ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীতে পুলিশ লাইন্সের শৌচাগার থেকে পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo মাঠের রাস্তায় জামাই শাশুড়ির বাঁশের বেড়া: বিপাকে দুই গ্রামের কৃষক Logo অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল Logo এনসিপির লোকজন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছে : কায়কোবাদ Logo রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo মুরাদনগরে মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী Logo খুনিদের বিচার আর দেশের সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না- ডাঃ শফিকুর রহমান Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার

রূপসায় কুদির বটতলায় ধর্মীয় মেলা শুরু

খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনার রূপসায় কুদির বটতলা নামক স্থানে শ্বশান কালী পুজা ও ৭ দিন ব্যাপি ধর্মীয় মেলা শুরু হয়েছে।
প্রায় ২০০ বছর আগে রূপসা উপজেলার টিএসবির তিলক গ্রামে নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের ভেতরে কুদি নামে একটি মেয়ে ছিলো। মেয়েটির বিয়ের ১৩ দিনের মাথায় তার স্বামী কলেরা রোগে মারা যায়।
অকালে স্বামীকে হারিয়ে তার মাথায় বিকৃতি ঘটলে সে বাড়ী থেকে বেরিয়ে একটি বট গাছের চারা লাগায় এবং তার পাশেই একটি শ্বশান কালী মন্দির কাঁচা মন্ডব তৈরি করে ভগবানের ধ্যানে মগ্ন থাকতো। সেখানে পৌষ মাসে শ্মশান কালী পূজা শুরু করেছিল। এই পুজার ফলে ধর্মীয় মেলার সৃষ্টি হয়। তার রিতি অনুযায়ি প্রতি বছর পৌষ মাসে কুদির বটতলা শ্মশান কালী মন্দিরে পূজার সময় মন্দিরে পাঠা বলির মাধ্যমে মানুষ মানত শেষ করত এবং ধর্মীয় মেলা অনুষ্ঠিত হতো। সেই মেলায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হতো। এভাবে চলে আসলেও পরে পূজারী এবং সাধারণ ভক্তদের সুবিধার্থে পৌষ মাসে স্বল্প আকারে এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে বড় আকারে পুজা ও বড় ধর্মীয় মেলার আয়োজন করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ন্যায় ৩ জুন থেকে শুরু করে ৯ জুন পযন্ত (জ্যৈষ্ঠ মাসে) শ্বশান কালী পুজা ও ৭ দিন ব্যাপী শুরু হয়েছে বড় ধর্মীয় মেলা।

ধর্মীয় মেলার প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটছে। মেলায় রয়েছে মানুষের বিনোদনের জন্য নাগর দোলা, ঘোড়া ও নৌকার চরকি, রেল ভ্রমনের জন্য ছোট রেল গাড়ীর ব্যাবস্থা, সিংহ চড়কি, ভুতের আড্ডা। এছাড়া বিভিন্ন রকমের খাদ্য সামগ্রী, খেলনার দোকান, কসমেটিকের দোকান, বাশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন রকম সামগ্রী, কাঠের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী, ঢোল, শাখা শিদুর সহ ধর্মীয় বিভিন্ন সামগ্রী, হারিয়ে যাওয়া কাশা পিতলের দোকান। বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম খেলনা এছাড়া মেলার মূল আকর্শন কাঠের ফার্নিসারের দোকান। এই কাঠের ফার্নিসারের দোকান গুলি মেলা শেষ হবার পরেও অনেক দিন পযন্ত এখানে থাকে।
বর্তমানে কুদির বটতলা শ্মশান কালী মন্দিরের রেজিস্টিকৃত সংবিধান অনুযায়ী সাধন কুমার মিত্র ১৯৮০ সাল থেকে ম্যানেজার হিসেবে এই মন্দিরের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। তার তত্বাবধানেই প্রতি বছর এখানে কালী পুজা ও বড় ধর্মীয় মেলা সহ মন্দিরের সকল কাজ সম্পাদন হয়ে থাকে।
এব্যাপারে সাধন কুমার মিত্র বলেন, আমি এই মন্দরে দ্বায়িত্বে আসার পরে ১৯৮৮ সালে কুদির নিজ হাতে গড়া কাঁচা মন্দিরটি পাকা মন্দিরের রূপান্তরিত করেছি। এছাড়া মন্দিরের জমির উপর নির্মিত ২৫ টি পাকা দোকান গৃহ নির্মান করেছি। এখানে কালী পুজার পাশা পাশি অনেক দিন ধরেই শারদীয় দুর্গা পুজা হতো অস্থায়ী মন্দিরে। পরে মন্দির কমিটিকে সাথে নিয়ে ২০২০ সালে দূর্গা মন্দির স্থাপন সহ মন্দিরের সকল উন্নয়ন কাজ করে আসছি। এই স্থানটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে খুবই পবিত্র স্থান।

রাজশাহীতে পুলিশ লাইন্সের শৌচাগার থেকে পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

SBN

SBN

রূপসায় কুদির বটতলায় ধর্মীয় মেলা শুরু

আপডেট সময় ০৭:২৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনার রূপসায় কুদির বটতলা নামক স্থানে শ্বশান কালী পুজা ও ৭ দিন ব্যাপি ধর্মীয় মেলা শুরু হয়েছে।
প্রায় ২০০ বছর আগে রূপসা উপজেলার টিএসবির তিলক গ্রামে নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের ভেতরে কুদি নামে একটি মেয়ে ছিলো। মেয়েটির বিয়ের ১৩ দিনের মাথায় তার স্বামী কলেরা রোগে মারা যায়।
অকালে স্বামীকে হারিয়ে তার মাথায় বিকৃতি ঘটলে সে বাড়ী থেকে বেরিয়ে একটি বট গাছের চারা লাগায় এবং তার পাশেই একটি শ্বশান কালী মন্দির কাঁচা মন্ডব তৈরি করে ভগবানের ধ্যানে মগ্ন থাকতো। সেখানে পৌষ মাসে শ্মশান কালী পূজা শুরু করেছিল। এই পুজার ফলে ধর্মীয় মেলার সৃষ্টি হয়। তার রিতি অনুযায়ি প্রতি বছর পৌষ মাসে কুদির বটতলা শ্মশান কালী মন্দিরে পূজার সময় মন্দিরে পাঠা বলির মাধ্যমে মানুষ মানত শেষ করত এবং ধর্মীয় মেলা অনুষ্ঠিত হতো। সেই মেলায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হতো। এভাবে চলে আসলেও পরে পূজারী এবং সাধারণ ভক্তদের সুবিধার্থে পৌষ মাসে স্বল্প আকারে এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে বড় আকারে পুজা ও বড় ধর্মীয় মেলার আয়োজন করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ন্যায় ৩ জুন থেকে শুরু করে ৯ জুন পযন্ত (জ্যৈষ্ঠ মাসে) শ্বশান কালী পুজা ও ৭ দিন ব্যাপী শুরু হয়েছে বড় ধর্মীয় মেলা।

ধর্মীয় মেলার প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটছে। মেলায় রয়েছে মানুষের বিনোদনের জন্য নাগর দোলা, ঘোড়া ও নৌকার চরকি, রেল ভ্রমনের জন্য ছোট রেল গাড়ীর ব্যাবস্থা, সিংহ চড়কি, ভুতের আড্ডা। এছাড়া বিভিন্ন রকমের খাদ্য সামগ্রী, খেলনার দোকান, কসমেটিকের দোকান, বাশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন রকম সামগ্রী, কাঠের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী, ঢোল, শাখা শিদুর সহ ধর্মীয় বিভিন্ন সামগ্রী, হারিয়ে যাওয়া কাশা পিতলের দোকান। বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম খেলনা এছাড়া মেলার মূল আকর্শন কাঠের ফার্নিসারের দোকান। এই কাঠের ফার্নিসারের দোকান গুলি মেলা শেষ হবার পরেও অনেক দিন পযন্ত এখানে থাকে।
বর্তমানে কুদির বটতলা শ্মশান কালী মন্দিরের রেজিস্টিকৃত সংবিধান অনুযায়ী সাধন কুমার মিত্র ১৯৮০ সাল থেকে ম্যানেজার হিসেবে এই মন্দিরের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। তার তত্বাবধানেই প্রতি বছর এখানে কালী পুজা ও বড় ধর্মীয় মেলা সহ মন্দিরের সকল কাজ সম্পাদন হয়ে থাকে।
এব্যাপারে সাধন কুমার মিত্র বলেন, আমি এই মন্দরে দ্বায়িত্বে আসার পরে ১৯৮৮ সালে কুদির নিজ হাতে গড়া কাঁচা মন্দিরটি পাকা মন্দিরের রূপান্তরিত করেছি। এছাড়া মন্দিরের জমির উপর নির্মিত ২৫ টি পাকা দোকান গৃহ নির্মান করেছি। এখানে কালী পুজার পাশা পাশি অনেক দিন ধরেই শারদীয় দুর্গা পুজা হতো অস্থায়ী মন্দিরে। পরে মন্দির কমিটিকে সাথে নিয়ে ২০২০ সালে দূর্গা মন্দির স্থাপন সহ মন্দিরের সকল উন্নয়ন কাজ করে আসছি। এই স্থানটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে খুবই পবিত্র স্থান।