ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়ক বিজরা বাজারে খাল ও সওজে’র জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের লাকসাম উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিজরা বাজার এলাকায় সরকারি খাল ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন শাসক দলের কতিপয় স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা ও প্রভাবশালী। রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও বিজরা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কুমিল্লা জেলার বৃহত্তর লাকসামের একটি ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত বিজরা বাজার এ বাজারের বাসস্ট্যান্ড থেকে ২০০ গজ উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণে কামাল টাওয়ার পর্যন্ত সরকারি খাল ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) এর জায়গা। শাসক দলের এ আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো:তাজুল ইসলাম মহোদয়ে’র নাম ভাঙিয়ে এবং নিজেদের দলের পদ পদবি ব্যবহার করে ক্ষমতার জোর দেখিয়ে
সিন্ডিকেট মাধ্যমে অবৈধভাবে ওইসব জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও বাজারে ফুটপাত, ছোট-বড়
দোকান-ঘর রদবদল ক্ষেত্র ও সামজিক দরবার-কারবার করে মানুষকে হয়নাই করে অর্থ হাতিয়ে নেয় ঐসব কতিপয় ব্যক্তিরা-এদের কোন ধর্ম নেই। গত কয়েকদিনের পূর্বে উপজেলার প্রশাসনের লোকজন এসেছে, কর্মকর্তারা দখলের বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে চলে আসেন। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির, আবদুল মান্নান বাচ্চু ও তারই আপন ভাই আওয়ামী লীগের নেতা নাইমুল হোসেন দুলালসহ হাতেগোনা ৫-৬জন নেতাকর্মীর নেতৃত্বে হচ্ছে। সরকারি খাল ও সওজের জায়গায় দখল হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের পাশে সওজের ওই সরকারী জায়গা ও খাল দখল করে নির্মানধীন দোকানঘরগুলোতে কয়েকজন শ্রমিক টিনের বেড়া লাগাচ্ছে। আর সেখানে উপস্থিত শাসক দলের ইউনিয়নের ও ওয়ার্ড নেতাসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিকদের কাজের তদারকি করছেন। এ সময় দোকান নির্মাণের কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিক বলেন, উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবলীগের সহ সভাপতি নাইমুল হোসেন দুলাল,১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান বাচ্চু ও একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ আরও কয়েকজনে মিলে এসব দোকানঘরগুলো নির্মাণ করাচ্ছেন।এখানে ১৪ টি দোকান ঘর হয়েছে প্রতিটি দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলমান রয়েছে।
বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবলীগের সহ সভাপতি নাইমুল হোসেন দুলাল ও একই ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে বলেন, সরকারি খাল ও সড়কের জায়গা দখল করিনি, ওইসব জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু তাহের। আর আপনি সাংবাদিক,আপনার এতকিছু জেনে কি লাভ! সাংবাদিক জায়গা থাকেন’ আমাদের সঙ্গে ফাইজলামি করবেননা এবং ফোনও করবেন না।
সরকারি খাল ও সড়কের জায়গা দখল করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজরা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো: সেলিম মিয়া বলেন, যেসব নেতাকর্মী দলের নাম ভাঙিয়ে সরকারী জমি দখল ও সাধারণ মানুষের হয়রানি করে তারা দলের ও দেশের শত্রু। ইউনিয়নের যুবলীগের কোনো নেতা সরকারী সম্পত্তি দখল করলে তার দায়ভার আমরা নেবনা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহানুর
রহমান বলেন, খাল হিসাবে দেখা গেলেও তা রেকর্ডে নয়নজুলী শ্রেণি হিসেবে উল্লেখ আছে এবং তা সড়কের নামে রেকর্ডভুক্ত। নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপদকে বিষয়টি জানিয়েছি। সড়ক বিভাগের সহায়তায় ভেকুর মাধ্যমে উচ্ছেদ করে জায়গাটা পুনরুদ্ধার করা হবে ।
অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সওজ’র জায়গা দখল করে দোকান-মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে কুমিল্লা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা জানান, অবৈধ দখলের বিষয়টি আমি অবহিত রয়েছি। শিগগিরই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়ক বিজরা বাজারে খাল ও সওজে’র জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ

আপডেট সময় ০৭:১৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের লাকসাম উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিজরা বাজার এলাকায় সরকারি খাল ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন শাসক দলের কতিপয় স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা ও প্রভাবশালী। রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও বিজরা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কুমিল্লা জেলার বৃহত্তর লাকসামের একটি ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত বিজরা বাজার এ বাজারের বাসস্ট্যান্ড থেকে ২০০ গজ উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণে কামাল টাওয়ার পর্যন্ত সরকারি খাল ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) এর জায়গা। শাসক দলের এ আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো:তাজুল ইসলাম মহোদয়ে’র নাম ভাঙিয়ে এবং নিজেদের দলের পদ পদবি ব্যবহার করে ক্ষমতার জোর দেখিয়ে
সিন্ডিকেট মাধ্যমে অবৈধভাবে ওইসব জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও বাজারে ফুটপাত, ছোট-বড়
দোকান-ঘর রদবদল ক্ষেত্র ও সামজিক দরবার-কারবার করে মানুষকে হয়নাই করে অর্থ হাতিয়ে নেয় ঐসব কতিপয় ব্যক্তিরা-এদের কোন ধর্ম নেই। গত কয়েকদিনের পূর্বে উপজেলার প্রশাসনের লোকজন এসেছে, কর্মকর্তারা দখলের বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে চলে আসেন। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির, আবদুল মান্নান বাচ্চু ও তারই আপন ভাই আওয়ামী লীগের নেতা নাইমুল হোসেন দুলালসহ হাতেগোনা ৫-৬জন নেতাকর্মীর নেতৃত্বে হচ্ছে। সরকারি খাল ও সওজের জায়গায় দখল হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের পাশে সওজের ওই সরকারী জায়গা ও খাল দখল করে নির্মানধীন দোকানঘরগুলোতে কয়েকজন শ্রমিক টিনের বেড়া লাগাচ্ছে। আর সেখানে উপস্থিত শাসক দলের ইউনিয়নের ও ওয়ার্ড নেতাসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিকদের কাজের তদারকি করছেন। এ সময় দোকান নির্মাণের কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিক বলেন, উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবলীগের সহ সভাপতি নাইমুল হোসেন দুলাল,১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান বাচ্চু ও একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ আরও কয়েকজনে মিলে এসব দোকানঘরগুলো নির্মাণ করাচ্ছেন।এখানে ১৪ টি দোকান ঘর হয়েছে প্রতিটি দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলমান রয়েছে।
বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবলীগের সহ সভাপতি নাইমুল হোসেন দুলাল ও একই ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে বলেন, সরকারি খাল ও সড়কের জায়গা দখল করিনি, ওইসব জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু তাহের। আর আপনি সাংবাদিক,আপনার এতকিছু জেনে কি লাভ! সাংবাদিক জায়গা থাকেন’ আমাদের সঙ্গে ফাইজলামি করবেননা এবং ফোনও করবেন না।
সরকারি খাল ও সড়কের জায়গা দখল করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজরা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো: সেলিম মিয়া বলেন, যেসব নেতাকর্মী দলের নাম ভাঙিয়ে সরকারী জমি দখল ও সাধারণ মানুষের হয়রানি করে তারা দলের ও দেশের শত্রু। ইউনিয়নের যুবলীগের কোনো নেতা সরকারী সম্পত্তি দখল করলে তার দায়ভার আমরা নেবনা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহানুর
রহমান বলেন, খাল হিসাবে দেখা গেলেও তা রেকর্ডে নয়নজুলী শ্রেণি হিসেবে উল্লেখ আছে এবং তা সড়কের নামে রেকর্ডভুক্ত। নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপদকে বিষয়টি জানিয়েছি। সড়ক বিভাগের সহায়তায় ভেকুর মাধ্যমে উচ্ছেদ করে জায়গাটা পুনরুদ্ধার করা হবে ।
অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সওজ’র জায়গা দখল করে দোকান-মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে কুমিল্লা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা জানান, অবৈধ দখলের বিষয়টি আমি অবহিত রয়েছি। শিগগিরই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করা হবে।