ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বরুড়ায় ৩মাসে ১৩০টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করেছে এএসআই নয়ন

স্টাফ রিপোর্টার: বরুড়া থানার এএসআই নয়ন মিয়া। হারানো মোবাইল খুঁজে বের করাই যার অন্যতম নেশা। কর্মজীবনের ১ বছরের মধ্যে ছিনতাই অথবা হারিয়ে যাওয়া অন্তত পাঁচশতটি মোবাইল খুঁজে তিনি তুলে দিয়েছেন প্রকৃত গ্রাহকের হাতে।

মোবাইল হারানোর সাধারণ ডায়েরি হলেই ডাক পড়ে তার। পানিতে স্বর্ণ খোঁজার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ততায় কখন সকাল গড়িয়ে দুপুর বা বিকেল হয় তা খুব একটা টের পান না।

২রা মে ২০০৮ সালে কনস্টেবল হিসেবে কর্মজীবন শুরু নয়নের। ২০১৫ সালে এএসআই পদে পদোন্নতি পান। এএসআই হওয়ার পর তিনি থানায় দেখেন অনেক অভিযোগ আসে মোবাইল হারানো বিষয় নিয়ে। এই সমাধানের মধ্যে দিয়ে মানুষের উপকার করা যায়। তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতা নিয়ে হারানো মোবাইল উদ্ধারের কাজে নেমে যান নয়ন মিয়া। প্রথমে একটু কষ্টসাধ্য বিষয় ছিলো। গত ১বছর ধরে ছিনতাই ও হারানো মোবাইল উদ্ধারের নেশায় কাজ করছেন তিনি। কোনোটিতে সময় নিয়েছেন ১সপ্তাহ কোনোটির জন্য লেগে ছিলেো ১বছর।

এএসআই নয়ন মিয়া ২৩শে আগষ্ট ২০২২ সালে কুমিল্লা জেলা বরুড়া থানায় যোগদান করেন। বরুড়াতে যোগদানের পর ৩মাসে ১৩০টি ছিনতাই এবং হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে দিয়েছেন প্রকৃত গ্রাহকের হাতে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোবাইল হারানো অভিযোগ আসে এএসআই নয়নের কাছে।

মোবাইল হারানোর কয়েকজন ব্যক্তি মোবাইল পেয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন। তারা কল্পনা করেননি যে আসলে মোবাইল পাওয়া যাবে। মোবাইল পেয়ে তারা বরুড়া থানা পুলিশকে অভিনন্দন জানান।

এএসআই নয়ন বলেন, বরুড়া থানায় যোগদান করার পর, হারানো মোবাইল নিয়ে অনেক অভিযোগ আসে। বরুড়া থানা ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় হারানো মোবাইল উদ্ধার করার কাজে নেমে যাই। তিনি আরও বলেন, মোবাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, শখের জিনিস। মোবাইল যখন হারিয়ে যায়। মানুষ থানায় জিডি করে, আমরা তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যমে সেটি বের করে প্রকৃত গ্রাহকের হাতে তুলে দেই। সেখানে আমি তৃপ্তি পাই।

এই বিষয়ে বরুড়া থানা ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতায় এসআই নয়ন হারানো ও ছিনতাই মোবাইল উদ্ধার করেন। বরুড়া থানায় গত ৩মাসে ১৩০টি ছিনতাই ও হারানো মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বরুড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

SBN

SBN

বরুড়ায় ৩মাসে ১৩০টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করেছে এএসআই নয়ন

আপডেট সময় ০২:০৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার: বরুড়া থানার এএসআই নয়ন মিয়া। হারানো মোবাইল খুঁজে বের করাই যার অন্যতম নেশা। কর্মজীবনের ১ বছরের মধ্যে ছিনতাই অথবা হারিয়ে যাওয়া অন্তত পাঁচশতটি মোবাইল খুঁজে তিনি তুলে দিয়েছেন প্রকৃত গ্রাহকের হাতে।

মোবাইল হারানোর সাধারণ ডায়েরি হলেই ডাক পড়ে তার। পানিতে স্বর্ণ খোঁজার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ততায় কখন সকাল গড়িয়ে দুপুর বা বিকেল হয় তা খুব একটা টের পান না।

২রা মে ২০০৮ সালে কনস্টেবল হিসেবে কর্মজীবন শুরু নয়নের। ২০১৫ সালে এএসআই পদে পদোন্নতি পান। এএসআই হওয়ার পর তিনি থানায় দেখেন অনেক অভিযোগ আসে মোবাইল হারানো বিষয় নিয়ে। এই সমাধানের মধ্যে দিয়ে মানুষের উপকার করা যায়। তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতা নিয়ে হারানো মোবাইল উদ্ধারের কাজে নেমে যান নয়ন মিয়া। প্রথমে একটু কষ্টসাধ্য বিষয় ছিলো। গত ১বছর ধরে ছিনতাই ও হারানো মোবাইল উদ্ধারের নেশায় কাজ করছেন তিনি। কোনোটিতে সময় নিয়েছেন ১সপ্তাহ কোনোটির জন্য লেগে ছিলেো ১বছর।

এএসআই নয়ন মিয়া ২৩শে আগষ্ট ২০২২ সালে কুমিল্লা জেলা বরুড়া থানায় যোগদান করেন। বরুড়াতে যোগদানের পর ৩মাসে ১৩০টি ছিনতাই এবং হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে দিয়েছেন প্রকৃত গ্রাহকের হাতে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোবাইল হারানো অভিযোগ আসে এএসআই নয়নের কাছে।

মোবাইল হারানোর কয়েকজন ব্যক্তি মোবাইল পেয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন। তারা কল্পনা করেননি যে আসলে মোবাইল পাওয়া যাবে। মোবাইল পেয়ে তারা বরুড়া থানা পুলিশকে অভিনন্দন জানান।

এএসআই নয়ন বলেন, বরুড়া থানায় যোগদান করার পর, হারানো মোবাইল নিয়ে অনেক অভিযোগ আসে। বরুড়া থানা ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় হারানো মোবাইল উদ্ধার করার কাজে নেমে যাই। তিনি আরও বলেন, মোবাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, শখের জিনিস। মোবাইল যখন হারিয়ে যায়। মানুষ থানায় জিডি করে, আমরা তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যমে সেটি বের করে প্রকৃত গ্রাহকের হাতে তুলে দেই। সেখানে আমি তৃপ্তি পাই।

এই বিষয়ে বরুড়া থানা ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতায় এসআই নয়ন হারানো ও ছিনতাই মোবাইল উদ্ধার করেন। বরুড়া থানায় গত ৩মাসে ১৩০টি ছিনতাই ও হারানো মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।