ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতা প্রভাব প্রতিপত্তি বহাল রাখতে উগ্র সন্ত্রাসী পন্থা

অভয়নগর প্রতিনিধিঃ

ক্ষমতা প্রভাব প্রতিপত্তি বহাল রাখতে উগ্র সন্ত্রাসী পন্থা। পোষ্য সন্ত্রাসীদের কবলে আতংকিত সাধারণ মানুষ। চলছে গুম খুন হত্যা, হামলা হুমকি আতংকে এলাকাবাসী।পাচ্ছে না বিচার, হচ্ছে না প্রতিকার, এভাবেই চলছে অভয়নগর বাসীর জনজীবন।

এরই ধারাবাহিকতায় এবার সন্ত্রাসী হামলার কবলে সাংবাদিক পুত্র সিফাত উল্লাহ। গত ২৫শে এপ্রিল আনুমানিক সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় অভয়নগর থানা এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয় সাংবাদিক পুত্র কলেজ ছাত্র এসএম সিফাতউল্লাহ (২২)।

ঢাকার গুলশান কমার্স কলেজে অধ্যায়নরত সিফাতউল্লাহ ঈদ উপলক্ষে দাদা বাড়ি অভয়নগর নওয়াপাড়া বেড়াতে আসে। ঘটনার দিন ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি চলছিলো সেলুনে চুল কাটতে বের হলে একই সাথে গাড়ির টিকিট কাটতে নওয়াপাড়া বাজার যায়, ফেরার পথে রাকিব ও সোহানের সাথে দেখা।
সুত্রে জানাযায় পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব মজুমদারের ছোটো ভাইকে লোক সম্মুখে সিগারেট সেবনের দৃশ্য দেখে রাকিব নামের ব্যক্তি ছেলেটিকে প্রকাশ্য ধুমপানে বাঁধা দিলে ছেলেটি রাকিবের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং অকথ্য গালিগালাজ করে। রাকিব ছেলেটিকে একটি চড় দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। ছেলেটি তার বড়ভাই নাজমুস সাকিবকে অভিযোগ জানায়। রাকিব,সোহান ও সিফাত একই সাথে দাড়িয়ে কথা বলছিলো। তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেল যোগে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব মজুমদার ও কলেজ শাখার আব্দুল-আল-নোমান এর নেত্রীত্বে আনুমানিক ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল মোঃ ইকরাম হোসেন(২৫), মোঃ ইখলাছ (২৪), মোঃ জহির(২৫),মোঃ শাহিন মোল্লা (২৫), মোঃ কাজল(২৫), মোঃ জীবন আলী(২৫),মোঃ জিহাদ (২৩), মোঃ শাকিল (২৩), মোঃ রাতুল সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসীদল ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মারমুখী অবস্থায় নওয়াপাড়া কলেজ সংলগ্ন স্থানে আসলে নাজমুস সাকিব মজুমদার ও আব্দুল আল নোমানের নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্য মারতে আসলে রাকিব, সোহান,আবির ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়, তাৎক্ষণিক আসা সিফাতউল্লাহ বিষয়টি বুঝতে না পেরে উক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে, নাজমুস সাকিবের নির্দেশে ইকরাম নামের ছেলেটি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সিফাতের ওপর হামলা চালায় উক্ত আঘাত সিফাতের বাম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের তালুর একের তৃতীয় অংশ হাড় সহ গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত হয়। সন্ত্রাসীদলের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল, রাম দাও, চাপাতি সহ লোহার রড দিয়ে সিফাতকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে তাতে ডান হাতের তালুর অংশ গুরুতর জখম ও হাড় কেটে যায়। মাথার পিছনের অংশ গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত হয়।দুই হাটু কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে, হাতের বাহুর অংশ কুপিয়ে জখম ও রক্তাক্ত করে, মাথার পিছন অংশ গুরুতর জখম হয়। এভাবে সন্ত্রাসীদলের উপর্যুপরি হামলায় সিফাতের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।

আহত সিফাতউল্লাহ বাচাঁর তাগিদে দৌড়ে গলিপথে ঢুকে পড়লে ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।মানুষের উপস্থিতি দেখে সন্ত্রাসীদল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের পাস দিয়ে যাওয়া মুসতাকিন নামক ব্যক্তি জানায় ছেলেটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হেলাল মিয়া সহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ধরাধরি করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সিফাতকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাক্তার রোগীর শরীরে থাকা জখমের সেলাই ও ব্যন্ডেজ করে।অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার তাৎক্ষণিক পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলে আগারগাঁও অর্থপেডিক বিভাগে নেওয়া হয়। জরুরী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাতের আশংকা মুক্ত হয়। আহত সিফাতউল্লাহ ঢাকার আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হামলার ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় হত্যা চেষ্টার কয়েকটি ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার নং-৩০, তারিখ-২৬/০৪/২০২৪ ইং ।

ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য জনাব বাবুল ফরাজী আহতের খোঁজ খবর নেন এবং আসামীদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আশস্থ করেন।এছাড়া সুশিল সমাজের লোকজন সহ সাংবাদিক মহল আহত সিফাতের নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

জাতীয় দৈনিক সহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় হামলার ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে নিউজ প্রকাশ হয়েছে মর্মে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। অতিদ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবিতে আন্দোলন হবে বলে হুশিয়ারী দেন।

মামলার বাদী একজন গণমাধ্যমের মানুষ হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী কোনো ভাবেই যেনো অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া না হয় এবং এলাকার সন্ত্রাসী নির্মূলে গণমাধ্যম সহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এবিষয়ে যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের সাথে মুঠোফোনে প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তিনি আশস্থ করে বলেন হামকারীরা যতোই ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থাকুক তাদের গ্রেফতার করা হবে।

অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ জানায় হামলাকারীদের ধরতে সর্বোচ্চ আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জনাব মেহেদী হাসান জানায় সব দিকে পুলিশের লোক ছড়িয়ে রাখা হয়েছে পাওয়া মাত্র গ্রেফতার করা হবে।

নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব নজরুল মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক জনাব মোজাফফর হোসেন সাংবাদিক পুত্রের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে অতিদ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানায়। সেই সাথে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে সহিংসতা বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন এবং এলাকার সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গুম খুন হত্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে বিধায় প্রশাসনিক নজরদারি বৃদ্ধি করার দাবি, সেই সাথে মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব বাবুল ফরাজীর কাছে এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে নির্মুল করতে হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

ক্ষমতা প্রভাব প্রতিপত্তি বহাল রাখতে উগ্র সন্ত্রাসী পন্থা

আপডেট সময় ০৯:৪৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

অভয়নগর প্রতিনিধিঃ

ক্ষমতা প্রভাব প্রতিপত্তি বহাল রাখতে উগ্র সন্ত্রাসী পন্থা। পোষ্য সন্ত্রাসীদের কবলে আতংকিত সাধারণ মানুষ। চলছে গুম খুন হত্যা, হামলা হুমকি আতংকে এলাকাবাসী।পাচ্ছে না বিচার, হচ্ছে না প্রতিকার, এভাবেই চলছে অভয়নগর বাসীর জনজীবন।

এরই ধারাবাহিকতায় এবার সন্ত্রাসী হামলার কবলে সাংবাদিক পুত্র সিফাত উল্লাহ। গত ২৫শে এপ্রিল আনুমানিক সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় অভয়নগর থানা এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয় সাংবাদিক পুত্র কলেজ ছাত্র এসএম সিফাতউল্লাহ (২২)।

ঢাকার গুলশান কমার্স কলেজে অধ্যায়নরত সিফাতউল্লাহ ঈদ উপলক্ষে দাদা বাড়ি অভয়নগর নওয়াপাড়া বেড়াতে আসে। ঘটনার দিন ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি চলছিলো সেলুনে চুল কাটতে বের হলে একই সাথে গাড়ির টিকিট কাটতে নওয়াপাড়া বাজার যায়, ফেরার পথে রাকিব ও সোহানের সাথে দেখা।
সুত্রে জানাযায় পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব মজুমদারের ছোটো ভাইকে লোক সম্মুখে সিগারেট সেবনের দৃশ্য দেখে রাকিব নামের ব্যক্তি ছেলেটিকে প্রকাশ্য ধুমপানে বাঁধা দিলে ছেলেটি রাকিবের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং অকথ্য গালিগালাজ করে। রাকিব ছেলেটিকে একটি চড় দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। ছেলেটি তার বড়ভাই নাজমুস সাকিবকে অভিযোগ জানায়। রাকিব,সোহান ও সিফাত একই সাথে দাড়িয়ে কথা বলছিলো। তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেল যোগে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব মজুমদার ও কলেজ শাখার আব্দুল-আল-নোমান এর নেত্রীত্বে আনুমানিক ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল মোঃ ইকরাম হোসেন(২৫), মোঃ ইখলাছ (২৪), মোঃ জহির(২৫),মোঃ শাহিন মোল্লা (২৫), মোঃ কাজল(২৫), মোঃ জীবন আলী(২৫),মোঃ জিহাদ (২৩), মোঃ শাকিল (২৩), মোঃ রাতুল সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসীদল ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মারমুখী অবস্থায় নওয়াপাড়া কলেজ সংলগ্ন স্থানে আসলে নাজমুস সাকিব মজুমদার ও আব্দুল আল নোমানের নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্য মারতে আসলে রাকিব, সোহান,আবির ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়, তাৎক্ষণিক আসা সিফাতউল্লাহ বিষয়টি বুঝতে না পেরে উক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে, নাজমুস সাকিবের নির্দেশে ইকরাম নামের ছেলেটি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সিফাতের ওপর হামলা চালায় উক্ত আঘাত সিফাতের বাম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের তালুর একের তৃতীয় অংশ হাড় সহ গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত হয়। সন্ত্রাসীদলের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল, রাম দাও, চাপাতি সহ লোহার রড দিয়ে সিফাতকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে তাতে ডান হাতের তালুর অংশ গুরুতর জখম ও হাড় কেটে যায়। মাথার পিছনের অংশ গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত হয়।দুই হাটু কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে, হাতের বাহুর অংশ কুপিয়ে জখম ও রক্তাক্ত করে, মাথার পিছন অংশ গুরুতর জখম হয়। এভাবে সন্ত্রাসীদলের উপর্যুপরি হামলায় সিফাতের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।

আহত সিফাতউল্লাহ বাচাঁর তাগিদে দৌড়ে গলিপথে ঢুকে পড়লে ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।মানুষের উপস্থিতি দেখে সন্ত্রাসীদল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের পাস দিয়ে যাওয়া মুসতাকিন নামক ব্যক্তি জানায় ছেলেটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হেলাল মিয়া সহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ধরাধরি করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সিফাতকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাক্তার রোগীর শরীরে থাকা জখমের সেলাই ও ব্যন্ডেজ করে।অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার তাৎক্ষণিক পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলে আগারগাঁও অর্থপেডিক বিভাগে নেওয়া হয়। জরুরী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাতের আশংকা মুক্ত হয়। আহত সিফাতউল্লাহ ঢাকার আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হামলার ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় হত্যা চেষ্টার কয়েকটি ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার নং-৩০, তারিখ-২৬/০৪/২০২৪ ইং ।

ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য জনাব বাবুল ফরাজী আহতের খোঁজ খবর নেন এবং আসামীদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আশস্থ করেন।এছাড়া সুশিল সমাজের লোকজন সহ সাংবাদিক মহল আহত সিফাতের নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

জাতীয় দৈনিক সহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় হামলার ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে নিউজ প্রকাশ হয়েছে মর্মে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। অতিদ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবিতে আন্দোলন হবে বলে হুশিয়ারী দেন।

মামলার বাদী একজন গণমাধ্যমের মানুষ হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী কোনো ভাবেই যেনো অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া না হয় এবং এলাকার সন্ত্রাসী নির্মূলে গণমাধ্যম সহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এবিষয়ে যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের সাথে মুঠোফোনে প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তিনি আশস্থ করে বলেন হামকারীরা যতোই ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থাকুক তাদের গ্রেফতার করা হবে।

অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ জানায় হামলাকারীদের ধরতে সর্বোচ্চ আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জনাব মেহেদী হাসান জানায় সব দিকে পুলিশের লোক ছড়িয়ে রাখা হয়েছে পাওয়া মাত্র গ্রেফতার করা হবে।

নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব নজরুল মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক জনাব মোজাফফর হোসেন সাংবাদিক পুত্রের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে অতিদ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানায়। সেই সাথে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে সহিংসতা বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন এবং এলাকার সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গুম খুন হত্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে বিধায় প্রশাসনিক নজরদারি বৃদ্ধি করার দাবি, সেই সাথে মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব বাবুল ফরাজীর কাছে এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে নির্মুল করতে হবে।