ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোল্লাহাটে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোর আটক

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নবম শ্রেণীর ছাত্র কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণীর শিশু ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মোল্লাহাট উপজেলার কুলিয়া এলাকায় গত মঙ্গলবার বিকেলে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভিকটিমকে গুরুতর রক্তাক্ত জখমী অবস্থায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভিকটিমের নানা ও নানী’সহ ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ধর্ষিতার পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আবুল কালাম ও সীমা বেগমের ছেলে সোহান (১৫) শিশুটিকে পুতুল তৈরির তেনা (ছোট কাপড়) দেয়ার কথা বলে তাদের বসত ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এঘটনায় ভিকটিম গুরুতর জখম হওয়ায় সীমাহীন রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মুমুর্ষ অবস্থায় ভিকটিম ফিরে আসলে প্রথমে তার নানীর চোখে পড়ে। এরপর তাকে নিয়ে দ্রুত মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নিকটস্থ গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তারা জানান ভিকটিম এখনো শঙ্কামুক্ত না।

এ বিষয়ে ধর্ষণকারীর মা সীমা বেগম (৪৫) জানান, তিনি সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাগেরহাট ছিলেন এবং তার স্বামী আবুল কালাম (ট্রাক চালক) ট্রিপে গেছে চিটাগাং। যে কারনে বাড়িতে তার দুই ছেলে দশম শ্রেণীর সোহাগ ও নবম শ্রেণীর সোহান ছিলো। গতকালের ঘটনা শুনে আজ বুধবার সকালে বাসায় আসছেন।

তিনি আরও বলেন, তার ছেলে যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।

এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ এস,এম আশরাফুল আলম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে সোহান (১৫)’কে আটক করা হয়েছে। যেহেতু বয়স কম সে মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

মোল্লাহাটে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোর আটক

আপডেট সময় ০৪:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নবম শ্রেণীর ছাত্র কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণীর শিশু ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মোল্লাহাট উপজেলার কুলিয়া এলাকায় গত মঙ্গলবার বিকেলে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভিকটিমকে গুরুতর রক্তাক্ত জখমী অবস্থায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভিকটিমের নানা ও নানী’সহ ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ধর্ষিতার পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আবুল কালাম ও সীমা বেগমের ছেলে সোহান (১৫) শিশুটিকে পুতুল তৈরির তেনা (ছোট কাপড়) দেয়ার কথা বলে তাদের বসত ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এঘটনায় ভিকটিম গুরুতর জখম হওয়ায় সীমাহীন রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মুমুর্ষ অবস্থায় ভিকটিম ফিরে আসলে প্রথমে তার নানীর চোখে পড়ে। এরপর তাকে নিয়ে দ্রুত মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নিকটস্থ গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তারা জানান ভিকটিম এখনো শঙ্কামুক্ত না।

এ বিষয়ে ধর্ষণকারীর মা সীমা বেগম (৪৫) জানান, তিনি সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাগেরহাট ছিলেন এবং তার স্বামী আবুল কালাম (ট্রাক চালক) ট্রিপে গেছে চিটাগাং। যে কারনে বাড়িতে তার দুই ছেলে দশম শ্রেণীর সোহাগ ও নবম শ্রেণীর সোহান ছিলো। গতকালের ঘটনা শুনে আজ বুধবার সকালে বাসায় আসছেন।

তিনি আরও বলেন, তার ছেলে যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।

এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ এস,এম আশরাফুল আলম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে সোহান (১৫)’কে আটক করা হয়েছে। যেহেতু বয়স কম সে মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।