ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীন-সার্বিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার ‘যৌথ বিবৃতি’ স্বাক্ষর

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৮:৫০:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

৮ই মে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচ বেলগ্রেডের সার্বিয়ান ভবনে বৈঠক করেছেন। তাঁরা চীন-সার্বিয়া সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গভীর ও উন্নত করা এবং নতুন যুগে চীন-সার্বিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছেন।

বেলগ্রেডের সার্বিয়ান ভবনের সামনে ভুচিচ সি চিন পিংয়ের জন্য জমকালো স্বাগত অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। স্বাগত অনুষ্ঠানের পর তাঁরা ছোট মাপের সভা ও বড় মাপের বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, ৮ বছর পর তিনি সার্বিয়া সফর করছেন। প্রেসিডেন্ট ভুচিচ ও সার্বিয়ান সরকারের আতিথেয়তা ও সুন্দর ব্যবস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
সি চিন পিং বলেন, প্রেসিডেন্ট ভুচিচ কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ও ঐতিহাসিক দায়িত্ববোধের অসামান্য রাজনীতিবিদ। তার নেতৃত্বে সার্বিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে, অর্থনীতি দ্রুত উন্নত হচ্ছে, গণজীবিকা উন্নত হচ্ছে এবং সামগ্রিক জাতীয় শক্তি ও আন্তর্জাতিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নীত হয়েছে। সার্বিয়ার প্রকৃত বন্ধু ও ভালো অংশীদার হিসেবে তিনি খুব খুশি।

সি চিন পিং বলেন, চীন ও সার্বিয়ার লৌহকঠিন বন্ধুত্ব আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, এ সম্পর্কের গভীর ঐতিহ্য, দৃঢ় রাজনৈতিক ভিত্তি, ব্যাপক স্বার্থ ও শক্ত জনভিত্তি রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি প্রেসিডেন্ট ভুচিচের সঙ্গে চীন-সার্বিয়া সম্পর্কের কৌশলগত ও সামগ্রিক বিষয়ে অনেকবার যোগাযোগ করেছেন, দু’দেশের সম্পর্কের দ্রুত উন্নয়ন ও ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

২০১৬ সালে চীন-সার্বিয়ার সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হয়েছে, ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে এবং চীন-সার্বিয়া সম্পর্ক চীন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। এবারের সফরে সি চিন পিং ও ভুচিচ ‘চীন-সার্বিয়া সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক গভীর ও উন্নত করবেন, নতুন যুগে চীন-সার্বিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার যৌথ বিবৃতি’ স্বাক্ষর করবেন এবং চীন-সার্বিয়া সম্পর্কের নতুন ঐতিহাসিক অধ্যায় রচনা করবেন।

এই নতুন ঐতিহাসিক সূচনায় দাড়িয়ে চীন সার্বিয়ার সঙ্গে লৌহকঠিন বন্ধুত্ব বজায় রাখা, দু’দেশের মৌলিক স্বার্থ ও দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। যৌথভাবে চীন-সার্বিয়ার অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠা জোরদার করা হবে এবং মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠন করা হবে।
সূত্র: তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

চীন-সার্বিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার ‘যৌথ বিবৃতি’ স্বাক্ষর

আপডেট সময় ০৮:৫০:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

৮ই মে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচ বেলগ্রেডের সার্বিয়ান ভবনে বৈঠক করেছেন। তাঁরা চীন-সার্বিয়া সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গভীর ও উন্নত করা এবং নতুন যুগে চীন-সার্বিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছেন।

বেলগ্রেডের সার্বিয়ান ভবনের সামনে ভুচিচ সি চিন পিংয়ের জন্য জমকালো স্বাগত অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। স্বাগত অনুষ্ঠানের পর তাঁরা ছোট মাপের সভা ও বড় মাপের বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, ৮ বছর পর তিনি সার্বিয়া সফর করছেন। প্রেসিডেন্ট ভুচিচ ও সার্বিয়ান সরকারের আতিথেয়তা ও সুন্দর ব্যবস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
সি চিন পিং বলেন, প্রেসিডেন্ট ভুচিচ কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ও ঐতিহাসিক দায়িত্ববোধের অসামান্য রাজনীতিবিদ। তার নেতৃত্বে সার্বিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে, অর্থনীতি দ্রুত উন্নত হচ্ছে, গণজীবিকা উন্নত হচ্ছে এবং সামগ্রিক জাতীয় শক্তি ও আন্তর্জাতিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নীত হয়েছে। সার্বিয়ার প্রকৃত বন্ধু ও ভালো অংশীদার হিসেবে তিনি খুব খুশি।

সি চিন পিং বলেন, চীন ও সার্বিয়ার লৌহকঠিন বন্ধুত্ব আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, এ সম্পর্কের গভীর ঐতিহ্য, দৃঢ় রাজনৈতিক ভিত্তি, ব্যাপক স্বার্থ ও শক্ত জনভিত্তি রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি প্রেসিডেন্ট ভুচিচের সঙ্গে চীন-সার্বিয়া সম্পর্কের কৌশলগত ও সামগ্রিক বিষয়ে অনেকবার যোগাযোগ করেছেন, দু’দেশের সম্পর্কের দ্রুত উন্নয়ন ও ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

২০১৬ সালে চীন-সার্বিয়ার সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হয়েছে, ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে এবং চীন-সার্বিয়া সম্পর্ক চীন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। এবারের সফরে সি চিন পিং ও ভুচিচ ‘চীন-সার্বিয়া সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক গভীর ও উন্নত করবেন, নতুন যুগে চীন-সার্বিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার যৌথ বিবৃতি’ স্বাক্ষর করবেন এবং চীন-সার্বিয়া সম্পর্কের নতুন ঐতিহাসিক অধ্যায় রচনা করবেন।

এই নতুন ঐতিহাসিক সূচনায় দাড়িয়ে চীন সার্বিয়ার সঙ্গে লৌহকঠিন বন্ধুত্ব বজায় রাখা, দু’দেশের মৌলিক স্বার্থ ও দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। যৌথভাবে চীন-সার্বিয়ার অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠা জোরদার করা হবে এবং মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠন করা হবে।
সূত্র: তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।