ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চান্দিনা পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনে প্রায়ই বন্ধ থাকে সার্ভার, ভোগান্তিতে সেবা গ্রহীতারা Logo মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জন জেলে উদ্ধার Logo শাহরাস্তিতে ২ শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক আটক Logo লালমনিরহাটে বৈষম্যমুলক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও নিয়োগ পরিক্ষা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন Logo বুড়িচংয়ে পরকীয়া প্রেমের জেরে প্রবাসীর কবজি কেটে দিল প্রেমিক ও তার ভাই Logo সুনামগঞ্জে গানে গানে বাউল কামালের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত Logo মুরাদনগরে বিএনপি’র দোয়া মাহফিল থেকে সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি Logo বরুড়ায় ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত দিবস পালিত Logo বেগমগঞ্জে কবর থেকে বস্তাবন্দি একনলা বন্দুক-পাইপগান উদ্ধার Logo আইএসইউর মানবিক উদ্যোগ বরুড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ

রাশিয়াতে নিঃসঙ্গ জীবন

ডাক্তার মমতাজ রহমান

কত বসন্ত এলো আর গেলো
আমরা মনটাকে উদাস করে দিয়ে
“তুমি” আসবে এই শুন্য জীবনে
অপেক্ষা করতাম শুধুই………..।
সুশোভিত চেরী ফুলের সমারোহে
তোমার নিস্পলক
দুটি চোখ, আমার চোখের গভীরে খুঁজে পাবে
শেষ আশ্রয় ।
নির্ঘুম রাজনী কেটেছে কত জানালার পাশে
দাঁড়িয়ে দেখতাম
রুশ যুবক – যুবতীদের প্রেমময় মধুর আলিঙ্গন ।
আর তাদের এই নিবিড় ভালোবাসা আমাকে
স্বপ্ন দেখাতো,
ভাবতাম…বহু প্রতীক্ষার পর হলেও কোন হৃদয় দোলা দেওয়া,
স্বপ্নভরা মুহূর্ত গুলোকে বাস্তব করে আসবে “তুমি”
আমার দ্বারে ।
আর তাই উদাস দুপুরে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে
ভাবনার জগতে ডুবে যেতাম ।
এক এক করে দীর্ঘ সাতটি বসন্ত
আমার যৌবনের আঙিনা
দিয়ে পার হয়ে গেল, কিন্তু আমার “তুমি” আর এলেনা ।
দুচোখের সীমানার বাইরে জগৎটাকে
দেখতে দেখতে
নিস্পলক আঁখি যুগল ক্লান্ত হয়ে যেত ।
আমার সেই পড়ার টেবিল, সেই জানালা দিয়ে,
বাইরের বরফাচ্ছাদিত শহর দেখা……এটাই ছিল
আমার একমাত্র সম্বল ।
আমিতো পারিনি নিজেকে
হারিয়ে ফেলতে …
আমি আমার ভাবনায় আমার কল্পনার মানুষকে খুজতাম ….।
একাকী বসে কোন এক পার্কে কোন সবুজ ঘাসের গালিচায়
অথবা কোন গোলাপ বাগানে,
“তুমি” আমার হয়ে আসবে বলে ছিল শুধু প্রতীক্ষা…..
আর প্রতীক্ষা…..

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চান্দিনা পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনে প্রায়ই বন্ধ থাকে সার্ভার, ভোগান্তিতে সেবা গ্রহীতারা

SBN

SBN

রাশিয়াতে নিঃসঙ্গ জীবন

আপডেট সময় ০৪:০৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

ডাক্তার মমতাজ রহমান

কত বসন্ত এলো আর গেলো
আমরা মনটাকে উদাস করে দিয়ে
“তুমি” আসবে এই শুন্য জীবনে
অপেক্ষা করতাম শুধুই………..।
সুশোভিত চেরী ফুলের সমারোহে
তোমার নিস্পলক
দুটি চোখ, আমার চোখের গভীরে খুঁজে পাবে
শেষ আশ্রয় ।
নির্ঘুম রাজনী কেটেছে কত জানালার পাশে
দাঁড়িয়ে দেখতাম
রুশ যুবক – যুবতীদের প্রেমময় মধুর আলিঙ্গন ।
আর তাদের এই নিবিড় ভালোবাসা আমাকে
স্বপ্ন দেখাতো,
ভাবতাম…বহু প্রতীক্ষার পর হলেও কোন হৃদয় দোলা দেওয়া,
স্বপ্নভরা মুহূর্ত গুলোকে বাস্তব করে আসবে “তুমি”
আমার দ্বারে ।
আর তাই উদাস দুপুরে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে
ভাবনার জগতে ডুবে যেতাম ।
এক এক করে দীর্ঘ সাতটি বসন্ত
আমার যৌবনের আঙিনা
দিয়ে পার হয়ে গেল, কিন্তু আমার “তুমি” আর এলেনা ।
দুচোখের সীমানার বাইরে জগৎটাকে
দেখতে দেখতে
নিস্পলক আঁখি যুগল ক্লান্ত হয়ে যেত ।
আমার সেই পড়ার টেবিল, সেই জানালা দিয়ে,
বাইরের বরফাচ্ছাদিত শহর দেখা……এটাই ছিল
আমার একমাত্র সম্বল ।
আমিতো পারিনি নিজেকে
হারিয়ে ফেলতে …
আমি আমার ভাবনায় আমার কল্পনার মানুষকে খুজতাম ….।
একাকী বসে কোন এক পার্কে কোন সবুজ ঘাসের গালিচায়
অথবা কোন গোলাপ বাগানে,
“তুমি” আমার হয়ে আসবে বলে ছিল শুধু প্রতীক্ষা…..
আর প্রতীক্ষা…..