ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বরুড়ায় চেয়ারম্যান হামিদ কামাল, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ ও মিনুয়ারা নির্বাচিত Logo রূপগঞ্জে বিপুল ভোটে বিজয়ী হাবিবুর রহমান হাবিব Logo চাটখিলে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন, জুতা মিছিল Logo দেবিদ্বারে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষন, আসামি জেল হাজতে Logo চুরির মামলায় বিপিএল হাউজিংয়ের সাবেক কর্মকর্তার জামিন বাতিল Logo পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারীত্বের পরিচয় দিয়ে দায়িত্ব পালন করবে : খাগড়াছড়ি Logo এক যুগ পর ডিএমপি কমিশনার-এর উদ্যোগে দুইটি যাত্রী ছাউনি দখল মুক্ত Logo ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু ইরানি জনগণের জন্য একটা বড় ক্ষতি; প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং Logo উদ্ভাবনে চীনা জনগণের দক্ষতা ও প্রজ্ঞা প্রশংসনীয়:সাবেক ফরাসি প্রধানমন্ত্রী Logo বৃষ্টিস্নাত

ভোজন রসিকদের জন্য রাঙামাটিতে চালু হয়েছে ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট ‘দোল’

মো: নাজমুল হোসেন ইমন, রাঙ্গামাটি থেকে ফিরে: দেশের সুন্দর পর্যটন জেলাগুলোর মধ্যে রাঙামাটি অন্যতম। কাপ্তাই লেক,
লেকের মধ্যে ডুবে থাকা পাহাড়, পাহাড়ি নদী, মেঘ আর ঝরনা যেন জীবন্ত
ক্যানভাস। এখানকার ঝুলন্ত সেতু পর্যটকদের অন্যতম বেড়ানোর স্থান। লেকের
স্বচ্ছ পানিতে পর্যটকরা ঘুরে রেড়ান। উপভোগ করেন পাহাড়-হ্রদ আর
মেঘ-বৃষ্টির গল্প। এ উপভোগে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ‘ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট দোল’ যান্ত্রিক জীবনে ক্লান্তি দূর করতে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবসহ প্রিয়
মানুষ নিয়ে অনেকেই ছুটে আসেন রাঙামাটিতে। ইতোমধ্যে তাদের কাছে ব্যাপক
জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট। কারণ এসব বোটে রয়েছে
রেষ্টুরেন্ট, পার্টি হাউস,ক্যাম্পিং এর ব্যবস্থা।
কাপ্তাই হ্রদে ভেসে বেড়ানোর বেশ কয়েকটি হাউস বোট রয়েছে। প্রমোদিনী,
রাঙাতরী, স্বপ্নডিঙ্গি, মাউরুন এগুলোর মধ্যে অন্যতম। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা
সংবলিত এসব বোটের বিলাসবহুল কক্ষে শুয়ে জানালা দিয়ে উপভোগ করা যায়
কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য। ছাদে রয়েছে আড্ডা দেওয়ার জন্য বাঁশের তৈরি
সোফা। পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী বাংলা খাবারের পাশাপাশি রয়েছে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী খাবার। হাউস বোট অনেক থাকলে ও ছিলো না একটি ভাসমান রেষ্টুরেন্ট। এই ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট টি হওয়ার ফলে স্থানীয়রা
আনন্দের সাথে এটিকে উপভোগ করছে।
রাঙামাটি শহরের ২ নং পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দা আফসানা মিম তার পরিবার নিয়ে দোল ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট এ আসে। পরিবার নিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন তার বান্ধবীরা এই ভাসমান রেষ্টুরেন্ট এ এসেছিলো এখানকার বাংলা খাবার গুলো নাকি অনেক ভালো তাই তিনি আজ তার পরিবার নিয়ে এখানে
বাংলা খাবার খেতে এসেছেন।
চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে এসেছেন রাসেল ও তাসলিমা এ নবদম্পতি জানান, বিয়ের পরে তারা প্রথম ভ্রমণে এসেছেন। এই ভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখতে তারা বেছে নিয়েছেন কাপ্তাই হ্রদ। এখানকার লেকে ঘুরছেন এবং দোল ভাসমান রেষ্টুরেন্ট এ তারা খাওয়া ধাওয়া করেছেন।তাদের কাছে এখানকার খাবার অনেক ভালো লেগেছে।
দোল রেষ্টুরেন্ট এর ব্যবস্থাপক মনজুরুল কবির ইমন বলেন দোল রাঙামাটির
একমাত্র ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট। আমাদের এই ভাসমান রেষ্টুরেন্ট প্রতিদিন
সকাল ১০ টা হতে রাত ১১ টা পর্যন্ত রাঙামাটি শহীদ মিনার (শহীদ মিনারে
প্রবেশ করে বাম দিকে গাছ তলার পাশে লোহার সিড়ি) সংলগ্ন ঘাটে সবসময়
আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। কাপ্তাই লেকের নীল জলরাশি, মন জুড়ানো বাতাস এর সাথে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে লেকে ভাসমান অবস্থায় ভিন্ন রকম অনুভূতি নিয়ে গ্রহণ করুন আমাদের থাই, ইন্ডিয়ান, সি ফুড, চাইনিজ, বাংলা ও ট্র‍্যাডিশনাল ফুড। এছাড়া রেষ্টুরেন্ট এ চেক ইন দিলেই কাস্টমাররা পেয়ে যাচ্ছেন ১০% ডিসকাউন্ট। ‘দোল’ টিম লেক দূষণ প্রতিরোধে সর্বদা সচেষ্ট। আমন্ত্রিত সকল অতিথিদের এই ব্যাপারে সচেতন থাকার আকুল অনুরোধ রইল।
রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র মো: আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও দরকার। আমরা চাই দেশের পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ
হোক, সুন্দর হোক। রাঙামাটিতে মানুষ ভ্রমণ করুক। হ্রদ-পাহাড় আর প্রকৃতি
সম্পর্কে জানুক।

বরুড়ায় চেয়ারম্যান হামিদ কামাল, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ ও মিনুয়ারা নির্বাচিত

ভোজন রসিকদের জন্য রাঙামাটিতে চালু হয়েছে ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট ‘দোল’

আপডেট সময় ০৯:৩২:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

মো: নাজমুল হোসেন ইমন, রাঙ্গামাটি থেকে ফিরে: দেশের সুন্দর পর্যটন জেলাগুলোর মধ্যে রাঙামাটি অন্যতম। কাপ্তাই লেক,
লেকের মধ্যে ডুবে থাকা পাহাড়, পাহাড়ি নদী, মেঘ আর ঝরনা যেন জীবন্ত
ক্যানভাস। এখানকার ঝুলন্ত সেতু পর্যটকদের অন্যতম বেড়ানোর স্থান। লেকের
স্বচ্ছ পানিতে পর্যটকরা ঘুরে রেড়ান। উপভোগ করেন পাহাড়-হ্রদ আর
মেঘ-বৃষ্টির গল্প। এ উপভোগে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ‘ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট দোল’ যান্ত্রিক জীবনে ক্লান্তি দূর করতে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবসহ প্রিয়
মানুষ নিয়ে অনেকেই ছুটে আসেন রাঙামাটিতে। ইতোমধ্যে তাদের কাছে ব্যাপক
জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট। কারণ এসব বোটে রয়েছে
রেষ্টুরেন্ট, পার্টি হাউস,ক্যাম্পিং এর ব্যবস্থা।
কাপ্তাই হ্রদে ভেসে বেড়ানোর বেশ কয়েকটি হাউস বোট রয়েছে। প্রমোদিনী,
রাঙাতরী, স্বপ্নডিঙ্গি, মাউরুন এগুলোর মধ্যে অন্যতম। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা
সংবলিত এসব বোটের বিলাসবহুল কক্ষে শুয়ে জানালা দিয়ে উপভোগ করা যায়
কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য। ছাদে রয়েছে আড্ডা দেওয়ার জন্য বাঁশের তৈরি
সোফা। পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী বাংলা খাবারের পাশাপাশি রয়েছে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী খাবার। হাউস বোট অনেক থাকলে ও ছিলো না একটি ভাসমান রেষ্টুরেন্ট। এই ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট টি হওয়ার ফলে স্থানীয়রা
আনন্দের সাথে এটিকে উপভোগ করছে।
রাঙামাটি শহরের ২ নং পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দা আফসানা মিম তার পরিবার নিয়ে দোল ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট এ আসে। পরিবার নিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন তার বান্ধবীরা এই ভাসমান রেষ্টুরেন্ট এ এসেছিলো এখানকার বাংলা খাবার গুলো নাকি অনেক ভালো তাই তিনি আজ তার পরিবার নিয়ে এখানে
বাংলা খাবার খেতে এসেছেন।
চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে এসেছেন রাসেল ও তাসলিমা এ নবদম্পতি জানান, বিয়ের পরে তারা প্রথম ভ্রমণে এসেছেন। এই ভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখতে তারা বেছে নিয়েছেন কাপ্তাই হ্রদ। এখানকার লেকে ঘুরছেন এবং দোল ভাসমান রেষ্টুরেন্ট এ তারা খাওয়া ধাওয়া করেছেন।তাদের কাছে এখানকার খাবার অনেক ভালো লেগেছে।
দোল রেষ্টুরেন্ট এর ব্যবস্থাপক মনজুরুল কবির ইমন বলেন দোল রাঙামাটির
একমাত্র ভাসমান বোট রেষ্টুরেন্ট। আমাদের এই ভাসমান রেষ্টুরেন্ট প্রতিদিন
সকাল ১০ টা হতে রাত ১১ টা পর্যন্ত রাঙামাটি শহীদ মিনার (শহীদ মিনারে
প্রবেশ করে বাম দিকে গাছ তলার পাশে লোহার সিড়ি) সংলগ্ন ঘাটে সবসময়
আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। কাপ্তাই লেকের নীল জলরাশি, মন জুড়ানো বাতাস এর সাথে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে লেকে ভাসমান অবস্থায় ভিন্ন রকম অনুভূতি নিয়ে গ্রহণ করুন আমাদের থাই, ইন্ডিয়ান, সি ফুড, চাইনিজ, বাংলা ও ট্র‍্যাডিশনাল ফুড। এছাড়া রেষ্টুরেন্ট এ চেক ইন দিলেই কাস্টমাররা পেয়ে যাচ্ছেন ১০% ডিসকাউন্ট। ‘দোল’ টিম লেক দূষণ প্রতিরোধে সর্বদা সচেষ্ট। আমন্ত্রিত সকল অতিথিদের এই ব্যাপারে সচেতন থাকার আকুল অনুরোধ রইল।
রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র মো: আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও দরকার। আমরা চাই দেশের পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ
হোক, সুন্দর হোক। রাঙামাটিতে মানুষ ভ্রমণ করুক। হ্রদ-পাহাড় আর প্রকৃতি
সম্পর্কে জানুক।