ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ Logo আবুধাবিতে ওয়াং ই–শেখ আবদুল্লাহ বৈঠক Logo ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে—রণাঙ্গনে চূড়ান্ত আঘাতের দিন

ফুলবাড়ীতে বোরো ধানের রেকর্ড পরিমাণ ফলন,  কৃষক খুশি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বোরো ধানের রেকর্ড পরিমাণ ফলন হওয়া এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারায় কৃষকরা অনেক খুশি। এ বছর ধানের ফলন হয়েছে শতকে ১ মন। একর প্রতি ১ শত মন ধানের ফলন যা ইতিহাসের  সাক্ষী হয়ে থাকলো। ইতিহাসের সাক্ষী শতকে ১ মন ধান যা ইতোপূর্বে কোনোদিনও ফলেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা খুব সহজে ফসল ঘরে তুলতেছে। তাছাড়া ধান কাটা মাড়াইয়ে প্রতি বছর শ্রমিকের কিছুটা সংকট পরিলক্ষিত হলেও এবছর সেটারও ব্যতিক্রম। এ বছর সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে ধান কাটা মাড়াইয়ের জন্য হারভেস্টার মেশিনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা ইতিপূর্বে ছিলোনা। হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা মাড়াইয়ে সময় যেমন কম লাগছে তেমনি খরচও কম হচ্ছে। সেকারণে কৃষকরা হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করছেন। তাই এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় কৃষক সংকট অনেকাংশে কমে গেছে। কৃষকরা জানান, বোরো মৌসুমে প্রতি বছর আবহাওয়া খারাপ থাকতো এবং শ্রমিক সংকট থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকের সাথে যোগাযোগ করে চড়া মূল্যে নিয়ে আসতে হতো। প্রতিবছর এলাকাভেদে একর প্রতি ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করতে হতো। এবার চিত্র পাল্টে গেছে। হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা মাড়াইয়ে একর প্রতি খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। হারভেস্টার মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর শ্রমিক সংকট অনেক কমে গেছে।

উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, গত বছরে ধান কাটা মাড়াইয়ের সময় শ্রমিকের সংকট এবং আবহাওয়া খারাপ থাকায় ফসল ঘরে তুলতে দেরী হয়। এ বছর হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা মাড়া করা হচ্ছে। এত করে সময় কম লাগছে এবং খরচও কমে গেছে।  তিনি আরো বলেন, এবার বোরো ধানের ফলন রেকর্ড পরিমাণ হয়েছে। ইতোপূর্বে কোনো বছরে এমন ফলন হয়নি। শতকে এক মন করে ধানের ফলন হয়েছে। চিলাপাড়া গ্রামের আশরাফুল আলম চৌধুরী বলেন, এবার শ্রমিকের সংকট তেমন নেই বললেই চলে। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় খুব সহজে কৃষকরা ধান কাটা মাড়াই করে ঘরে তুলতে পারছে। হারভেস্টার মেশিনের ব্যবহার এবছর অনেক বেড়েছে এবং মেশিন দিয়ে ধান কাটায় সময় কম লাগতেছে ও খরচও কমে গেছে। উপজেলার বারোকোনা গ্রামের কৃষক শুকুর আলী জানান, গত বছর চড়া মূল্য দিয়েও সময়মতো শ্রমিক পাওয়া যায়নি। এবছর হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করায় খরচ কমেছে এবং সময়ও কম লাগছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৪ হাজার ১২০ হেক্টর। কিন্তু চাষাবাদ করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার বলেন, এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষক কম খরচে এবং সল্প সময়ে চাষাবাদকৃত বোরো ধান কাটা মাড়া করে ঘরে তুলতে পারে সেলক্ষ্যে উপজেলায় কৃষকদের মাঝে ভর্তুকিতে ২১০ টি হারভেস্টার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য এলাকা থেকেও হারভেস্টার মেশিন এসেছে। বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ে এবছর উপজেলার কোথাও শ্রমিক সংকট নেই। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা খুব সহজে ফসল ঘরে তুলতে পারছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ

SBN

SBN

ফুলবাড়ীতে বোরো ধানের রেকর্ড পরিমাণ ফলন,  কৃষক খুশি

আপডেট সময় ০৬:৩৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বোরো ধানের রেকর্ড পরিমাণ ফলন হওয়া এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারায় কৃষকরা অনেক খুশি। এ বছর ধানের ফলন হয়েছে শতকে ১ মন। একর প্রতি ১ শত মন ধানের ফলন যা ইতিহাসের  সাক্ষী হয়ে থাকলো। ইতিহাসের সাক্ষী শতকে ১ মন ধান যা ইতোপূর্বে কোনোদিনও ফলেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা খুব সহজে ফসল ঘরে তুলতেছে। তাছাড়া ধান কাটা মাড়াইয়ে প্রতি বছর শ্রমিকের কিছুটা সংকট পরিলক্ষিত হলেও এবছর সেটারও ব্যতিক্রম। এ বছর সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে ধান কাটা মাড়াইয়ের জন্য হারভেস্টার মেশিনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা ইতিপূর্বে ছিলোনা। হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা মাড়াইয়ে সময় যেমন কম লাগছে তেমনি খরচও কম হচ্ছে। সেকারণে কৃষকরা হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করছেন। তাই এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় কৃষক সংকট অনেকাংশে কমে গেছে। কৃষকরা জানান, বোরো মৌসুমে প্রতি বছর আবহাওয়া খারাপ থাকতো এবং শ্রমিক সংকট থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকের সাথে যোগাযোগ করে চড়া মূল্যে নিয়ে আসতে হতো। প্রতিবছর এলাকাভেদে একর প্রতি ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করতে হতো। এবার চিত্র পাল্টে গেছে। হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা মাড়াইয়ে একর প্রতি খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। হারভেস্টার মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর শ্রমিক সংকট অনেক কমে গেছে।

উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, গত বছরে ধান কাটা মাড়াইয়ের সময় শ্রমিকের সংকট এবং আবহাওয়া খারাপ থাকায় ফসল ঘরে তুলতে দেরী হয়। এ বছর হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা মাড়া করা হচ্ছে। এত করে সময় কম লাগছে এবং খরচও কমে গেছে।  তিনি আরো বলেন, এবার বোরো ধানের ফলন রেকর্ড পরিমাণ হয়েছে। ইতোপূর্বে কোনো বছরে এমন ফলন হয়নি। শতকে এক মন করে ধানের ফলন হয়েছে। চিলাপাড়া গ্রামের আশরাফুল আলম চৌধুরী বলেন, এবার শ্রমিকের সংকট তেমন নেই বললেই চলে। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় খুব সহজে কৃষকরা ধান কাটা মাড়াই করে ঘরে তুলতে পারছে। হারভেস্টার মেশিনের ব্যবহার এবছর অনেক বেড়েছে এবং মেশিন দিয়ে ধান কাটায় সময় কম লাগতেছে ও খরচও কমে গেছে। উপজেলার বারোকোনা গ্রামের কৃষক শুকুর আলী জানান, গত বছর চড়া মূল্য দিয়েও সময়মতো শ্রমিক পাওয়া যায়নি। এবছর হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করায় খরচ কমেছে এবং সময়ও কম লাগছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৪ হাজার ১২০ হেক্টর। কিন্তু চাষাবাদ করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার বলেন, এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষক কম খরচে এবং সল্প সময়ে চাষাবাদকৃত বোরো ধান কাটা মাড়া করে ঘরে তুলতে পারে সেলক্ষ্যে উপজেলায় কৃষকদের মাঝে ভর্তুকিতে ২১০ টি হারভেস্টার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য এলাকা থেকেও হারভেস্টার মেশিন এসেছে। বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ে এবছর উপজেলার কোথাও শ্রমিক সংকট নেই। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা খুব সহজে ফসল ঘরে তুলতে পারছে।