ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামপালে ৪ ঘন্টার ব্যবধানে দুইজনের আত্মহত্যা

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

রামপালে মাত্র ৪ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথকভাবে এক যুবক ও এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রামপাল থানায় পৃথকভাবে দুইটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।

ভিকটিমেরা হলো উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের সিংগড়বুনিয়া গ্রামের ইজিবাইক চালক সাইফুল ফকিরের মেয়ে মোংলা সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফিয়া মাহমুদা (১৮) ও উজলকুড় ইউনিয়নের বড় নবাবপুর গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র নাথ বালার ছেলে সৌমজিৎ বালা (৩৪)।

রামপাল থানা পুলিশ ও ভিকটিমদের অভিভাবকদের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের সিংগড়বুনিয়া গ্রামের ইজিবাইক চালক সাইফুল ফকিরের মেয়ে আফিয়া মাহমুদা এ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে ৯ হাজার টাকা চায়। দরিদ্র পিতা সাইফুল বলেন, কাছে টাকা নেই, টাকা পরে দিবো। এরপর সে অভিমান করে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী) রাত আনুমানিক ৯ টার সময় সিংগড়বুনিয়া গ্রামের নিজ বাড়ীর ঘরের আড়ার সাথে গলায় চাঁদর পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

অপরদিকে ওই একই তারিখ বিকেল সাড়ে ৫ টায় ভিকটিম সৌমজিৎ বালা বড় নবাবপুর গ্রামের নিজ বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে সাদা নাইলনের রশি পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

তার ভাইপোর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানান যায়, গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী) বেলা ২ টার সময় তার কাকা ভিকটিম সৌমজিৎ তার কাকি পূর্ণিমা অধিকারী ও তার ছেলে প্রত্তুষকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে বাড়িতে চলে আসে। ওইদিন বিকাল আনুমানিক ৫ টায় তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে ফিরে এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান। তখন ডাক চিৎকার করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিকটিমকে ঘরের আড়ায় ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাঁকে নামিয়ে সৌমজিৎকে মৃত্যু দেখতে পান। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভিকটিম সৌমজিৎ বালা মাদকাসক্ত ছিলেন। কয়েকদিন পূর্বে তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছিলো। সে মানসিকভাবে সুস্থ ছিল না বলে জানান তার ভাইপো বিজন কুমার বালা।

এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভিকটিম সৌমজিৎ বালার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে বুধবার (১০ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় বাগেরহাটের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর ভিকটিম আফিয়ার পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

রামপালে ৪ ঘন্টার ব্যবধানে দুইজনের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৮:০৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

রামপালে মাত্র ৪ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথকভাবে এক যুবক ও এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রামপাল থানায় পৃথকভাবে দুইটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।

ভিকটিমেরা হলো উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের সিংগড়বুনিয়া গ্রামের ইজিবাইক চালক সাইফুল ফকিরের মেয়ে মোংলা সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফিয়া মাহমুদা (১৮) ও উজলকুড় ইউনিয়নের বড় নবাবপুর গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র নাথ বালার ছেলে সৌমজিৎ বালা (৩৪)।

রামপাল থানা পুলিশ ও ভিকটিমদের অভিভাবকদের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের সিংগড়বুনিয়া গ্রামের ইজিবাইক চালক সাইফুল ফকিরের মেয়ে আফিয়া মাহমুদা এ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে ৯ হাজার টাকা চায়। দরিদ্র পিতা সাইফুল বলেন, কাছে টাকা নেই, টাকা পরে দিবো। এরপর সে অভিমান করে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী) রাত আনুমানিক ৯ টার সময় সিংগড়বুনিয়া গ্রামের নিজ বাড়ীর ঘরের আড়ার সাথে গলায় চাঁদর পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

অপরদিকে ওই একই তারিখ বিকেল সাড়ে ৫ টায় ভিকটিম সৌমজিৎ বালা বড় নবাবপুর গ্রামের নিজ বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে সাদা নাইলনের রশি পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

তার ভাইপোর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানান যায়, গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী) বেলা ২ টার সময় তার কাকা ভিকটিম সৌমজিৎ তার কাকি পূর্ণিমা অধিকারী ও তার ছেলে প্রত্তুষকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে বাড়িতে চলে আসে। ওইদিন বিকাল আনুমানিক ৫ টায় তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে ফিরে এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান। তখন ডাক চিৎকার করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিকটিমকে ঘরের আড়ায় ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাঁকে নামিয়ে সৌমজিৎকে মৃত্যু দেখতে পান। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভিকটিম সৌমজিৎ বালা মাদকাসক্ত ছিলেন। কয়েকদিন পূর্বে তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছিলো। সে মানসিকভাবে সুস্থ ছিল না বলে জানান তার ভাইপো বিজন কুমার বালা।

এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভিকটিম সৌমজিৎ বালার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে বুধবার (১০ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় বাগেরহাটের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর ভিকটিম আফিয়ার পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।