ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরামর্শমূলক সভা Logo ময়নামতিতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক Logo শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে সাদুল্লাপুরবাসী Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় পানিতে ডুবে দের বছরের শিশুর মৃত্যু Logo সুনামগঞ্জে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার Logo সুন্দরবনে ১০৬ কেজি হরিণের মাংস ও ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারি আটক Logo মুন্সিগঞ্জে ৬ শত কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ Logo কৃষকের মুখে হাসি, কটিয়াদীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন Logo ইনডেক্স কেয়ার বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক অনুষ্ঠিত Logo পরিবারহীন শিশুদের পাশে মানবতার ছোঁয়া—স্টেশনে খাবার নিয়ে হোপ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ

ওয়াং ইয়াং মিং প্রাচীন চীনা সংস্কৃতির আদর্শকে উপলব্ধি করেছিলেন

আন্তর্জাতিক: মিং রাজবংশ আমলের একজন চিন্তাবিদ ওয়াং ইয়াং মিং-এর কথা উল্লেখ করলেই আমাদের কানে ভাসে “আমার হৃদয়ে একটি উজ্জ্বল চাঁদ আছে”-এর আবৃত্তি। প্রায় পাঁচশ বছর পরে, ইয়াং মিং-এর চিন্তাধারায় উত্থান-পতনের পরও তাঁর গ্রন্থে জ্ঞানের স্ফূরণ দেখা যায়। তার আদর্শ এবং জীবনধারা চীনা সাংস্কৃতিক জিনের অংশ হয়ে উঠেছে।

ওয়াং ইয়াং মিং-এর দার্শনিক চিন্তাধারাকে মূর্ত করে তোলা গ্রন্থ “ছুয়ান সি লু” (শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষাচর্চার বই)-এর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। বইটিতে “জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য”-এর সবচেয়ে স্বতন্ত্র চিন্তার কথা বলার মাধ্যমে, অনুশীলন ও কাজের ওপর জোর দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধারণা উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বই থেকে আমরা বাস্তববাদী হয়ে কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে পুনরুজ্জীবিত করার ধারণা শিখতে পারি। এ বই পড়ে আমরা ওয়াং ইয়াং মিংয়ের জীবনের উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতা থেকে ঋষিদের প্রজ্ঞা অনুভব করি। আর এই প্রজ্ঞা হচ্ছে: “জ্ঞান কর্মের সূচনা এবং কর্মই জ্ঞানের সমাপ্তি”।

“ছুয়ান সি লু”-এর বর্তমানে প্রচলিত সংস্করণটিতে প্রায় ৮০ হাজার শব্দ রয়েছে এবং এটি তিনটি খন্ডে বিভক্ত। বইটি, অন্য একটি কনফুসিয়ান ক্লাসিক “লুন ইউ” (কনফুসিয়াসের কথোপকথন)-এর মতো, শিষ্যদের দ্বারা গুরুর কথা ও চিন্তার সংকলন। কাকতালীয়ভাবে, “ছুয়ান সি লু” নামটি “লুন ইউ”-এ লিপিবদ্ধ বাক্য থেকেও এসেছে: কনফুসিয়াসের শিস্য জেং জি বলেন, আমি দিনে তিন বার নিজেকে জিজ্ঞাসা করি, আমি যার জন্য কাজ করি তার প্রতি অনুগত নই কি? বন্ধুদের কাছে আমি বিশ্বস্ত নই কি? শিক্ষকের শিক্ষাদান নিয়ে আমি কি চর্চা বা অনুশীলন করি না? “ছুয়ান” হলো শিক্ষক যা বলেছেন, যা শিখিয়েছেন, ও তাঁর বিভিন্ন সময়ের আচরণ ও মনোভাব লিপিবদ্ধ করা। “সি” মানে অনুশীলন ও কর্ম। তাই “ছুয়ান সি লু”-এর অর্থ হল ভবিষ্যতের পর্যালোচনা এবং অনুশীলনের জন্য শিক্ষকের শেখানো শিক্ষা রেকর্ড করা।

“ছুয়ান সি লু” ওয়াং ইয়াং মিং-এর সারাজীবনের আদর্শিক অন্বেষণকে প্রতিফলিত করে এবং এর বিষয়বস্তু কনফুসিয়ানিজমের সৃজনশীল উত্তরাধিকার এবং উদ্ভাবনী বিকাশ। “জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য” এবং “বিবেককে সবকিছুতে প্রসারিত করা” চীনা দর্শনের ইতিহাসের অন্যতম অনুকরণীয় প্রস্তাবে পরিণত হয়েছে। এটি তখন থেকে চীন, এমনকি পূর্ব এশিয়ায় চিন্তার বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছে। “জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য” নিয়ে ওয়াং ইয়াং মিং বলেছেন, জ্ঞান ও কর্ম অবিচ্ছেদ্য। জানা কিন্তু বাস্তবায়ন না করা অজানার সমতুল্য। কতো লোক মহান নীতি সম্পর্কে অবিরাম কথা বলে, কিন্তু তারা কর্মে খুব পিছিয়ে যায়? এটি জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য অর্জনে ব্যর্থতা।

ওয়াং ইয়াং মিং-এর পঁচাত্তর বছরের জীবনে তিনি সত্যিকার অর্থে জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য অর্জন করেছিলেন এবং প্রাচীন চীনা সংস্কৃতির আদর্শকে উপলব্ধি করেছিলেন। পরবর্তী প্রজন্ম তাকে “তিন প্রকৃত অমর” সম্মান করে, যার মানে তাঁর “নৈতিকতা অমর, কৃতিত্ব অমর, এবং কথাবার্তা অমর।”

ওয়াং ইয়াং মিং শৈশব থেকেই “ঋষি হতে শেখার” আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন নীতিমালা অধ্যয়ন করতেন। এমনও হতো যে, সাত দিন ধরে তিনি কিছুই খাননি। ফলে একসময় তিনি রোগে আক্রান্ত হতেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পর, তিনি কর্মকর্তাদের একচেটিয়া আচরণের শিকার হন এবং গুরুতর শারীরিক শাস্তি পান। সে যাত্রায় তাঁর জীবন বাঁচলেও, তাকে পদচ্যুত করে কুইচৌর লংচ্যাংয়ে পাঠানো হয়।

এই ধরনের জীবন-মৃত্যুর পরীক্ষা তাকে শুধু উৎসাহিতই করেনি, বরং তার আলোকিতকরণ ও “জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য” ধারণায় অবদান রেখেছে। সত্যতা পরীক্ষা করার জন্য অনুশীলনই একমাত্র মাপকাঠি। জ্ঞান কর্মকে উত্সাহিত করে এবং কর্ম জ্ঞানে পরিণত হয়। ইয়াং মিংয়ের চিন্তাধারা, চীনা ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে, আমাদের আত্ম-সচেতনতা গড়ে তুলতে, আত্ম-মূল্য নিশ্চিত করতে, এবং সময়ের জন্য উপযোগী হতে সাহায্য করতে পারে।

ইতিহাস থেকে শিখার পর অনুশীলন এবং অধ্যয়ন করুন, কাজ শব্দের চেয়ে জোরে কথা বলে। এটি একটি ব্যক্তি বা একটি দেশ যাই হোক না কেন, একজনকে মনে রাখতে হবে যে, জ্ঞান সম্পর্কে কেবল জানা হলে হবে না, এবং গুণ খালি কথার কথা হলে হবে না, তা বাস্তবে প্রয়োগ করা উচিত এবং “জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য” থেকে কঠোর পরিশ্রম করা উচিত। শুধুমাত্র এইভাবে আমরা যা শিখেছি তা প্রয়োগ করতে পারি এবং দেশকে চাঙ্গা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে পারি।

ঋষি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে “মহান পথ সহজ পথ”-এর একটি অবস্থা অনুসরণ করেন, যা আমাদের জীবনসাধনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কেন মানুষ অক্লান্তভাবে সেই “বোঝা” অনুসরণ করে, যা দেখতে সুন্দর কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্তিকর? হৃদয়ে সরলতার অভাব এবং জীবনের প্রতি সরল মনোভাবের অভাবের কারণে এমনটা হয়। ধন-সম্পদ, পদমর্যাদা ও কৃতিত্বের বেড়াজালে আটকে না-পড়ে, সরল চিত্তে সহজ জীবন যাপনের চেষ্টা করাই উত্তম। 
সূত্র: ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

জনপ্রিয় সংবাদ

মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরামর্শমূলক সভা

SBN

SBN

ওয়াং ইয়াং মিং প্রাচীন চীনা সংস্কৃতির আদর্শকে উপলব্ধি করেছিলেন

আপডেট সময় ০৪:২৫:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক: মিং রাজবংশ আমলের একজন চিন্তাবিদ ওয়াং ইয়াং মিং-এর কথা উল্লেখ করলেই আমাদের কানে ভাসে “আমার হৃদয়ে একটি উজ্জ্বল চাঁদ আছে”-এর আবৃত্তি। প্রায় পাঁচশ বছর পরে, ইয়াং মিং-এর চিন্তাধারায় উত্থান-পতনের পরও তাঁর গ্রন্থে জ্ঞানের স্ফূরণ দেখা যায়। তার আদর্শ এবং জীবনধারা চীনা সাংস্কৃতিক জিনের অংশ হয়ে উঠেছে।

ওয়াং ইয়াং মিং-এর দার্শনিক চিন্তাধারাকে মূর্ত করে তোলা গ্রন্থ “ছুয়ান সি লু” (শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষাচর্চার বই)-এর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। বইটিতে “জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য”-এর সবচেয়ে স্বতন্ত্র চিন্তার কথা বলার মাধ্যমে, অনুশীলন ও কাজের ওপর জোর দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধারণা উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বই থেকে আমরা বাস্তববাদী হয়ে কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে পুনরুজ্জীবিত করার ধারণা শিখতে পারি। এ বই পড়ে আমরা ওয়াং ইয়াং মিংয়ের জীবনের উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতা থেকে ঋষিদের প্রজ্ঞা অনুভব করি। আর এই প্রজ্ঞা হচ্ছে: “জ্ঞান কর্মের সূচনা এবং কর্মই জ্ঞানের সমাপ্তি”।

“ছুয়ান সি লু”-এর বর্তমানে প্রচলিত সংস্করণটিতে প্রায় ৮০ হাজার শব্দ রয়েছে এবং এটি তিনটি খন্ডে বিভক্ত। বইটি, অন্য একটি কনফুসিয়ান ক্লাসিক “লুন ইউ” (কনফুসিয়াসের কথোপকথন)-এর মতো, শিষ্যদের দ্বারা গুরুর কথা ও চিন্তার সংকলন। কাকতালীয়ভাবে, “ছুয়ান সি লু” নামটি “লুন ইউ”-এ লিপিবদ্ধ বাক্য থেকেও এসেছে: কনফুসিয়াসের শিস্য জেং জি বলেন, আমি দিনে তিন বার নিজেকে জিজ্ঞাসা করি, আমি যার জন্য কাজ করি তার প্রতি অনুগত নই কি? বন্ধুদের কাছে আমি বিশ্বস্ত নই কি? শিক্ষকের শিক্ষাদান নিয়ে আমি কি চর্চা বা অনুশীলন করি না? “ছুয়ান” হলো শিক্ষক যা বলেছেন, যা শিখিয়েছেন, ও তাঁর বিভিন্ন সময়ের আচরণ ও মনোভাব লিপিবদ্ধ করা। “সি” মানে অনুশীলন ও কর্ম। তাই “ছুয়ান সি লু”-এর অর্থ হল ভবিষ্যতের পর্যালোচনা এবং অনুশীলনের জন্য শিক্ষকের শেখানো শিক্ষা রেকর্ড করা।

“ছুয়ান সি লু” ওয়াং ইয়াং মিং-এর সারাজীবনের আদর্শিক অন্বেষণকে প্রতিফলিত করে এবং এর বিষয়বস্তু কনফুসিয়ানিজমের সৃজনশীল উত্তরাধিকার এবং উদ্ভাবনী বিকাশ। “জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য” এবং “বিবেককে সবকিছুতে প্রসারিত করা” চীনা দর্শনের ইতিহাসের অন্যতম অনুকরণীয় প্রস্তাবে পরিণত হয়েছে। এটি তখন থেকে চীন, এমনকি পূর্ব এশিয়ায় চিন্তার বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছে। “জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য” নিয়ে ওয়াং ইয়াং মিং বলেছেন, জ্ঞান ও কর্ম অবিচ্ছেদ্য। জানা কিন্তু বাস্তবায়ন না করা অজানার সমতুল্য। কতো লোক মহান নীতি সম্পর্কে অবিরাম কথা বলে, কিন্তু তারা কর্মে খুব পিছিয়ে যায়? এটি জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য অর্জনে ব্যর্থতা।

ওয়াং ইয়াং মিং-এর পঁচাত্তর বছরের জীবনে তিনি সত্যিকার অর্থে জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য অর্জন করেছিলেন এবং প্রাচীন চীনা সংস্কৃতির আদর্শকে উপলব্ধি করেছিলেন। পরবর্তী প্রজন্ম তাকে “তিন প্রকৃত অমর” সম্মান করে, যার মানে তাঁর “নৈতিকতা অমর, কৃতিত্ব অমর, এবং কথাবার্তা অমর।”

ওয়াং ইয়াং মিং শৈশব থেকেই “ঋষি হতে শেখার” আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন নীতিমালা অধ্যয়ন করতেন। এমনও হতো যে, সাত দিন ধরে তিনি কিছুই খাননি। ফলে একসময় তিনি রোগে আক্রান্ত হতেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পর, তিনি কর্মকর্তাদের একচেটিয়া আচরণের শিকার হন এবং গুরুতর শারীরিক শাস্তি পান। সে যাত্রায় তাঁর জীবন বাঁচলেও, তাকে পদচ্যুত করে কুইচৌর লংচ্যাংয়ে পাঠানো হয়।

এই ধরনের জীবন-মৃত্যুর পরীক্ষা তাকে শুধু উৎসাহিতই করেনি, বরং তার আলোকিতকরণ ও “জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য” ধারণায় অবদান রেখেছে। সত্যতা পরীক্ষা করার জন্য অনুশীলনই একমাত্র মাপকাঠি। জ্ঞান কর্মকে উত্সাহিত করে এবং কর্ম জ্ঞানে পরিণত হয়। ইয়াং মিংয়ের চিন্তাধারা, চীনা ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে, আমাদের আত্ম-সচেতনতা গড়ে তুলতে, আত্ম-মূল্য নিশ্চিত করতে, এবং সময়ের জন্য উপযোগী হতে সাহায্য করতে পারে।

ইতিহাস থেকে শিখার পর অনুশীলন এবং অধ্যয়ন করুন, কাজ শব্দের চেয়ে জোরে কথা বলে। এটি একটি ব্যক্তি বা একটি দেশ যাই হোক না কেন, একজনকে মনে রাখতে হবে যে, জ্ঞান সম্পর্কে কেবল জানা হলে হবে না, এবং গুণ খালি কথার কথা হলে হবে না, তা বাস্তবে প্রয়োগ করা উচিত এবং “জ্ঞান ও কর্মের ঐক্য” থেকে কঠোর পরিশ্রম করা উচিত। শুধুমাত্র এইভাবে আমরা যা শিখেছি তা প্রয়োগ করতে পারি এবং দেশকে চাঙ্গা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে পারি।

ঋষি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে “মহান পথ সহজ পথ”-এর একটি অবস্থা অনুসরণ করেন, যা আমাদের জীবনসাধনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কেন মানুষ অক্লান্তভাবে সেই “বোঝা” অনুসরণ করে, যা দেখতে সুন্দর কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্তিকর? হৃদয়ে সরলতার অভাব এবং জীবনের প্রতি সরল মনোভাবের অভাবের কারণে এমনটা হয়। ধন-সম্পদ, পদমর্যাদা ও কৃতিত্বের বেড়াজালে আটকে না-পড়ে, সরল চিত্তে সহজ জীবন যাপনের চেষ্টা করাই উত্তম। 
সূত্র: ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।