ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ডাক্তার লুবনা সহ ৮জনের বিরুদ্ধ মামলা

  • স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট সময় ০৭:৪৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • ২১৭ বার পড়া হয়েছে

ডাক্তার নাজনীন আক্তার জাহান লুবনা সহ ৮জনের বিরুদ্ধ ভুল চিকিৎসা ও রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে কুমিল্লার আদালতে মামলা করা হয়েছে।

কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজি ১নং আমলী আদালতে মামলাটি করেন লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং গ্রামের মো: কালা মিয়ার ছেলে মো: আব্দুল মালেক (৪২)।

মামলার অন্য আসামীগন হলেন, রামঘাটর মিডল্যান্ড হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লাকসামের মুদাফ্ফগঞ্জ বাজারের মেডিকেয়ার হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ল্যাব ইনচার্জ মো: ফাহাদ হোসেন, মিডল্যান্ড হসপিটালের ল্যাব টেকনোেলাজিষ্ট, দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারের দেশ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থপনা পরিচালক, নবজাতক ও শিশু রোগ চিকিৎসক ডাক্তার হাবিবুর রহমান ও একই প্রতিষ্ঠানের ল্যাব টেকনোলোজিষ্ট।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১ জানুয়ারী ভিক্টিম বাদীর জেঠাস শারিরিক সমস্যা জরায়ুর টিউমার নিয়ে ৩ নং আসামীর পরিচালিত স্থানীয় মুদফ্ফরগঞ্জ মেডিকেয়ার হসপিটালে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে ১ নং আসামী ভিক্টিমের চিকিৎসা দিয়ে কতিপয় পরীক্ষা দেন এবং বলেন উক্ত পরীক্ষা মেডিকেয়ার হসপিটালে করাতে। বাদী উক্ত ভিক্টিমের সকল পরীক্ষা করে ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার অপারেশনের পরামর্শ দেন। ১নং আসামী ২ নং আসামীর পরিচালিত হসপিটালে অপারেশনের পরামর্শ দেন এবং মেডিকেয়ার হসপিটালে পুনরায় সকল পরীক্ষা করাতে বলেন। তৎপর বিগত ২৪/০২/২০২৩ ইং বাদী আত্মীয় স্বজন ও কতিপয় স্বাক্ষীদের আর্থিক সহযোগীতায় ২নং স্বাক্ষী ভিক্টিমের সকল পরীক্ষা করান। উক্ত পরীক্ষায় ৪নং আসামীর স্বাক্ষরে মেডিকেয়ার হসপিটাল রেগীর রক্তের গ্রæফ বি পজেটিভ বলে রিপোর্ট প্রদান করেন। ১নং আসামী বিগত ১২.০৩.২০২৩ ইং রোগীকে অপারেশনের মিডিউল দেন ২নং আসামীর পরিচালিত হসপিটালে। ওইদিন বিকাল ৪টার পর রোগীকে ভর্তি দিয়ে বি পজেটিভ রক্ত মেনেজ করার জন্য বলে। রোগীর স্বজন কথামত বি পজেটিভ রক্ত মেনেজ করে। অত:পর ৪নং আসামীর স্বাক্ষরে ২ নং আসামীর পরিচালিত মিডল্যান্ড হসপিটালে পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করা হয় এবং সেখানেও রক্তের গ্রæফ বি পজেটিভ বলে মতামত দেওয়া হয়। ৪নং আসামী লেব টেকনোলোজিস্ট হিসেবে ভিক্টিম এবং ডোনারের রক্তের ক্রসমেসিং করে। রাত আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকায় ১নং আসামী অপরেশন থিয়েটারে এসে অপারেশন শুরু করে। অপারেশন শুরু হওয়ার কিছুুক্ষন পর ডাক্তার বলে আরো রক্ষ লাগবে। দ্রুত মেনেজ করতে। তখন বন্ধু মহল বøাড ডোনেশন সোসাইটি সামাজিক সংঘঠন তথ্য পেয়ে তাদের পক্ষ থেকে ৪-৭ নং স্বাক্ষীকে জরুরী ভিত্তিতে বøাড ডোনেট করার জন্য ঘটনাস্থলে হাজির হয়। ইতোমধ্যে হসপিটালের বøাড এর কাজ করা সকল স্টাফ চলে যাওয়ায় রোগীর স্বজন দিশেহারা হয়ে দ্রæত ন্যাশনাল বøাড ব্যাংকের শরনাপন্ন হয়ে রক্ত টানা ও ক্রস মেসিং করার কাজে লিপ্ত হয়। ন্যাশনাল বøাড ব্যাংক রোগীর রক্ত আর ডোনারের রক্ত ম্যাচ করতে না পারায় ৫ বার পর্যন্ত চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে আরও কতেক ডোনার এনে কারও রক্তের সহিত রোগীর রক্ত ম্যাচ না করায় রোগীর স্বজন নিজ দায়িত্বে রোগীর রক্ত পাশ^বর্তী অন্য এক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করে রোগীর রক্তের গ্রæফ এ পজেটিভ মর্মে নিশ্চিত হন। ইতোমধ্যে ১নং আসামী রোগীকে এক ব্যাগ বি পজেটিভ রক্ত জোরপূর্বক পুশিং করেন। উক্ত রক্ত রোগীর শরীরে পুশিং করা কালীন রোগী অস্বাভাবিক আচরন করায় ডাক্তার রক্ত পুশিং বন্ধ না করে চারজনকে দিয়ে হাতে পায়ে চাপ দিয়ে ধরে রোগীর শরীরে পূরো এক ব্যাগ ভূল রক্ত পুশিং করায়। ইতোমধ্যে রোগীর অবস্থার চরম অবনতি হয়। রোগীর লোকজন রক্ত পরীক্ষা করে হসপিটালে আসলে ১নং আসামীকে চলে যেতে দেখে ওনার পথ রোধ করে রোগীর অবস্থা জিজ্ঞেস করায় তিনি রোগীকে ভুল রক্ত পুশিং করার কতা শিকার করে রোগীর অবস্থা খারপ মন্তব্যে রোগীর চিকিৎসা তিনি করতে পারবেন না বলে দ্রæত স্থান ত্যাগ করে। অথচ চিকিৎসক হিসেবে রোগীর প্রয়োজনকে সর্বতোভাবে গুরুত্ব দেওয়া একজন ডাক্তারের গুরু দায়িত্ব হলেও তিনি বেপরোয়া এবং তাচ্ছিল্যভাবে রোগীর অপারেশন পরিচালনা করেছেন। ডাক্তার বের হয়ে যাওয়ার সময় রোগীর মুত্র থলী দিয়ে প্রচুর বিøুডিং হচ্চিলো। এমতাবস্থায় তিনি রোগীকে সেইভ করার কোন চেষ্টা না করে অপারেশন থিয়েটারে লা ওয়ারিশের মত রোগীকে রেখে নির্দিধায় চলে যান। ইতোমধ্যে ২ নং আসামীর লোকজন রোগীর সকল কাগজপত্র ডাস্টবিনে চুঁড়ে ফেলে দেয় এবং হসপিটালের সকল লোকজন রোগীকে একা রেখে চলে যায়। রাত ১২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত এমন চলাকালীন রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন হলে রোগীর লোকজন ও স্বেচ্ছসেবীগন রোগীকে নিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালের আইসিইউতে জরুরি ভর্তি করায়। উক্ত রোগী আইসিউতে ৫ দিন ভর্তি থাকার পর কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বেডে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে উক্ত বিষয়ে গনমাধ্যম কর্মীরা খবর পেয়ে উক্ত অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদেরকে প্রশ্ন করলে তারা রোগী এবং তাহার স্বজনকে উক্ত বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করবে মর্মে হুমকি দেয়। সর্বশেষ উক্ত চিকিৎসা ও পরীক্ষা নীরিক্ষার সাথে জড়িত আসামীগন কৌশলে কুমিল্লা মেডিক্যাল হসপিটাল কতৃপক্ষকে অন্যায়ভাবে উত্যক্ত করে অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে রিলিজ করিয়ে বাড়ীতে ফেরৎ পাঠায়। বর্তমানে রোগী প্রকৃত চিকিৎসাহীনভাবে বাড়ীতে মৃত্যু সজ্জায় অবস্থান করছে এবং মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার রোগীর যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে মর্মে সতর্ক করেছেন।
এছাড়া বিগত ১২/০৫/২০২২ ইং ৮নং স্বাক্ষী ৬ নং আসামীর পরিচালিত হসপিটালের ডাক্তার হাবিবুর রহমানের নিকট তাহার ৪৫ দিন বয়সি নবজাতক শিশু মিনহাজকে ঠান্ডা জনিত সমস্যার কারনে নিয়ে যায়। এতে ডাক্তার উক্ত স্বাক্ষীকে ভয় লাগায় এই মর্মে যে, তাহার হরমোনাল সমস্যা হয়েছে। তিনি ভিকিটমকে অন্যায় কমিশনের আশায় অপ্রয়েজনীয় ঞ৪, ঞঝঐ সহ মোট ৫টি পরীক্ষার পরামর্শ দেন। ৮নং স্বাক্ষী উক্ত ডাক্তারের পরামর্শে ৬ নং আসামীর ডায়াগনষ্টিক স্টেন্টারে ৩০০০ টাকা বিল পরিশোধ করে উক্ত পরীক্ষার সেম্পল দেন উক্ত তারিখে। ৬ নং আসামীর ডায়াগনষ্টিক বিগত ১৮/০৫/২০২২ ইং রিপোর্ট প্রদান করে এবং উক্ত রিপোর্টে ৮নং আসামীর স্বাক্ষরে দেয়া তথ্য মতে অন্যান্য রিপোর্ট স্বাভাবিক দেখালেও ঞ৪, ঞঝঐ এর রেজাল্ট আসে যথাক্রমে ৩০ যাহার নরমাল ভেল্যু উল্লেখ ছিলো ৬৬-১৮১ এবং ৮.৫০ যাহার নরমাল ভেল্যু উল্লেখ ছিলো ০.৫-৫.০। এতে ৮নং স্বাক্ষী হসপিটাল ও ডাক্তারের কথা ও কাজে সন্দেহ পোষন করে উক্ত রোগীকে বিগত ২৯/০৫/২০২২ ইং উক্ত রিপোর্ট শিউর হওয়ার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যালের শিশু বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মো: জাভেদ ইকবালকে দেখালে উক্ত ডাক্তার সাহেব ৬ নং আসামী কতৃক পরিচালিত হসপিটালের প্রদত্ত রিপোর্ট এবং রোগীকে দেখে হতচকিত হয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং রক্তের গ্রুপ পুনরায় পরীক্ষা করার মরামর্শ দিলে ওই দিনই জরুরী ভিত্তিতে কুমিল্লার ইবনে সিনা ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করিলে উক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট সম্পূর্ন স্বাভাবিক আসে। ৮ নং স্বাক্ষী উক্ত হসপিটালের ডাক্তার ও রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে রোগীর চিকিৎসা দিলে নিশ্চিত রোগীর বড় ধরনের কোন সমস্যা হতো।

আসামীদের এমন অপচিকিৎসা, অপ্রয়োজনীয় টেস্ট, চিকিৎসায় অবহেলার কারনে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে, পঙ্গুত্ব বরন করছে এমনকি লক্ষ লক্ষ টাকা শেষ করে চিকিৎসা গ্রহন করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুমিল্লার সিভিল সার্জনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লায় ডাক্তার লুবনা সহ ৮জনের বিরুদ্ধ মামলা

আপডেট সময় ০৭:৪৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

ডাক্তার নাজনীন আক্তার জাহান লুবনা সহ ৮জনের বিরুদ্ধ ভুল চিকিৎসা ও রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে কুমিল্লার আদালতে মামলা করা হয়েছে।

কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজি ১নং আমলী আদালতে মামলাটি করেন লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং গ্রামের মো: কালা মিয়ার ছেলে মো: আব্দুল মালেক (৪২)।

মামলার অন্য আসামীগন হলেন, রামঘাটর মিডল্যান্ড হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লাকসামের মুদাফ্ফগঞ্জ বাজারের মেডিকেয়ার হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ল্যাব ইনচার্জ মো: ফাহাদ হোসেন, মিডল্যান্ড হসপিটালের ল্যাব টেকনোেলাজিষ্ট, দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারের দেশ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থপনা পরিচালক, নবজাতক ও শিশু রোগ চিকিৎসক ডাক্তার হাবিবুর রহমান ও একই প্রতিষ্ঠানের ল্যাব টেকনোলোজিষ্ট।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১ জানুয়ারী ভিক্টিম বাদীর জেঠাস শারিরিক সমস্যা জরায়ুর টিউমার নিয়ে ৩ নং আসামীর পরিচালিত স্থানীয় মুদফ্ফরগঞ্জ মেডিকেয়ার হসপিটালে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে ১ নং আসামী ভিক্টিমের চিকিৎসা দিয়ে কতিপয় পরীক্ষা দেন এবং বলেন উক্ত পরীক্ষা মেডিকেয়ার হসপিটালে করাতে। বাদী উক্ত ভিক্টিমের সকল পরীক্ষা করে ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার অপারেশনের পরামর্শ দেন। ১নং আসামী ২ নং আসামীর পরিচালিত হসপিটালে অপারেশনের পরামর্শ দেন এবং মেডিকেয়ার হসপিটালে পুনরায় সকল পরীক্ষা করাতে বলেন। তৎপর বিগত ২৪/০২/২০২৩ ইং বাদী আত্মীয় স্বজন ও কতিপয় স্বাক্ষীদের আর্থিক সহযোগীতায় ২নং স্বাক্ষী ভিক্টিমের সকল পরীক্ষা করান। উক্ত পরীক্ষায় ৪নং আসামীর স্বাক্ষরে মেডিকেয়ার হসপিটাল রেগীর রক্তের গ্রæফ বি পজেটিভ বলে রিপোর্ট প্রদান করেন। ১নং আসামী বিগত ১২.০৩.২০২৩ ইং রোগীকে অপারেশনের মিডিউল দেন ২নং আসামীর পরিচালিত হসপিটালে। ওইদিন বিকাল ৪টার পর রোগীকে ভর্তি দিয়ে বি পজেটিভ রক্ত মেনেজ করার জন্য বলে। রোগীর স্বজন কথামত বি পজেটিভ রক্ত মেনেজ করে। অত:পর ৪নং আসামীর স্বাক্ষরে ২ নং আসামীর পরিচালিত মিডল্যান্ড হসপিটালে পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করা হয় এবং সেখানেও রক্তের গ্রæফ বি পজেটিভ বলে মতামত দেওয়া হয়। ৪নং আসামী লেব টেকনোলোজিস্ট হিসেবে ভিক্টিম এবং ডোনারের রক্তের ক্রসমেসিং করে। রাত আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকায় ১নং আসামী অপরেশন থিয়েটারে এসে অপারেশন শুরু করে। অপারেশন শুরু হওয়ার কিছুুক্ষন পর ডাক্তার বলে আরো রক্ষ লাগবে। দ্রুত মেনেজ করতে। তখন বন্ধু মহল বøাড ডোনেশন সোসাইটি সামাজিক সংঘঠন তথ্য পেয়ে তাদের পক্ষ থেকে ৪-৭ নং স্বাক্ষীকে জরুরী ভিত্তিতে বøাড ডোনেট করার জন্য ঘটনাস্থলে হাজির হয়। ইতোমধ্যে হসপিটালের বøাড এর কাজ করা সকল স্টাফ চলে যাওয়ায় রোগীর স্বজন দিশেহারা হয়ে দ্রæত ন্যাশনাল বøাড ব্যাংকের শরনাপন্ন হয়ে রক্ত টানা ও ক্রস মেসিং করার কাজে লিপ্ত হয়। ন্যাশনাল বøাড ব্যাংক রোগীর রক্ত আর ডোনারের রক্ত ম্যাচ করতে না পারায় ৫ বার পর্যন্ত চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে আরও কতেক ডোনার এনে কারও রক্তের সহিত রোগীর রক্ত ম্যাচ না করায় রোগীর স্বজন নিজ দায়িত্বে রোগীর রক্ত পাশ^বর্তী অন্য এক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করে রোগীর রক্তের গ্রæফ এ পজেটিভ মর্মে নিশ্চিত হন। ইতোমধ্যে ১নং আসামী রোগীকে এক ব্যাগ বি পজেটিভ রক্ত জোরপূর্বক পুশিং করেন। উক্ত রক্ত রোগীর শরীরে পুশিং করা কালীন রোগী অস্বাভাবিক আচরন করায় ডাক্তার রক্ত পুশিং বন্ধ না করে চারজনকে দিয়ে হাতে পায়ে চাপ দিয়ে ধরে রোগীর শরীরে পূরো এক ব্যাগ ভূল রক্ত পুশিং করায়। ইতোমধ্যে রোগীর অবস্থার চরম অবনতি হয়। রোগীর লোকজন রক্ত পরীক্ষা করে হসপিটালে আসলে ১নং আসামীকে চলে যেতে দেখে ওনার পথ রোধ করে রোগীর অবস্থা জিজ্ঞেস করায় তিনি রোগীকে ভুল রক্ত পুশিং করার কতা শিকার করে রোগীর অবস্থা খারপ মন্তব্যে রোগীর চিকিৎসা তিনি করতে পারবেন না বলে দ্রæত স্থান ত্যাগ করে। অথচ চিকিৎসক হিসেবে রোগীর প্রয়োজনকে সর্বতোভাবে গুরুত্ব দেওয়া একজন ডাক্তারের গুরু দায়িত্ব হলেও তিনি বেপরোয়া এবং তাচ্ছিল্যভাবে রোগীর অপারেশন পরিচালনা করেছেন। ডাক্তার বের হয়ে যাওয়ার সময় রোগীর মুত্র থলী দিয়ে প্রচুর বিøুডিং হচ্চিলো। এমতাবস্থায় তিনি রোগীকে সেইভ করার কোন চেষ্টা না করে অপারেশন থিয়েটারে লা ওয়ারিশের মত রোগীকে রেখে নির্দিধায় চলে যান। ইতোমধ্যে ২ নং আসামীর লোকজন রোগীর সকল কাগজপত্র ডাস্টবিনে চুঁড়ে ফেলে দেয় এবং হসপিটালের সকল লোকজন রোগীকে একা রেখে চলে যায়। রাত ১২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত এমন চলাকালীন রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন হলে রোগীর লোকজন ও স্বেচ্ছসেবীগন রোগীকে নিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালের আইসিইউতে জরুরি ভর্তি করায়। উক্ত রোগী আইসিউতে ৫ দিন ভর্তি থাকার পর কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বেডে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে উক্ত বিষয়ে গনমাধ্যম কর্মীরা খবর পেয়ে উক্ত অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদেরকে প্রশ্ন করলে তারা রোগী এবং তাহার স্বজনকে উক্ত বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করবে মর্মে হুমকি দেয়। সর্বশেষ উক্ত চিকিৎসা ও পরীক্ষা নীরিক্ষার সাথে জড়িত আসামীগন কৌশলে কুমিল্লা মেডিক্যাল হসপিটাল কতৃপক্ষকে অন্যায়ভাবে উত্যক্ত করে অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে রিলিজ করিয়ে বাড়ীতে ফেরৎ পাঠায়। বর্তমানে রোগী প্রকৃত চিকিৎসাহীনভাবে বাড়ীতে মৃত্যু সজ্জায় অবস্থান করছে এবং মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার রোগীর যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে মর্মে সতর্ক করেছেন।
এছাড়া বিগত ১২/০৫/২০২২ ইং ৮নং স্বাক্ষী ৬ নং আসামীর পরিচালিত হসপিটালের ডাক্তার হাবিবুর রহমানের নিকট তাহার ৪৫ দিন বয়সি নবজাতক শিশু মিনহাজকে ঠান্ডা জনিত সমস্যার কারনে নিয়ে যায়। এতে ডাক্তার উক্ত স্বাক্ষীকে ভয় লাগায় এই মর্মে যে, তাহার হরমোনাল সমস্যা হয়েছে। তিনি ভিকিটমকে অন্যায় কমিশনের আশায় অপ্রয়েজনীয় ঞ৪, ঞঝঐ সহ মোট ৫টি পরীক্ষার পরামর্শ দেন। ৮নং স্বাক্ষী উক্ত ডাক্তারের পরামর্শে ৬ নং আসামীর ডায়াগনষ্টিক স্টেন্টারে ৩০০০ টাকা বিল পরিশোধ করে উক্ত পরীক্ষার সেম্পল দেন উক্ত তারিখে। ৬ নং আসামীর ডায়াগনষ্টিক বিগত ১৮/০৫/২০২২ ইং রিপোর্ট প্রদান করে এবং উক্ত রিপোর্টে ৮নং আসামীর স্বাক্ষরে দেয়া তথ্য মতে অন্যান্য রিপোর্ট স্বাভাবিক দেখালেও ঞ৪, ঞঝঐ এর রেজাল্ট আসে যথাক্রমে ৩০ যাহার নরমাল ভেল্যু উল্লেখ ছিলো ৬৬-১৮১ এবং ৮.৫০ যাহার নরমাল ভেল্যু উল্লেখ ছিলো ০.৫-৫.০। এতে ৮নং স্বাক্ষী হসপিটাল ও ডাক্তারের কথা ও কাজে সন্দেহ পোষন করে উক্ত রোগীকে বিগত ২৯/০৫/২০২২ ইং উক্ত রিপোর্ট শিউর হওয়ার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যালের শিশু বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মো: জাভেদ ইকবালকে দেখালে উক্ত ডাক্তার সাহেব ৬ নং আসামী কতৃক পরিচালিত হসপিটালের প্রদত্ত রিপোর্ট এবং রোগীকে দেখে হতচকিত হয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং রক্তের গ্রুপ পুনরায় পরীক্ষা করার মরামর্শ দিলে ওই দিনই জরুরী ভিত্তিতে কুমিল্লার ইবনে সিনা ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করিলে উক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট সম্পূর্ন স্বাভাবিক আসে। ৮ নং স্বাক্ষী উক্ত হসপিটালের ডাক্তার ও রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে রোগীর চিকিৎসা দিলে নিশ্চিত রোগীর বড় ধরনের কোন সমস্যা হতো।

আসামীদের এমন অপচিকিৎসা, অপ্রয়োজনীয় টেস্ট, চিকিৎসায় অবহেলার কারনে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে, পঙ্গুত্ব বরন করছে এমনকি লক্ষ লক্ষ টাকা শেষ করে চিকিৎসা গ্রহন করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুমিল্লার সিভিল সার্জনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।