
যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদরের বকচর এলাকায় পরকীয়ার জেরে বউয়ের হাতে স্বামী খুনঃ র্যাব-৬, যশোর এর অভিযানে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং হত্যায় সহায়তাকারী প্রেমিক রবিউল ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার।
যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বকচর এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে ভিকটিম জহির হাসান গাজী (৪২)’কে গত ইং ০৯ মে রাতে তার স্ত্রী সেফালী বেগম (৩৩) ও তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক রবিউল ইসলাম (৪২) পরষ্পর সহযোগীতায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রথমে খাবার পানিতে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে এবং পরবর্তীতে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করে। হত্যাকারী ভিকটিমের স্ত্রী উক্ত হত্যাকে ধামাচাপা দিতে ‘‘ঘুমের মাঝে স্ট্রোক করে ভিকটিম জহির হোসেন (৪২) মারা গেছে বলে প্রচার করে’’ কিন্তু এলাকাবাসী ভিকটিমের বাম হাতে ইকজেকশন পুশ করাসহ সন্দেহজনক চিহ্ন দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধারসহ ভিকটিমের স্ত্রী সেফালী বেগম (৩৩)’কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়। উক্ত ঘটনা সম্পর্কে র্যাব-৬, যশোর অবহিত হয়েই তাৎক্ষনিক র্যাবের একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌছে বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধান করে জানতে পারে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী সেফালী বেগম (৩৩) ও তার প্রেমিক রবিউল ইসলাম (৪২) ভিকটিম জহির হোসেন’কে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করে। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার পরপরই আত্মগোপনে থাকা হত্যাকারী পরকীয়া প্রেমিক রবিউল ইসলাম (৪২)’কে র্যাব-৬, যশোরের একটি আভিযানিক দল গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আত্মগোপনে থাকা হত্যাকারী পরকীয়া প্রেমিক এর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১০ মে ২০২৩ তারিখ দুপুর ১৫০০ ঘটিকায় র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শংকরপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আত্মগোপনে থাকা হত্যার পরিকল্পনা এবং সহায়তাকারী পরকীয়া প্রেমিক মৃত আ: সরদারের পুত্র মোঃ রবিউল (৪২), কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বাড়ি খুলনা পাইকগাছা।
যশোর র্যাব -৬ কোম্পানির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান,
আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং সে জানায় তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটনার দিন প্রথমে খাবার পানিতে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ভিকটিমকে অচেতন করে, পরে মোবাইলের ব্যাটারীর ভেতরের গুড়া এসিড পানিতে মিশিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে হাতে পুশ করে, ফলে ভিকটিমের মৃত্যু হয়।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 


























