মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া
কুমিল্লার বরুড়ায় বউ বন্দক দিলেন মাদকাসক্ত স্বামী আবুল খায়ের। স্বামী তিন মাদকসেবীর হাতে তুলে দেয় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সাদিয়াকে।
১৯ এপ্রিল ২৪ ইং গনধর্ষন অভিযোগের মামলায় তিন জন এজহার ভূক্ত আসামীকে রাতেই আটক করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বরুড়া উপজেলার শাকুপুর গ্রামে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় সুমাইয়া আক্তারের স্বামী আবুল খায়ের নেশাগ্রস্ত মাদকসেবী।
টাকা না থাকায় একই গ্রামের মাদককারবারী গ্রামের আবদুল বারেক এর ছেলে নুরুল ইসলাম নুরা (৩০) সাথে তার স্ত্রী যৌন সঙ্গমে যেতে চাপ দেয় স্বামী আবুল খায়ের। ১৬ এপ্রিল আবুল খায়ের এর বসত ঘরে নুরুল ইসলাম নুরার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সুমাইয়াকে। একই রাতে আনুমানিক ২ টার দিকে নুরুল ইসলাম নুরুর বসত ঘরে নিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক জড়ায় নুরা।
১৭ এপ্রিল একই উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের নরিন্দ্রপুর গ্রামের ধানের জলাশয়ের মধ্যখানে সিনএনজি চালক পানির সেঁচের ঘরের মালিক ওহাব মিয়ার (মেশিন ঘরে) নিয়ে রাতে নুরুল ইসলাম নুরা, শাকপুর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে মনির হোসেন (২৫) ও আদ্রা ইউনিয়নের নরিন্দ্রপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম এর ছেলে মহিন উদ্দিন (৩৮) তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ শেষ করে সিএনজি যোগে সুমাইয়াকে শাকপুর নতুন বাজারে রেখে পালিয়ে যায়।
১৯ এপ্রিল রাতে পিতা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী সহ চারজনকে আসামী করে বরুড়া থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহার ভুক্ত আসামী তিন জনকে আটক করে কুমিল্লা আদালতে পাঠায়। আদলাত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। বাদীকে ফোন করলে তার ভাই মোঃ আলাউদ্দিন মুটেফোনে জানান, ভাই ঘরে নেই,ঘটনাটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল আসামী মাদকসেবী, আমার ভাতিজিকে সব সময় টাকার জন্য নির্যাতন করতো তার স্বামী আবুল খায়ের। সুমাইয়া ( ভাতিজি) টাকা দিতে না পাড়ায় তার বন্ধু মাদকসেবীদের হাতে টাকার বিনিময় তুলে দেয় তাকে। ঘটনাটি অনেক নিন্দনীয়।
এ বিষয়ে বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে এজহার নামীয় তিন আসামী কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের কে আজ ২০ এপ্রিল আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্বামীকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।