ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

কেমন করে এলো সোশ্যাল ট্রেন্ডে শীর্ষে থাকা “ময়ে ময়ে” গানটি

মো:মুনতাসীর মামুন,
স্টাফ রিপোর্টার

সম্প্রতি সময়ে “ময়ে ময়ে” নিয়ে মেতে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া। যদিও আমাদের বেশিরভাগেরই ধারণা নেই, যে “ময়ে ময়ে” মানে কী সম্প্রতি সময়ে “ময়ে ময়ে” নিয়ে মেতে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া।

সুতরাং, “ময়ে ময়ে” গানটি কোথা থেকে এসেছে এবং কেন এটি টিকটক এবং ফেসবুকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এর অবস্থান করছে? এটির শুরুটা ছিলো টিকটক থেকে, যেখানে গানের একটি অংশ প্রকাশিত হয়েছিল এবং লোকেরা গানটি ব্যবহার করে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি করতে শুরু করেছিল। এক সপ্তাহের মধ্যেই তা ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকের রিল ও ইউটিউব শর্টসেও।

“চৌধুরী সাহেব আমি গরিব হতে পারে, কিন্তু ময়ে ময়ে” এবং “ঘুমতে পারিনা সারারাত ধরে। মনের ভিতরটা ময়ে ময়ে করে” (আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। আমার হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে ময়ে ময়ে) ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে অন্যগুলোর মধ্যে।

“ময়ে ময়ে” এর উচ্চারণ আসলে “ময়ে মরে” হয়। আকর্ষণীয় ছন্দ এবং এর ঘন ঘন পুনরাবৃত্তি ফলে, “ময়ে ময়ে” সবার নজর কেড়েছে। যদিও কিছু লোক এটি উপভোগ করে, অন্যরা শুধু তাদের মাথায় আটকে যাওয়ার জন্য গানটিতে মজা পায়।কয়েকদিন ধরে এটি ফেসবুকে একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে উঠেছে।

যদিও বাংলাদেশী শ্রোতারা “ময়ে ময়ে” এর অর্থের সাথে পরিচিত নয়, তবে বাংলাদেশ, ভারত এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সংগীত অনুরাগিরা এর সুরেলা সুরে মাতোহারা হয়েছে। “ড্জানাম” শিরোনামের গানটির দৈর্ঘ্য ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের।

গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সার্বিয়ান গায়িকা -গীতিকার টেয়া ডোরা। গানটির ভিডিওতে তাকেও দেখা গেছে। গানটির কথা টেয়া ডোরা এবং সার্বিয়ান র‌্যাপার স্লোবোদান ভেলকোভিক কোবি দুজনে মিলেই লেখেন , আর গানটির সুর করেছেন লোকা জোভানোভিচ।

গানটি ইউটিউব এবং স্পটিফাইতে ২২ মার্চ সার্বিয়ান সঙ্গীত প্রযোজনা সংস্থা রেজিম এবং জুজনি ভেতারের ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, জুজনি ভেতারের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি ৪৭.৫ মিলিয়ন বার স্ট্রিম করা হয়েছে।

এই সপ্তাহে টিক টক্ -এ ভাইরাল হওয়ার পরে, গানটির ভিউ আকাশ ছুঁয়েছে। গানটি প্রথমবার ইউটিউবে প্রকাশের ছয় মাসেরও বেশি সময় পরে এসে এত শ্রোতার মনকুঠিতে জায়গা করে নেয়। এখনও পর্যন্ত, “ড্জানাম” স্পটিফাইতে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন বার শোনা হয়েছে।

সার্বিয়ান গায়িকা টেয়া ডোরা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। তিনি একটি থ্রেড পোস্টে শ্রোতাদের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, “সংগীতের প্রশংসা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সার্বিয়ান সঙ্গীত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে দেখে খুব ভালো লাগছে। প্রতিদিন, আমি সারা বিশ্ব থেকে ভালোবাসা পাচ্ছি। আমি আপনাদের ভালোবাসি।

সার্বিয়ান ভাষায় ‘মরে’ শব্দের অর্থ ‘দুঃস্বপ্ন’। গানের কথা ও সুর এক বিষণ্ণতা বহন করে। নিজের স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার বেদনা এবং সেই যন্ত্রণাকে ছাপিয়ে তারা একটি উন্নত জীবন অনুসরণ করার প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করেছেন তাদের গানটিতে। গানটি পুনরাবৃত্ত দুঃস্বপ্ন এবং এর ফলে বিষণ্ণতা এবং বিচ্ছিন্নতার সাথে শিল্পীর সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা করে। এমনকি এসবের মধ্যেও, সে চায় কেউ যেন তার পাশে দাঁড়ায়, তাকে বুঝতে পারে, তার যত্ন নেয় এবং শান্তি দেয়।

আপলোডকারীর তথ্য

চুরির মামলায় বিপিএল হাউজিংয়ের সাবেক কর্মকর্তার জামিন বাতিল

কেমন করে এলো সোশ্যাল ট্রেন্ডে শীর্ষে থাকা “ময়ে ময়ে” গানটি

আপডেট সময় ১০:২৮:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

মো:মুনতাসীর মামুন,
স্টাফ রিপোর্টার

সম্প্রতি সময়ে “ময়ে ময়ে” নিয়ে মেতে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া। যদিও আমাদের বেশিরভাগেরই ধারণা নেই, যে “ময়ে ময়ে” মানে কী সম্প্রতি সময়ে “ময়ে ময়ে” নিয়ে মেতে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া।

সুতরাং, “ময়ে ময়ে” গানটি কোথা থেকে এসেছে এবং কেন এটি টিকটক এবং ফেসবুকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এর অবস্থান করছে? এটির শুরুটা ছিলো টিকটক থেকে, যেখানে গানের একটি অংশ প্রকাশিত হয়েছিল এবং লোকেরা গানটি ব্যবহার করে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি করতে শুরু করেছিল। এক সপ্তাহের মধ্যেই তা ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকের রিল ও ইউটিউব শর্টসেও।

“চৌধুরী সাহেব আমি গরিব হতে পারে, কিন্তু ময়ে ময়ে” এবং “ঘুমতে পারিনা সারারাত ধরে। মনের ভিতরটা ময়ে ময়ে করে” (আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। আমার হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে ময়ে ময়ে) ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে অন্যগুলোর মধ্যে।

“ময়ে ময়ে” এর উচ্চারণ আসলে “ময়ে মরে” হয়। আকর্ষণীয় ছন্দ এবং এর ঘন ঘন পুনরাবৃত্তি ফলে, “ময়ে ময়ে” সবার নজর কেড়েছে। যদিও কিছু লোক এটি উপভোগ করে, অন্যরা শুধু তাদের মাথায় আটকে যাওয়ার জন্য গানটিতে মজা পায়।কয়েকদিন ধরে এটি ফেসবুকে একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে উঠেছে।

যদিও বাংলাদেশী শ্রোতারা “ময়ে ময়ে” এর অর্থের সাথে পরিচিত নয়, তবে বাংলাদেশ, ভারত এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সংগীত অনুরাগিরা এর সুরেলা সুরে মাতোহারা হয়েছে। “ড্জানাম” শিরোনামের গানটির দৈর্ঘ্য ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের।

গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সার্বিয়ান গায়িকা -গীতিকার টেয়া ডোরা। গানটির ভিডিওতে তাকেও দেখা গেছে। গানটির কথা টেয়া ডোরা এবং সার্বিয়ান র‌্যাপার স্লোবোদান ভেলকোভিক কোবি দুজনে মিলেই লেখেন , আর গানটির সুর করেছেন লোকা জোভানোভিচ।

গানটি ইউটিউব এবং স্পটিফাইতে ২২ মার্চ সার্বিয়ান সঙ্গীত প্রযোজনা সংস্থা রেজিম এবং জুজনি ভেতারের ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, জুজনি ভেতারের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি ৪৭.৫ মিলিয়ন বার স্ট্রিম করা হয়েছে।

এই সপ্তাহে টিক টক্ -এ ভাইরাল হওয়ার পরে, গানটির ভিউ আকাশ ছুঁয়েছে। গানটি প্রথমবার ইউটিউবে প্রকাশের ছয় মাসেরও বেশি সময় পরে এসে এত শ্রোতার মনকুঠিতে জায়গা করে নেয়। এখনও পর্যন্ত, “ড্জানাম” স্পটিফাইতে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন বার শোনা হয়েছে।

সার্বিয়ান গায়িকা টেয়া ডোরা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। তিনি একটি থ্রেড পোস্টে শ্রোতাদের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, “সংগীতের প্রশংসা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সার্বিয়ান সঙ্গীত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে দেখে খুব ভালো লাগছে। প্রতিদিন, আমি সারা বিশ্ব থেকে ভালোবাসা পাচ্ছি। আমি আপনাদের ভালোবাসি।

সার্বিয়ান ভাষায় ‘মরে’ শব্দের অর্থ ‘দুঃস্বপ্ন’। গানের কথা ও সুর এক বিষণ্ণতা বহন করে। নিজের স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার বেদনা এবং সেই যন্ত্রণাকে ছাপিয়ে তারা একটি উন্নত জীবন অনুসরণ করার প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করেছেন তাদের গানটিতে। গানটি পুনরাবৃত্ত দুঃস্বপ্ন এবং এর ফলে বিষণ্ণতা এবং বিচ্ছিন্নতার সাথে শিল্পীর সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা করে। এমনকি এসবের মধ্যেও, সে চায় কেউ যেন তার পাশে দাঁড়ায়, তাকে বুঝতে পারে, তার যত্ন নেয় এবং শান্তি দেয়।