ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনে নিযুক্ত বিদেশি দূতদের সিআরআরসি পরিদর্শন

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৮:১২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি ৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার চীনে নিযুক্ত ৮৩ জন দূত সিআরারসি থাংশান কো. লিমিটেডে গিয়ে কাছ থেকে রেল-ট্রাফিক গবেষণা, উন্নয়ন ও উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেন এবং রেল-ট্রাফিক সরঞ্জাম উৎপাদন ক্ষেত্রে চীনা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সাফল্য উপলব্ধি করেন।

সিআরআরসির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান রেল ট্রাফিক অর্থনৈতিক সমাজ উন্নয়নের বড় ধমনী এবং বিভিন্ন দেশের অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। একটি বিশ্বে নেতৃত্বাধীন রেল ট্রাফিক সরঞ্জাম শিল্পায়ন গ্রুপ হিসেবে সিআরআরসি’র পরিষেবা বিশ্বের ১১৫টি দেশ ও অঞ্চল বিস্তৃত হয়েছে।

অ্যালুমিনিয়াম অ্যালো কার্বডি হলো দ্রুতগতির ট্রেনের নয়টি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির অন্যতম। ইএমইউ ট্রেন বডি উৎপাদন বেসে দূতেরা এক একটি অ্যালুমিনিয়াম প্রোফাইল সম্পূর্ণ লুমিনিয়াম অ্যালো কার্বডিতে পরিণত হবার প্রক্রিয়া উপলব্ধি করেছেন। জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসে বর্তমানে মোট ১২টি উৎপাদন লাইন ইতিবাচকভাবে রোবট সিমুলেশন এবং ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তির অন্বেষণ ও চেষ্টা বেগবান করছে এবং এগুলো এ খাতের নেতৃত্বাধীন টুইন প্রযুক্তি বুদ্ধিমান উৎপাদন বেস।

“চীনের রেল-ট্রাফিক প্রযুক্তির উন্নয়ন কল্পনাতীত। আজকের পরিদর্শন চীনের রেল-ট্রাফিক উন্নয়ন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে।” চীনে নিযুক্ত নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রদূত মাইকেল ক্যাম্পবেল বলেন, নিকারাগুয়ায় এখনও রেল নেটওয়ার্ক নেই। কিন্তু অন্যান্য লাতিন-আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশের মতো চীনের অগ্রণী রেল-ট্রাফিক পণ্যের ওপর আগ্রহ রয়েছে তার দেশের। যদিও নিকারাগুয়ার অর্থনৈতিক আকার ছোট, তবু সুবিধাজনক ভৌগলিক অবস্থান আছে। ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প উন্নয়ন করার প্রত্যাশা করেন তিনি।

সমাবেশ বিভাগের কমিশনিং উৎপাদন লাইনে, এক একটি ট্র্যাক উৎপাদন, লাইনের প্রধান কাজ ব্যাখ্যা করছে। সেটা হলো ইএমইউ ও সাবওয়ে’র মতো ট্র্যাক সরঞ্জামের ডিবাগিং, পরীক্ষা ও প্রাক্তন কারখানা ডেলিভারি। দূতেরা পরপর ইএমইউ’র পরিবর্তনশীল গঠন এবং ফুচৌ মেরিনা এক্সপ্রেস ট্রেনের নমুনা ট্রেন পরিদর্শন করে, চীনের ইএমইউ ও শহুরে ট্রেনের আরামদায়ক পরিবেশ অনুভব করেছেন।

চীনে নিযুক্ত কলম্বিয়া দূতাবাসের অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত হোসে দিয়াজ বলেন, চীনের রেল ট্রাফিক প্রযুক্তির অসামান্য কৃতিত্ব বিশ্বের অগ্রণী মানের প্রতিনিধিত্ব করছে। চীনের উচ্চমানের উন্নয়ন অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য সংশ্লিষ্ট সমাধান পরিকল্পনা সরবরাহ করেছে। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে কলম্বিয়া ও চীন অধিকতরভাবে আন্তঃযোগাযোগ জোরদার করে, জয়-জয় উন্নয়ন অর্জন করবে।

পরিদর্শনের ফাঁকে চীনে নিযুক্ত সৌদি আরবের মিনিস্টার কাসিম গোশরান তাঁর তোলা সিআরআরসি’র উৎাপাদিত মক্কা হালকা-রেল ট্রেনের ছবি দেখান। তিনি বলেন, ট্রেনটি স্থানীয় অধিবাসীদের বিরাট সুবিধা দেবে। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে চীন অবকাঠামো উন্নয়নের বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা আরো বেশি উন্নয়নশীল দেশে সরবরাহ করে, সারা বিশ্ব উন্নয়ন ফলাফল ভাগাভাগি করতে পারবে।
সূত্র: প্রেমা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

চীনে নিযুক্ত বিদেশি দূতদের সিআরআরসি পরিদর্শন

আপডেট সময় ০৮:১২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

সম্প্রতি ৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার চীনে নিযুক্ত ৮৩ জন দূত সিআরারসি থাংশান কো. লিমিটেডে গিয়ে কাছ থেকে রেল-ট্রাফিক গবেষণা, উন্নয়ন ও উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেন এবং রেল-ট্রাফিক সরঞ্জাম উৎপাদন ক্ষেত্রে চীনা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সাফল্য উপলব্ধি করেন।

সিআরআরসির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান রেল ট্রাফিক অর্থনৈতিক সমাজ উন্নয়নের বড় ধমনী এবং বিভিন্ন দেশের অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। একটি বিশ্বে নেতৃত্বাধীন রেল ট্রাফিক সরঞ্জাম শিল্পায়ন গ্রুপ হিসেবে সিআরআরসি’র পরিষেবা বিশ্বের ১১৫টি দেশ ও অঞ্চল বিস্তৃত হয়েছে।

অ্যালুমিনিয়াম অ্যালো কার্বডি হলো দ্রুতগতির ট্রেনের নয়টি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির অন্যতম। ইএমইউ ট্রেন বডি উৎপাদন বেসে দূতেরা এক একটি অ্যালুমিনিয়াম প্রোফাইল সম্পূর্ণ লুমিনিয়াম অ্যালো কার্বডিতে পরিণত হবার প্রক্রিয়া উপলব্ধি করেছেন। জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসে বর্তমানে মোট ১২টি উৎপাদন লাইন ইতিবাচকভাবে রোবট সিমুলেশন এবং ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তির অন্বেষণ ও চেষ্টা বেগবান করছে এবং এগুলো এ খাতের নেতৃত্বাধীন টুইন প্রযুক্তি বুদ্ধিমান উৎপাদন বেস।

“চীনের রেল-ট্রাফিক প্রযুক্তির উন্নয়ন কল্পনাতীত। আজকের পরিদর্শন চীনের রেল-ট্রাফিক উন্নয়ন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে।” চীনে নিযুক্ত নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রদূত মাইকেল ক্যাম্পবেল বলেন, নিকারাগুয়ায় এখনও রেল নেটওয়ার্ক নেই। কিন্তু অন্যান্য লাতিন-আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশের মতো চীনের অগ্রণী রেল-ট্রাফিক পণ্যের ওপর আগ্রহ রয়েছে তার দেশের। যদিও নিকারাগুয়ার অর্থনৈতিক আকার ছোট, তবু সুবিধাজনক ভৌগলিক অবস্থান আছে। ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প উন্নয়ন করার প্রত্যাশা করেন তিনি।

সমাবেশ বিভাগের কমিশনিং উৎপাদন লাইনে, এক একটি ট্র্যাক উৎপাদন, লাইনের প্রধান কাজ ব্যাখ্যা করছে। সেটা হলো ইএমইউ ও সাবওয়ে’র মতো ট্র্যাক সরঞ্জামের ডিবাগিং, পরীক্ষা ও প্রাক্তন কারখানা ডেলিভারি। দূতেরা পরপর ইএমইউ’র পরিবর্তনশীল গঠন এবং ফুচৌ মেরিনা এক্সপ্রেস ট্রেনের নমুনা ট্রেন পরিদর্শন করে, চীনের ইএমইউ ও শহুরে ট্রেনের আরামদায়ক পরিবেশ অনুভব করেছেন।

চীনে নিযুক্ত কলম্বিয়া দূতাবাসের অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত হোসে দিয়াজ বলেন, চীনের রেল ট্রাফিক প্রযুক্তির অসামান্য কৃতিত্ব বিশ্বের অগ্রণী মানের প্রতিনিধিত্ব করছে। চীনের উচ্চমানের উন্নয়ন অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য সংশ্লিষ্ট সমাধান পরিকল্পনা সরবরাহ করেছে। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে কলম্বিয়া ও চীন অধিকতরভাবে আন্তঃযোগাযোগ জোরদার করে, জয়-জয় উন্নয়ন অর্জন করবে।

পরিদর্শনের ফাঁকে চীনে নিযুক্ত সৌদি আরবের মিনিস্টার কাসিম গোশরান তাঁর তোলা সিআরআরসি’র উৎাপাদিত মক্কা হালকা-রেল ট্রেনের ছবি দেখান। তিনি বলেন, ট্রেনটি স্থানীয় অধিবাসীদের বিরাট সুবিধা দেবে। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে চীন অবকাঠামো উন্নয়নের বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা আরো বেশি উন্নয়নশীল দেশে সরবরাহ করে, সারা বিশ্ব উন্নয়ন ফলাফল ভাগাভাগি করতে পারবে।
সূত্র: প্রেমা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।