ্জে ৪ গাড়ির সংঘর্ষে নিহত ১ Logo ঝিনাইগাতীতে তিন ফার্মিসিতে জরিমানা Logo প্রবাসী ছেলেদের কোটি টাকার মালিকানা, তবুও ভাত খাওয়ায়নি কেউ : অবহেলায় মায়ের মৃত্যু Logo গাইবান্ধায় নদী থেকে স্কুল শিক্ষিকার ভাসমান লাশ উদ্ধার

রোজা রেখে রক্ত দেওয়া যাবে কি?

রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত দিলে রোজা ভাঙবে না। তবে কেউ যদি শারীরিকভাবে এমন দুর্বল হয় যে, রক্ত দিলে সে রোজা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেলবে- তাহলে তার জন্য রক্ত দেওয়া মাকরুহ। -আহসানুল ফাতাওয়া: ৪/৪৩৫।হজরত আকরামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) হজের জন্য ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন এবং রোজা অবস্থায়ও শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন।অন্য হাদিসে হজরত সাবিত আল বানানী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আনাস বিন মালেককে (রা.) জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে, রোজাদারের জন্য শরীর থেকে শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করাকে আপনি কি অপছন্দ করেন? জবাবে তিনি বলেন, না, আমি অপছন্দ করি না।তবে দুর্বল হয়ে পড়ার ভয় থাকলে ভিন্ন কথা। -সহিহ বোখারি: ১/২৬০ তাছাড়া রক্তদান একজন রোগীর সেবার অন্তর্ভুক্ত। কারণ পবিত্র কোরআনে আছে, যে ব্যক্তি কোনো মানুষের জীবন রক্ষা করল, সে যেন পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করল। অতএব রোজা ভেঙে যাওয়ার কোনো প্রকার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে মানবসেবার তরে রমজান মাসে রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকা উচিত। এতে করে রোজার সওয়াবের পাশাপাশি মানবসেবার সওয়াবও পাওয়া যাবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঘাইছড়ি উপজেলায় বন্যা দুর্গত ৫০০ টি পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ

SBN

SBN

রোজা রেখে রক্ত দেওয়া যাবে কি?

আপডেট সময় ০১:৫৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত দিলে রোজা ভাঙবে না। তবে কেউ যদি শারীরিকভাবে এমন দুর্বল হয় যে, রক্ত দিলে সে রোজা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেলবে- তাহলে তার জন্য রক্ত দেওয়া মাকরুহ। -আহসানুল ফাতাওয়া: ৪/৪৩৫।হজরত আকরামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) হজের জন্য ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন এবং রোজা অবস্থায়ও শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন।অন্য হাদিসে হজরত সাবিত আল বানানী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আনাস বিন মালেককে (রা.) জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে, রোজাদারের জন্য শরীর থেকে শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করাকে আপনি কি অপছন্দ করেন? জবাবে তিনি বলেন, না, আমি অপছন্দ করি না।তবে দুর্বল হয়ে পড়ার ভয় থাকলে ভিন্ন কথা। -সহিহ বোখারি: ১/২৬০ তাছাড়া রক্তদান একজন রোগীর সেবার অন্তর্ভুক্ত। কারণ পবিত্র কোরআনে আছে, যে ব্যক্তি কোনো মানুষের জীবন রক্ষা করল, সে যেন পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করল। অতএব রোজা ভেঙে যাওয়ার কোনো প্রকার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে মানবসেবার তরে রমজান মাসে রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকা উচিত। এতে করে রোজার সওয়াবের পাশাপাশি মানবসেবার সওয়াবও পাওয়া যাবে।