এক ক্রেতা জানান, মুরগি, মাংস মাসে একবার কেনা হয়। আর কিনতেই পারি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে চলা কঠিন হবে।
অপর ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের দাম একটু কমলে ভালো হয়। এতে চলা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। খাওয়া কমিয়ে দিতে হচ্ছে।
তবে দাম বাড়ার পেছনে খুচরা ব্যবসায়ীরা কোনো কারণ খুঁজে না পেলেও আমদানিকারকরা বলছেন, পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে দাম বাড়ছে। তাদের আশঙ্কা, আমদানি বন্ধ থাকলে সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।
দেশ কৃষকদের উৎপাদন করা পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে গত ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। আমদানি বন্ধ থাকায় গত তিন সপ্তাহে হিলিতে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে রাজধানীর বাজারগুলোয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়।
আগে থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া আদা ও রসুনের দামও বেড়েছে। দেশি ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি আদা কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আমদানি করা আদা কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবির গতকালের বাজারদরের তালিকায়ও পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রমাণ মিলেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজধানীর বাজারগুলোয় গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, বর্তমানে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। আর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। আমদানি করা রসুন আগের নির্ধারিত দামে কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।