ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

খাঁন জাহান আলীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

উলুঘ খাঁন জাহান আলী(রাঃ) ছিলেন মহান সাধক বেক্তি, নির্মাতা, ও ধর্ম প্রচারক। তার জন্ম তারিখ সাল সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও তিনি ২৫ অক্টোবর ১৪৫৯ খ্রীঃ বাগেরহাটে মৃত্যু বরন করেন। তিনি উলুঘ খাঁন- ই- জাহান এবং খাঁন-ই -আজম নামেও পরিচিত। খাঁন-ই আজম সরকারি খেতাবটি ইঙ্গিত দেয় তিনি ছিলেন বাংলার সুলতান নাসিরউদ্দিন মাহামুদ শাহ্ প্রথম(১৪৪২থেকে ১৪৪৯খ্রীঃ) এর একজন কর্মকর্তা।তার নামের আগে উলুঘ শব্দটি তার উজবেগ জাতি সত্তার ইঙ্গিতবাহী। তার কোন নির্ভরযোগ্য প্রত্নসুত্রে কিংম্বা ইতিহাস সমর্থিত কোন সুত্রে খাঁন জাহান সম্পর্কে জানা যাইনি। ধারনা করা হয় সম্ভবত তুগলুকের অধিনে এক যোদ্ধা খাঁন জাহান আলী। তৈমুর আক্রমনে দিল্লিতে পদচৃুৎ হওয়ার পরে তিনি( ১৩৩৮ খ্রীঃ) বাংলায় এসেছিলেন। তিনি দিল্লির সুলতান থেকে পরে বাংলার সুলতান তথা সুন্দরবনে বনাঞ্চলে বসতি ও গোড়াপত্তন করেন। মানব বসতি স্থাপনের জন্য সুন্দর বনের গভীর অরন্য ঘনজঙ্গল পরিস্কার করে ১৫ শতক জমিতে বসবাসের স্থান করে বাগেরহাট কে একটি বাসযোগ্য নগরীতে পরিনত করেন। তিনি দক্ষিনে ইসলাম প্রচারের ঝান্ডাবাহী প্রাচিনতম বার্তাবাহক হিসাবে সমৃদ্ধ শহর প্রতিষ্ঠায় নিউক্লিয়াসের ভুমিকা পালন করেছিলেন। উলুঘ খাঁনজাহান কে তদানন্তিন বাংলার সুলতান নাসিরউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ্ (১৪৪২ থেকে ১৪৫৯খ্রীঃ) এর সমসাময়িক বলে মনে করা হয়। খাঁন জাহান আলী( রাঃ) পরবর্তি ইলিয়াস শাহী রাজবংশের শাসনকালে বাংলার এই অংশ জয় করেছিলেন। এবং এখানেই তিনি শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। খাঁনজাহান আলী (রাঃ) এর আগে এখানে কোন মুসলীম শাসনের কোন স্থাপত্ব প্রমান পাওয়া যায়নি। খলিফাবাদ ও এর আশেপাশে একটি বিস্তৃত অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা করলেও কার্যত তিনি দিল্লীর অধিনস্থ একজন শাসক হিসাবে স্বাধীন শাসনভার পরিচালনা করেন। তবে তার নিজ নামে কোন মুদ্রা প্রবর্তন এবং খুতবা জারির প্রমান মেলেনি। মহান সাধক ও নির্মাতা কতৃক বাগেরহাট শহরের পশ্চিম উপকন্ঠে খ্রীষ্টিয় ১৫ শতকে একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংখ্যাতাত্বিক প্রমানের ভিত্তিত্বে কিছু পন্ডিতের মতে এই শহরটিকে খলিফাবাদ বলা হত। খ্রীষ্টিয় ১৬ শতকের দিকে সমৃদ্ধির সময় শহরটি অনেকগুলি প্রাচিন স্থাপনা মসজিদ, জলাশয়, সমাধী রাস্তা ইত্যাদিতে সজ্জিত ছিল। কালের বিবর্তনে টিকে থাকা স্মৃতিসৌধ গুলির মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ , সিঙ্গাইর মসজিদ, রনবিজয়পুর মসজিদ, মাজার সলগ্ন ১ গম্বুজ মসজিদ, খাঁন- ইজাহান, জিন্দাপীর সমাধী এবং রেজাখোদা মসজিদের কথা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। শহরটি দক্ষিনে কমপক্ষে ২.৫ কি,মি এলাকা এবং পুর্ব থেকে পশ্চিমে ৬ কি,মি বিস্তৃত ছিল। ১৯৮৫ সালে সমস্থ মানব জাতির জন্য তার অসামান্য সার্বজনিন মূল্যবোধের স্বীকৃতি হিসাবে ঐতিহিক মসজিদের শহর নামে প্রাচিন শহরটি বাগেরহাট ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্য তালিকায় অন্তরভুক্ত হয়। খাঁনজাহান আলী (রাঃ) কতৃক প্রতিষ্ঠিত মধ্যযুগীয় শহরটি মসজিদ, মাদ্রাসা, সরাইখানা, রাস্তাঘাট মহাসড়ক এবং সেতু নির্মান করেছেন। বৃহত্তম যশোর ও খুলনা জেলাগুলিতে অগনিত দীঘি খনন করেছিলেন।এটি বাগেরহাটের মসজিদ সমন্ময়ে গঠিত। খলিফাবাদ ও দুর্গ নগরির পাশাপাশি তিনি মুড়লি কসবা, পায়রাগ্রাম কসবা এবং যশোর বারোবাজারের মত তিনটি জনপদ গড়ে তোলেন। কথিত আছে যে তিনি বাগেরহাট থেকে চট্রগ্রাম পযন্ত একটি মহাসড়ক, রূপসার সামন্তসেনা থেকে বাগেরহাটের বাদোখালি পযন্ত ৩২ কি,মি (২০ মাইল) দীর্ঘ রাস্তা এবং ফকিরহাটের শুকদাড়া থেকে খুলনার দৌলতপুর পযন্ত প্রাচিন একটি রাস্তা তৌরি করেছিলেন। অসখ্য দীঘি ও পুকুরগুলির মধ্যে সমাধী সংলগ্ন ঠাকুর দীঘি এবং ষাটগম্বুজ মসজিদের পশ্চিমে ঘোড়াদীঘি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। খুলনা, যশোর ও বরিশালের বৃহত্তম জেলাগুলিতে খানজাহানের স্থাপত্যকীর্তি শৈলিতে নির্মিত অনেকগুলি নিদের্শন দেখা যায়। উলুঘ খাঁনজাহানের সময়কালে এই প্রাচিন শহরের নাম ছিলো খলিফাবাদ। সম্ভাবত খলিফাবাদ এই অঞ্চলের রাজধানী ছিল বা এই প্রাচিন শহর থেকে উলুঘ খাঁনজাহানের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল। খাঁনজাহানের রীতির ধংশাবশেসগুলি পরবর্তিতে খুলনা যশোর এবং বরিশালেও দেখা যায়। সুপেয় পানি ও জলের অভাব দুরিকরনার্থে তিনি বিভিন্ন স্থানে প্রাচিনঘাট সহ সুবিশাল দীঘি খনন করেছিলেন।
বিশ্বঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদের পশ্চিমপাশে ঐতিহাসিক ঘোড়াদীঘি অবস্থিত। স্থানীয় ভাবে ঘোড়াদীঘি বা খাঁনঞ্জলীর দীঘী নামে সুপরিচিত। এই দীঘিটির পরিমাপ ১২৪৭( পুর্ব- পশ্চিম) * ৭৪০ (উত্তর দক্ষিন) ফুট। কথিত আছে খাঁনজাহান আলী( রাঃ) ৩৬০ টি দীঘি খনন ও মসজিদ নির্মান করেন। এই সুবিশাল দীঘিটি তিনটি মৌজার (মগরা, সুন্দরঘোনা, বাজেয়াপ্তী সুন্দরঘোনা) অন্তরগত প্রায় ৪০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই দীঘির নাম করন সম্পর্কে বিভিন্ন শ্রুতি কাহিনী রয়েছে যে হযরত খাঁনজাহান আলী(রাঃ) দীঘি খননোত্তর কালে দীঘিতে পানি না ওঠায় তিনি ঘোড়ার পিঠে আহরন করে দীঘির অভ্যন্তরে পরিভ্রমন করেন বলে এরূপ নাম করন করা হয়। এই দীঘির পানি সুপেয়। দীঘিতে অনেকেই নানা রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি, মনবাসনা পুন্যের আশায় দীঘির পানি পান করে থাকেন কিম্বা গোসল করে নিজেকে পবিত্র করে তোলেন। এই দীঘিটি ১৯৮৬ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তির (সংরক্ষিত জলাশয়) এর তালিকাভুক্ত করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

চুরির মামলায় বিপিএল হাউজিংয়ের সাবেক কর্মকর্তার জামিন বাতিল

খাঁন জাহান আলীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

আপডেট সময় ০৫:০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

উলুঘ খাঁন জাহান আলী(রাঃ) ছিলেন মহান সাধক বেক্তি, নির্মাতা, ও ধর্ম প্রচারক। তার জন্ম তারিখ সাল সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও তিনি ২৫ অক্টোবর ১৪৫৯ খ্রীঃ বাগেরহাটে মৃত্যু বরন করেন। তিনি উলুঘ খাঁন- ই- জাহান এবং খাঁন-ই -আজম নামেও পরিচিত। খাঁন-ই আজম সরকারি খেতাবটি ইঙ্গিত দেয় তিনি ছিলেন বাংলার সুলতান নাসিরউদ্দিন মাহামুদ শাহ্ প্রথম(১৪৪২থেকে ১৪৪৯খ্রীঃ) এর একজন কর্মকর্তা।তার নামের আগে উলুঘ শব্দটি তার উজবেগ জাতি সত্তার ইঙ্গিতবাহী। তার কোন নির্ভরযোগ্য প্রত্নসুত্রে কিংম্বা ইতিহাস সমর্থিত কোন সুত্রে খাঁন জাহান সম্পর্কে জানা যাইনি। ধারনা করা হয় সম্ভবত তুগলুকের অধিনে এক যোদ্ধা খাঁন জাহান আলী। তৈমুর আক্রমনে দিল্লিতে পদচৃুৎ হওয়ার পরে তিনি( ১৩৩৮ খ্রীঃ) বাংলায় এসেছিলেন। তিনি দিল্লির সুলতান থেকে পরে বাংলার সুলতান তথা সুন্দরবনে বনাঞ্চলে বসতি ও গোড়াপত্তন করেন। মানব বসতি স্থাপনের জন্য সুন্দর বনের গভীর অরন্য ঘনজঙ্গল পরিস্কার করে ১৫ শতক জমিতে বসবাসের স্থান করে বাগেরহাট কে একটি বাসযোগ্য নগরীতে পরিনত করেন। তিনি দক্ষিনে ইসলাম প্রচারের ঝান্ডাবাহী প্রাচিনতম বার্তাবাহক হিসাবে সমৃদ্ধ শহর প্রতিষ্ঠায় নিউক্লিয়াসের ভুমিকা পালন করেছিলেন। উলুঘ খাঁনজাহান কে তদানন্তিন বাংলার সুলতান নাসিরউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ্ (১৪৪২ থেকে ১৪৫৯খ্রীঃ) এর সমসাময়িক বলে মনে করা হয়। খাঁন জাহান আলী( রাঃ) পরবর্তি ইলিয়াস শাহী রাজবংশের শাসনকালে বাংলার এই অংশ জয় করেছিলেন। এবং এখানেই তিনি শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। খাঁনজাহান আলী (রাঃ) এর আগে এখানে কোন মুসলীম শাসনের কোন স্থাপত্ব প্রমান পাওয়া যায়নি। খলিফাবাদ ও এর আশেপাশে একটি বিস্তৃত অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা করলেও কার্যত তিনি দিল্লীর অধিনস্থ একজন শাসক হিসাবে স্বাধীন শাসনভার পরিচালনা করেন। তবে তার নিজ নামে কোন মুদ্রা প্রবর্তন এবং খুতবা জারির প্রমান মেলেনি। মহান সাধক ও নির্মাতা কতৃক বাগেরহাট শহরের পশ্চিম উপকন্ঠে খ্রীষ্টিয় ১৫ শতকে একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংখ্যাতাত্বিক প্রমানের ভিত্তিত্বে কিছু পন্ডিতের মতে এই শহরটিকে খলিফাবাদ বলা হত। খ্রীষ্টিয় ১৬ শতকের দিকে সমৃদ্ধির সময় শহরটি অনেকগুলি প্রাচিন স্থাপনা মসজিদ, জলাশয়, সমাধী রাস্তা ইত্যাদিতে সজ্জিত ছিল। কালের বিবর্তনে টিকে থাকা স্মৃতিসৌধ গুলির মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ , সিঙ্গাইর মসজিদ, রনবিজয়পুর মসজিদ, মাজার সলগ্ন ১ গম্বুজ মসজিদ, খাঁন- ইজাহান, জিন্দাপীর সমাধী এবং রেজাখোদা মসজিদের কথা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। শহরটি দক্ষিনে কমপক্ষে ২.৫ কি,মি এলাকা এবং পুর্ব থেকে পশ্চিমে ৬ কি,মি বিস্তৃত ছিল। ১৯৮৫ সালে সমস্থ মানব জাতির জন্য তার অসামান্য সার্বজনিন মূল্যবোধের স্বীকৃতি হিসাবে ঐতিহিক মসজিদের শহর নামে প্রাচিন শহরটি বাগেরহাট ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্য তালিকায় অন্তরভুক্ত হয়। খাঁনজাহান আলী (রাঃ) কতৃক প্রতিষ্ঠিত মধ্যযুগীয় শহরটি মসজিদ, মাদ্রাসা, সরাইখানা, রাস্তাঘাট মহাসড়ক এবং সেতু নির্মান করেছেন। বৃহত্তম যশোর ও খুলনা জেলাগুলিতে অগনিত দীঘি খনন করেছিলেন।এটি বাগেরহাটের মসজিদ সমন্ময়ে গঠিত। খলিফাবাদ ও দুর্গ নগরির পাশাপাশি তিনি মুড়লি কসবা, পায়রাগ্রাম কসবা এবং যশোর বারোবাজারের মত তিনটি জনপদ গড়ে তোলেন। কথিত আছে যে তিনি বাগেরহাট থেকে চট্রগ্রাম পযন্ত একটি মহাসড়ক, রূপসার সামন্তসেনা থেকে বাগেরহাটের বাদোখালি পযন্ত ৩২ কি,মি (২০ মাইল) দীর্ঘ রাস্তা এবং ফকিরহাটের শুকদাড়া থেকে খুলনার দৌলতপুর পযন্ত প্রাচিন একটি রাস্তা তৌরি করেছিলেন। অসখ্য দীঘি ও পুকুরগুলির মধ্যে সমাধী সংলগ্ন ঠাকুর দীঘি এবং ষাটগম্বুজ মসজিদের পশ্চিমে ঘোড়াদীঘি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। খুলনা, যশোর ও বরিশালের বৃহত্তম জেলাগুলিতে খানজাহানের স্থাপত্যকীর্তি শৈলিতে নির্মিত অনেকগুলি নিদের্শন দেখা যায়। উলুঘ খাঁনজাহানের সময়কালে এই প্রাচিন শহরের নাম ছিলো খলিফাবাদ। সম্ভাবত খলিফাবাদ এই অঞ্চলের রাজধানী ছিল বা এই প্রাচিন শহর থেকে উলুঘ খাঁনজাহানের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল। খাঁনজাহানের রীতির ধংশাবশেসগুলি পরবর্তিতে খুলনা যশোর এবং বরিশালেও দেখা যায়। সুপেয় পানি ও জলের অভাব দুরিকরনার্থে তিনি বিভিন্ন স্থানে প্রাচিনঘাট সহ সুবিশাল দীঘি খনন করেছিলেন।
বিশ্বঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদের পশ্চিমপাশে ঐতিহাসিক ঘোড়াদীঘি অবস্থিত। স্থানীয় ভাবে ঘোড়াদীঘি বা খাঁনঞ্জলীর দীঘী নামে সুপরিচিত। এই দীঘিটির পরিমাপ ১২৪৭( পুর্ব- পশ্চিম) * ৭৪০ (উত্তর দক্ষিন) ফুট। কথিত আছে খাঁনজাহান আলী( রাঃ) ৩৬০ টি দীঘি খনন ও মসজিদ নির্মান করেন। এই সুবিশাল দীঘিটি তিনটি মৌজার (মগরা, সুন্দরঘোনা, বাজেয়াপ্তী সুন্দরঘোনা) অন্তরগত প্রায় ৪০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই দীঘির নাম করন সম্পর্কে বিভিন্ন শ্রুতি কাহিনী রয়েছে যে হযরত খাঁনজাহান আলী(রাঃ) দীঘি খননোত্তর কালে দীঘিতে পানি না ওঠায় তিনি ঘোড়ার পিঠে আহরন করে দীঘির অভ্যন্তরে পরিভ্রমন করেন বলে এরূপ নাম করন করা হয়। এই দীঘির পানি সুপেয়। দীঘিতে অনেকেই নানা রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি, মনবাসনা পুন্যের আশায় দীঘির পানি পান করে থাকেন কিম্বা গোসল করে নিজেকে পবিত্র করে তোলেন। এই দীঘিটি ১৯৮৬ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তির (সংরক্ষিত জলাশয়) এর তালিকাভুক্ত করা হয়।