ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কীটনাশক প্রয়োগে ৩ একর জমির ধান নষ্টের অভিযোগ

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কীটনাশক (বিষ) প্রয়োগে প্রায় ৩ একর জমির ধান নষ্টের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক সোহানুর রহমান।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের হরগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক মোঃ সোহানুর রহমান পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত দুই একর একাশি শতক জমিতে আধিয়ারসহ বোরো (৯০ জিরা) ধান রোপন করেন। রোপনকৃত ধান প্রায় কাটার সময় তার বৈমাত্রিয় ভাই নাহিদ জামান লিমন ও তার সহযোগীরা রাতের আঁধারে কিটনাশক (বিষ) স্প্রে করে সম্পূর্ণ ধান মেরে ফেলেছে। এতে তার ও তার আধিয়ারের প্রায় তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগকারী কৃষক সোহানুর রহমান জানান, গত ২৪ এপ্রিল বিবাদীরা রাতের অন্ধকারে আমার ২ একর ৮১ শতাংশ জমিতে লাগানো (৯০ জিরা) ধান কিটনাশক (বিষ) প্রয়োগ করে নষ্ট করেছে। ইতিপূর্বে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিষ প্রয়োগ করে আমার বীজতলা এবং ৫১ শতাংশ জমির আমন ধান নষ্ট করেছিল। জমির ধান গুলো কয়েকদিন গেলেই কেটে ঘরে তুলতাম। কিন্তু বিষ প্রয়োগে ধানগুলো নষ্ট করায় আমার প্রায় প্রায় তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকা ক্ষতি হয়ে গেলো। তিনি আরও বলেন, জাল দলিল তৈরি করে আমার বৈমাত্রিয় ভাই আমার ভাগের জমি নিজের বলে দাবি করেন। সেই জাল দলিল বাতিলের মামলা করলে আদালত কর্তৃক দলিলটি জাল প্রমানিত হয়। এরপর থেকে বিবাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং নানাভাবে আমার ক্ষতি করতেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধান করার কথা থাকলেও সমধান না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায় করতে কিছু দিন দেরি হয়।

গতকাল (৪ মে ২০২৪) শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোহানুর রহমানের দুই একর একাশি শতাংশ জমির সম্পূর্ণ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ধান কেটে ঘরে তুলতে গেলে শ্রমিকের মজুরি উঠানো কঠিন হবে।

এ বিষয়ে একই এলাকার কৃষক শাহীনুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শত্রুতা বসত বীজতলা নষ্ট করা, জমির ধান বিষ দিয়ে নষ্ট করা ঠিক নয়। এমন ঘোটনা যেনো আর না ঘটে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

অভিযোগের বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার আফিসার ইনজার্চ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই অপরাধিদের সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমাল বলেন, অভিযোগের বিষয়ে কৃষি অফিসার ও ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

কীটনাশক প্রয়োগে ৩ একর জমির ধান নষ্টের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কীটনাশক (বিষ) প্রয়োগে প্রায় ৩ একর জমির ধান নষ্টের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক সোহানুর রহমান।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের হরগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক মোঃ সোহানুর রহমান পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত দুই একর একাশি শতক জমিতে আধিয়ারসহ বোরো (৯০ জিরা) ধান রোপন করেন। রোপনকৃত ধান প্রায় কাটার সময় তার বৈমাত্রিয় ভাই নাহিদ জামান লিমন ও তার সহযোগীরা রাতের আঁধারে কিটনাশক (বিষ) স্প্রে করে সম্পূর্ণ ধান মেরে ফেলেছে। এতে তার ও তার আধিয়ারের প্রায় তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগকারী কৃষক সোহানুর রহমান জানান, গত ২৪ এপ্রিল বিবাদীরা রাতের অন্ধকারে আমার ২ একর ৮১ শতাংশ জমিতে লাগানো (৯০ জিরা) ধান কিটনাশক (বিষ) প্রয়োগ করে নষ্ট করেছে। ইতিপূর্বে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিষ প্রয়োগ করে আমার বীজতলা এবং ৫১ শতাংশ জমির আমন ধান নষ্ট করেছিল। জমির ধান গুলো কয়েকদিন গেলেই কেটে ঘরে তুলতাম। কিন্তু বিষ প্রয়োগে ধানগুলো নষ্ট করায় আমার প্রায় প্রায় তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকা ক্ষতি হয়ে গেলো। তিনি আরও বলেন, জাল দলিল তৈরি করে আমার বৈমাত্রিয় ভাই আমার ভাগের জমি নিজের বলে দাবি করেন। সেই জাল দলিল বাতিলের মামলা করলে আদালত কর্তৃক দলিলটি জাল প্রমানিত হয়। এরপর থেকে বিবাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং নানাভাবে আমার ক্ষতি করতেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধান করার কথা থাকলেও সমধান না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায় করতে কিছু দিন দেরি হয়।

গতকাল (৪ মে ২০২৪) শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোহানুর রহমানের দুই একর একাশি শতাংশ জমির সম্পূর্ণ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ধান কেটে ঘরে তুলতে গেলে শ্রমিকের মজুরি উঠানো কঠিন হবে।

এ বিষয়ে একই এলাকার কৃষক শাহীনুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শত্রুতা বসত বীজতলা নষ্ট করা, জমির ধান বিষ দিয়ে নষ্ট করা ঠিক নয়। এমন ঘোটনা যেনো আর না ঘটে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

অভিযোগের বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার আফিসার ইনজার্চ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই অপরাধিদের সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমাল বলেন, অভিযোগের বিষয়ে কৃষি অফিসার ও ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।