ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‘সোনার সংসার’ শুধু একটি নাটক নয়— এটি এক আয়না Logo পায়েল বিশ্বাস এর কবিতা Logo পবায় প্রসবের পর মায়ের মৃত্যু, সন্তানের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান Logo গাইবান্ধায় অনলাইন ক্যাসিনোর বিষাক্ত থাবা: ঋণে ডুবে পরিবার ছাড়ছে মানুষ Logo শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও দাঁত ভাঙার ঘটনায় মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ -শেরপুর সীমান্তে ৫ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদক জব্দ Logo গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড Logo চান্দিনায় গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই; দুই থানায় ধাক্কা-ধাক্কি Logo প্রতিহিংসা নয় প্রতিযোগিতা, রাজনীতি হোক ঐক্য ভিত্তিক Logo ডানপন্থী উসকানির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি বেইজিংয়ের

রূপসায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অবৈধ কয়লা চুল্লি ধ্বংস

নাহিদ জামান, খুলনা

রূপসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটির চুল্লিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল কাঠ পুড়িয়ে অবৈধভাবে কয়লা তৈরি করে আসছিল। এতে চুল্লির ধোয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। পাশাপাশি নষ্ট হয় ক্ষেতের ফসল। এমন খবর পেয়ে অবৈধ চুল্লিগুলো বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার অপরাধে ৩০টি অবৈধ চুল্লি ধ্বংস করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় ও রূপসা উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনার বিভাগীয় কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম এবং রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্ত্তী।

এ সসময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমির কার্যালয় ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় গতকাল বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় রূপসা উপজেলার ইলাইপুর, মবিনবাগ এবং চরশ্রীরামপুর এলাকার বিভিন্ন মালিকের নামে বেনামে ৩০টি চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয় এবং জব্দ করা কাঠ ও কয়লা স্পট নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন অবৈধ চুল্লীর মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক বা জরিমানা করা সম্ভব না হলেও পরিবেশ ধ্বংসকারী ৩০ টি কয়লা চুল্লী গুড়িয়ে দিয়েছে। কারণ ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ উপায়ে কয়লা তৈরির সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্ত্তীর নিকট জনতে চাইলে তিনি বলেন কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চুল্লির বিষয়ে জানতে পেরে তা ধ্বংস করতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে জড়িত কাউকে পাওয়া না গেলেও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতায় কয়লা তৈরির ৩০টি চুল্লি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘সোনার সংসার’ শুধু একটি নাটক নয়— এটি এক আয়না

SBN

SBN

রূপসায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অবৈধ কয়লা চুল্লি ধ্বংস

আপডেট সময় ১২:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নাহিদ জামান, খুলনা

রূপসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটির চুল্লিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল কাঠ পুড়িয়ে অবৈধভাবে কয়লা তৈরি করে আসছিল। এতে চুল্লির ধোয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। পাশাপাশি নষ্ট হয় ক্ষেতের ফসল। এমন খবর পেয়ে অবৈধ চুল্লিগুলো বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার অপরাধে ৩০টি অবৈধ চুল্লি ধ্বংস করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় ও রূপসা উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনার বিভাগীয় কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম এবং রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্ত্তী।

এ সসময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমির কার্যালয় ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় গতকাল বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় রূপসা উপজেলার ইলাইপুর, মবিনবাগ এবং চরশ্রীরামপুর এলাকার বিভিন্ন মালিকের নামে বেনামে ৩০টি চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয় এবং জব্দ করা কাঠ ও কয়লা স্পট নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন অবৈধ চুল্লীর মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক বা জরিমানা করা সম্ভব না হলেও পরিবেশ ধ্বংসকারী ৩০ টি কয়লা চুল্লী গুড়িয়ে দিয়েছে। কারণ ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ উপায়ে কয়লা তৈরির সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্ত্তীর নিকট জনতে চাইলে তিনি বলেন কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চুল্লির বিষয়ে জানতে পেরে তা ধ্বংস করতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে জড়িত কাউকে পাওয়া না গেলেও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতায় কয়লা তৈরির ৩০টি চুল্লি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি ।