ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে ৪০ চিকিৎসকের ২৬ জনই নেই

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে ২৬টি পদ শূন্য রয়েছে। কর্মরত আছেন মাত্র ১৪ জন চিকিৎসক। তাদের বেশির ভাগের আবার আবাসন সঙ্কট। এতে নড়াইলের জনগোষ্ঠী আধুনিক ও সুষ্ঠু স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চর্ম, চক্ষু, রেডিওলজিসহ বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক নেই। যে কারণে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সার্জারি ও গাইনি বিভাগে সিনিয়র কনসালটেন্টের পদও খালি।

জুনিয়র মেডিকেল অফিসারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জোড়াতালি দিয়ে। হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক, রেডিওলজি বিভাগ কার্যকর থাকলেও জনবল আরও বাড়লে রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব ও মান আরও বাড়ানো যাবে।

হাসপাতালের এক্সরে বিভাগে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি চালু থাকলেও সিআর মেশিনটি নষ্ট। যার কারণে বিভাগটি চলছে জোড়াতালি দিয়ে। অন্য বিভাগগুলোতেও দৈন্যদশা বিরাজ করছে।

এদিকে রোগীদের চিকিৎসা নেয়া এখন কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য বিভাগ ও হাসপাতালে বেশিরভাগ কর্মচারীর পদও শূন্য রয়েছে। যার কারণে হাসপাতালটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। আউট সোর্সের মাধ্যমে সম্প্রতি কিছু লোক দিয়ে হাসপাতাল পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, নড়াইলের আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রস্তাবিত বেড সংখ্যা ২৫০টি। বাস্তবে কার্যকর আছে একশ’টি। অথচ প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হন। আবার বহির্বিভাগেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন দিনে কমপক্ষে ১ হাজার থেকে ১২শ’ রোগীর চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে ৪০ চিকিৎসকের ২৬ জনই নেই

আপডেট সময় ০১:১৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে ২৬টি পদ শূন্য রয়েছে। কর্মরত আছেন মাত্র ১৪ জন চিকিৎসক। তাদের বেশির ভাগের আবার আবাসন সঙ্কট। এতে নড়াইলের জনগোষ্ঠী আধুনিক ও সুষ্ঠু স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চর্ম, চক্ষু, রেডিওলজিসহ বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক নেই। যে কারণে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সার্জারি ও গাইনি বিভাগে সিনিয়র কনসালটেন্টের পদও খালি।

জুনিয়র মেডিকেল অফিসারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জোড়াতালি দিয়ে। হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক, রেডিওলজি বিভাগ কার্যকর থাকলেও জনবল আরও বাড়লে রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব ও মান আরও বাড়ানো যাবে।

হাসপাতালের এক্সরে বিভাগে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি চালু থাকলেও সিআর মেশিনটি নষ্ট। যার কারণে বিভাগটি চলছে জোড়াতালি দিয়ে। অন্য বিভাগগুলোতেও দৈন্যদশা বিরাজ করছে।

এদিকে রোগীদের চিকিৎসা নেয়া এখন কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য বিভাগ ও হাসপাতালে বেশিরভাগ কর্মচারীর পদও শূন্য রয়েছে। যার কারণে হাসপাতালটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। আউট সোর্সের মাধ্যমে সম্প্রতি কিছু লোক দিয়ে হাসপাতাল পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, নড়াইলের আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রস্তাবিত বেড সংখ্যা ২৫০টি। বাস্তবে কার্যকর আছে একশ’টি। অথচ প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হন। আবার বহির্বিভাগেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন দিনে কমপক্ষে ১ হাজার থেকে ১২শ’ রোগীর চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হয়।