ঢাকা ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ০১

মোঃ আল আমিন আকন, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর চুরি হওয়া অস্ত্র ও গুলিসহ বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামাল উদ্ধার।

মঙ্গলবার ২১/১১/২০২৩ খ্রিঃ দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম পিপিএম- বিপিএম জানান, গত ৫ নভেম্বর হতে ১৯ নভেম্বর এ সময়ের মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা চোরদল শহরের আরামবাগ এলাকায় অবঃ কাস্টমস অফিসার এ.কে এম কবির উদ্দিন (৭২) এর বসত ঘরের পিছনের দরজাভেঙ্গে প্রবেশ করে স্টীলের আলমারি ভেঙ্গে লাইসেন্সকৃত পিস্তল ও শর্টগান সহ ঘরে রক্ষিত বিপুল পরিমানে মালামাল চুরি হয় যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য, উপাত্ত,আলামত সংগ্রহ পূর্বক ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তৎপর হয়।
পরে পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মো. সাজেদুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে আরামবাগ এলাকা হতে চুরি হওয়া অস্ত্র ও মালামাল সহ দুর্ধর্ষ চোর মোঃ মনিরুজ্জামান (৪৪) কে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র সমূহ হচ্ছে-
একটি ১২ বোর শর্টগান(এসবিবিএল), যাহার নং-৩৮২৫, মেইড ইন-বেলজিয়াম, লাইসেন্স এর সিরিয়াল নং-২/১৩৮৯, একটি ,২৫ বোর এনপিপি পিস্তল, যাহার নং-৮৮৫৭৩, মেইড ইন-জার্মানি, লাইসেন্স নং-পটুয়া-২৪২, ০১ রাউন্ড .২৫ বোর এনপিপি পিস্তলের গুলি, ৪১ রাউন্ড ১২ বোর শর্টগান(এসবিবিএল) এর কার্তুজ, একটি পুরাতন প্লাস্টিকের হাতল সহ লোহার তৈরী রিভার বার সাদৃশ্য খেলনা রিভল বার, একটি লাল খয়েরী চাকা যুক্ত ট্রলি ব্যাগ,
একটি কালো রংয়ের পুরাতন লাগেজ, একটি পুরাতন কালো রংয়ের ব্রিফকেচ, একটি কালো বড় ব্যাগ, একটি কালো রংয়ের হাত ব্যাগ,বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩০টি পুরাতন শাড়ী কাপড়, ২টি বড় কম্বোল, বিভিন্ন রংয়ের কাঁথা-৫টি, মশারি-১টি, চান্দিনা-২টি, বোরকা-৩টি, বিছানার চাদর-৪টি,গায়ের শাল চাদর-১টি, তোয়ালে-২টি, ০২ টি ওয়াটার হিটার।
এ চুরির কাজে ব্যবহৃত শাবল, হাতুরি, প্লাস,কাটিং প্লাস,১ টি টর্চ লাইট, ১ টি সেলাই রেঞ্ছ, ২ টি লোহার ছেনি।
পুলিশ সুপার জানান, পৌরসভার স্থাপিত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগহ পূর্বক বিশ্লেষন করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সনাক্ত করে সোমবার রাতে দুধর্ষ চোর মনিরুজ্জামান মুন্নাকে গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া অস্ত্র – মালামাল উদ্ধার করতে পুলিশ সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে চুরি করার কথা স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য,বাদী অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস অফিসার এ.কে এম কবির উদ্দিন ৫ নভেম্বর বিকাল ৪ টায় ডাক্তার দেখানোর জন্য তার স্ত্রী নাসরীন সুলতানাকে নিয়ে ঢাকাতে যায়। বাসায় কেউ না থাকায় তিনি তার বাসা তালাবদ্ধ করে রেখে যায়। এ সুযোগে একই এলাকার চোর মুন্না ১৮ নভেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মুন্না আরো জানায় , সে পূর্বে কাঠমিস্ত্রীর কাজসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত ছিলো।
বর্তমানে সে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডে-গার্ড হিসেবে মাষ্টাররোলে চাকুরী করে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় ২০ নভেম্বর মামলা রুজু হয়। মামলা নং-২১, ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড এ মামলা রুজুকরা হয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ এবং মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলমান রয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান। প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপ্স)
রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের, পিপিএম)সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ০১

আপডেট সময় ০৮:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

মোঃ আল আমিন আকন, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর চুরি হওয়া অস্ত্র ও গুলিসহ বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামাল উদ্ধার।

মঙ্গলবার ২১/১১/২০২৩ খ্রিঃ দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম পিপিএম- বিপিএম জানান, গত ৫ নভেম্বর হতে ১৯ নভেম্বর এ সময়ের মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা চোরদল শহরের আরামবাগ এলাকায় অবঃ কাস্টমস অফিসার এ.কে এম কবির উদ্দিন (৭২) এর বসত ঘরের পিছনের দরজাভেঙ্গে প্রবেশ করে স্টীলের আলমারি ভেঙ্গে লাইসেন্সকৃত পিস্তল ও শর্টগান সহ ঘরে রক্ষিত বিপুল পরিমানে মালামাল চুরি হয় যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য, উপাত্ত,আলামত সংগ্রহ পূর্বক ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তৎপর হয়।
পরে পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মো. সাজেদুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে আরামবাগ এলাকা হতে চুরি হওয়া অস্ত্র ও মালামাল সহ দুর্ধর্ষ চোর মোঃ মনিরুজ্জামান (৪৪) কে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র সমূহ হচ্ছে-
একটি ১২ বোর শর্টগান(এসবিবিএল), যাহার নং-৩৮২৫, মেইড ইন-বেলজিয়াম, লাইসেন্স এর সিরিয়াল নং-২/১৩৮৯, একটি ,২৫ বোর এনপিপি পিস্তল, যাহার নং-৮৮৫৭৩, মেইড ইন-জার্মানি, লাইসেন্স নং-পটুয়া-২৪২, ০১ রাউন্ড .২৫ বোর এনপিপি পিস্তলের গুলি, ৪১ রাউন্ড ১২ বোর শর্টগান(এসবিবিএল) এর কার্তুজ, একটি পুরাতন প্লাস্টিকের হাতল সহ লোহার তৈরী রিভার বার সাদৃশ্য খেলনা রিভল বার, একটি লাল খয়েরী চাকা যুক্ত ট্রলি ব্যাগ,
একটি কালো রংয়ের পুরাতন লাগেজ, একটি পুরাতন কালো রংয়ের ব্রিফকেচ, একটি কালো বড় ব্যাগ, একটি কালো রংয়ের হাত ব্যাগ,বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩০টি পুরাতন শাড়ী কাপড়, ২টি বড় কম্বোল, বিভিন্ন রংয়ের কাঁথা-৫টি, মশারি-১টি, চান্দিনা-২টি, বোরকা-৩টি, বিছানার চাদর-৪টি,গায়ের শাল চাদর-১টি, তোয়ালে-২টি, ০২ টি ওয়াটার হিটার।
এ চুরির কাজে ব্যবহৃত শাবল, হাতুরি, প্লাস,কাটিং প্লাস,১ টি টর্চ লাইট, ১ টি সেলাই রেঞ্ছ, ২ টি লোহার ছেনি।
পুলিশ সুপার জানান, পৌরসভার স্থাপিত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগহ পূর্বক বিশ্লেষন করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সনাক্ত করে সোমবার রাতে দুধর্ষ চোর মনিরুজ্জামান মুন্নাকে গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া অস্ত্র – মালামাল উদ্ধার করতে পুলিশ সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে চুরি করার কথা স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য,বাদী অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস অফিসার এ.কে এম কবির উদ্দিন ৫ নভেম্বর বিকাল ৪ টায় ডাক্তার দেখানোর জন্য তার স্ত্রী নাসরীন সুলতানাকে নিয়ে ঢাকাতে যায়। বাসায় কেউ না থাকায় তিনি তার বাসা তালাবদ্ধ করে রেখে যায়। এ সুযোগে একই এলাকার চোর মুন্না ১৮ নভেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মুন্না আরো জানায় , সে পূর্বে কাঠমিস্ত্রীর কাজসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত ছিলো।
বর্তমানে সে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডে-গার্ড হিসেবে মাষ্টাররোলে চাকুরী করে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় ২০ নভেম্বর মামলা রুজু হয়। মামলা নং-২১, ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড এ মামলা রুজুকরা হয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ এবং মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলমান রয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান। প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপ্স)
রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের, পিপিএম)সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।