ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে মিষ্টি তৈরী করে মাসে অর্ধলক্ষ টাকা আয় উদ্যোক্তা নাজিয়া সুলতানার

মাহফুজুর রহমান,
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

সুস্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, আর এই সুস্বাস্থ্যের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত ও ভেজাল মুক্ত খাবার। এমনি স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বাসায় উৎপাদিত ভেজাল মুক্ত বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে কুমিল্লার মুরাদনগরে। নিজের হাতে তৈরী স্বাস্থ্যসম্মত এসব মিষ্টি বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা আয় করছেন উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের নগরপাড় গ্রাামের নারী উদ্যোক্তা নাজিয়া সুলতানা।
পেশায় একজন গৃহিণী হলেও এখন তার তৈরি মিষ্টির চাহিদা বাড়ায় বিভিন্ন আইটেমের মিষ্টি তৈরী করাই এখন তার প্রধান কাজে পরিনত হয়েছে। মিষ্টির পাশাপাশি কেক তৈরীতেও দক্ষতা রয়েছে তার। উদ্যোক্তা নাজিয়া সুলতানা নগরপাড় গ্রামের প্রবাসী ওমর ফারুকের স্ত্রী।
প্রায় ২০টি আইটেমের মিষ্টি তৈরী করে থাকেন তিনি। তার তৈরি মিষ্টির মধ্যে রয়েছে, কাঁচাগোল্লা, স্পঞ্জ রসগোল্লা, গোলাপ মিষ্টি, কাঁচা মরিচের মিষ্টি, কমলার মিষ্টি, শাহী রসমালাই, মালাই চমচম, ট্রেডিশনাল কালোজাম, কমলা ভোগ মিষ্টি, বেবি সুইট, মালাই স্যান্ডউইচ, ক্ষীর মোহন, ক্রিম জাম, শাহী জর্দা, ইনস্ট্যান্ট মাওয়া, ছানার সন্দেশ, মিষ্টি সন্দেশ, গোলাপ জাম মিষ্টি, মালাইচপসহ ইরানী চমচম। মিষ্টি তৈরীর পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে মিষ্টি তৈরীর প্রশিক্ষন দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
উদ্যোক্তা নাজিয়া সুলতানা বলেন, ২০২০সালে করোনা মহামারী চলাকালে অবসরে শখের বসে বাসায় মিষ্টি তৈরী শুরু করি। পরিবারের সকলের সার্পোটে আজ আমি এই অবস্থানে দাড়িয়েছি। আমার মিষ্টিতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন প্রকার রং বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। আমার তৈরী বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি মুরাদনগর, দেবিদ্বার, কুমিল্লাসহ বেশকিছু এলাকায় যাচ্ছে। আবার অনেকে প্রবাসে থাকা তাদের স্বজনদের কাছেও পাঠাচ্ছেন। আমাদের সমাজের অনেক নারীরা চাকরী খোঁজার পেছনে সময় নষ্ট না করে যদি উদ্যোক্তা হয় তাহলে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
উদ্যোক্তা নাজিয়া সুলতানা থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত বি-বাড়ীয়া জেলার কসবা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহনাজ আক্তার তন্নী বলেন,কয়েকমাস আগে আমি মিষ্টি তৈরীর প্রশিক্ষন নিয়ে এখন আমার এলাকা কসবায় কাজ করছি। লেখাপড়ায় পাশাপাশি মিষ্টির কাজ করে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছি। আমার লেখাপড়া ও টিউশন ফি নিজেই বহন করতে পারছি।

আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে মিষ্টি তৈরী করে মাসে অর্ধলক্ষ টাকা আয় উদ্যোক্তা নাজিয়া সুলতানার

আপডেট সময় ০৪:০২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাহফুজুর রহমান,
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

সুস্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, আর এই সুস্বাস্থ্যের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত ও ভেজাল মুক্ত খাবার। এমনি স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বাসায় উৎপাদিত ভেজাল মুক্ত বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে কুমিল্লার মুরাদনগরে। নিজের হাতে তৈরী স্বাস্থ্যসম্মত এসব মিষ্টি বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা আয় করছেন উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের নগরপাড় গ্রাামের নারী উদ্যোক্তা নাজিয়া সুলতানা।
পেশায় একজন গৃহিণী হলেও এখন তার তৈরি মিষ্টির চাহিদা বাড়ায় বিভিন্ন আইটেমের মিষ্টি তৈরী করাই এখন তার প্রধান কাজে পরিনত হয়েছে। মিষ্টির পাশাপাশি কেক তৈরীতেও দক্ষতা রয়েছে তার। উদ্যোক্তা নাজিয়া সুলতানা নগরপাড় গ্রামের প্রবাসী ওমর ফারুকের স্ত্রী।
প্রায় ২০টি আইটেমের মিষ্টি তৈরী করে থাকেন তিনি। তার তৈরি মিষ্টির মধ্যে রয়েছে, কাঁচাগোল্লা, স্পঞ্জ রসগোল্লা, গোলাপ মিষ্টি, কাঁচা মরিচের মিষ্টি, কমলার মিষ্টি, শাহী রসমালাই, মালাই চমচম, ট্রেডিশনাল কালোজাম, কমলা ভোগ মিষ্টি, বেবি সুইট, মালাই স্যান্ডউইচ, ক্ষীর মোহন, ক্রিম জাম, শাহী জর্দা, ইনস্ট্যান্ট মাওয়া, ছানার সন্দেশ, মিষ্টি সন্দেশ, গোলাপ জাম মিষ্টি, মালাইচপসহ ইরানী চমচম। মিষ্টি তৈরীর পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে মিষ্টি তৈরীর প্রশিক্ষন দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
উদ্যোক্তা নাজিয়া সুলতানা বলেন, ২০২০সালে করোনা মহামারী চলাকালে অবসরে শখের বসে বাসায় মিষ্টি তৈরী শুরু করি। পরিবারের সকলের সার্পোটে আজ আমি এই অবস্থানে দাড়িয়েছি। আমার মিষ্টিতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন প্রকার রং বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। আমার তৈরী বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি মুরাদনগর, দেবিদ্বার, কুমিল্লাসহ বেশকিছু এলাকায় যাচ্ছে। আবার অনেকে প্রবাসে থাকা তাদের স্বজনদের কাছেও পাঠাচ্ছেন। আমাদের সমাজের অনেক নারীরা চাকরী খোঁজার পেছনে সময় নষ্ট না করে যদি উদ্যোক্তা হয় তাহলে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
উদ্যোক্তা নাজিয়া সুলতানা থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত বি-বাড়ীয়া জেলার কসবা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহনাজ আক্তার তন্নী বলেন,কয়েকমাস আগে আমি মিষ্টি তৈরীর প্রশিক্ষন নিয়ে এখন আমার এলাকা কসবায় কাজ করছি। লেখাপড়ায় পাশাপাশি মিষ্টির কাজ করে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছি। আমার লেখাপড়া ও টিউশন ফি নিজেই বহন করতে পারছি।