ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁদপুরে দুই ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা Logo দেশব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি অভিযানে সাড়ে ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা Logo তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের এক বছরেও মিলেনি প্রকল্পের তথ্য Logo কুমিল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo বুড়িচ ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলা ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন Logo সরাইলে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল Logo কিশোরগঞ্জে অপারেশন থিয়েটারে২ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ Logo পবায় ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo ভালুকায় শিশুর গলায় দা ঠেকিয়ে ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট Logo বাংলাদেশি সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর নামে বিপুল ‘অবৈধ সম্পদ’, দুদকের মামলা

ফেনীর এক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ১৮ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এই মামলা করেন।

মামলায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ও শাশুড়িকেও আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম সৈয়দ আবদুল্লাহ। তিনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। বর্তমানে তিনি ফেনী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অপরাধ শাখার পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া তালুকপাড়া গ্রামে। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সৈয়দ আবদুল্লাহর স্ত্রী ফারহানা আক্তার এবং শাশুড়ি কারিমা খাতুন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ প্রতারণার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করেন। যেগুলো ব্যবহার করে তিনি এক কোটি টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্র কেনেন। ফারহানা আক্তারের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টাকার আমানত গচ্ছিত রাখা এবং ৩১ লাখ টাকায় গাড়ি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সৈয়দ আবদুল্লাহর নিজ নামে দুটি প্লট, ফারহানা আক্তারের নামে দুটি আবাসিক ফ্ল্যাট, একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা হয়েছে। ফারহানা আক্তারের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা পরিশোধ করে তার মা কারিমা খাতুনের নামে আবাসিক ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। সব মিলিয়ে আসামিরা অবৈধভাবে ১৮ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ২৮৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ সরকারি কর্মচারী হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার পদমর্যাদার অপব্যবহার করে ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অসাধু উপায়ে অর্জিত টাকা নিজের নামে, স্ত্রী ফারহানা আক্তার ও শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে করেছেন।

আদালতের আদেশে সৈয়দ আবদুল্লাহর অর্জিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পিরোজপুর সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ ১৯৯১ সালে উপপরিদর্শক হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ২০০৭ সালে পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান। তিনি ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত মঠবাড়িয়া থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে দুই ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

SBN

SBN

পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর নামে বিপুল ‘অবৈধ সম্পদ’, দুদকের মামলা

আপডেট সময় ০৪:৫০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

ফেনীর এক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ১৮ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এই মামলা করেন।

মামলায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ও শাশুড়িকেও আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম সৈয়দ আবদুল্লাহ। তিনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। বর্তমানে তিনি ফেনী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অপরাধ শাখার পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া তালুকপাড়া গ্রামে। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সৈয়দ আবদুল্লাহর স্ত্রী ফারহানা আক্তার এবং শাশুড়ি কারিমা খাতুন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ প্রতারণার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করেন। যেগুলো ব্যবহার করে তিনি এক কোটি টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্র কেনেন। ফারহানা আক্তারের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টাকার আমানত গচ্ছিত রাখা এবং ৩১ লাখ টাকায় গাড়ি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সৈয়দ আবদুল্লাহর নিজ নামে দুটি প্লট, ফারহানা আক্তারের নামে দুটি আবাসিক ফ্ল্যাট, একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা হয়েছে। ফারহানা আক্তারের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা পরিশোধ করে তার মা কারিমা খাতুনের নামে আবাসিক ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। সব মিলিয়ে আসামিরা অবৈধভাবে ১৮ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ২৮৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ সরকারি কর্মচারী হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার পদমর্যাদার অপব্যবহার করে ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অসাধু উপায়ে অর্জিত টাকা নিজের নামে, স্ত্রী ফারহানা আক্তার ও শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে করেছেন।

আদালতের আদেশে সৈয়দ আবদুল্লাহর অর্জিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পিরোজপুর সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ ১৯৯১ সালে উপপরিদর্শক হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ২০০৭ সালে পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান। তিনি ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত মঠবাড়িয়া থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।