ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের রাতে কম্বল আর শুকনো খাবার নিয়ে অসহায় মানুষ ও বিভিন্ন এতিমখানায় ইউএনও

নোয়াখালী সংবাদদাতা

শীতের রাতে কম্বল আর শুকনো খাবার নিয়ে বিভিন্ন এতিমখানা এবং অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তিনি।

পহেলা জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) রাত ১০ টার সময় কাউকে না জানিয়ে বেশকিছু দুধ, কম্বল, মসুরডাল, চিনি, হরলিক্সসহ শুনকো খাবার নিয়ে তিনি জান ১নং চর জব্বর ইউনিয়নে সমিতি বাজার বায়তুশ সাইফ জামানিয়া এতিমখানায়। একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা না থাকলেও তিনি দাঁড়াচ্ছেন অসহায় এতিম শিক্ষার্থীদের পাশে। এ সময় তিনি এতিমদের থাকা খাওয়ার খোঁজ খবর নেন।

ইউএনও আল আমিন সরকার সুবর্ণচরে যোগদান করার পর থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজখবর নেন, তারই সাথে তীব্র শীতের শুরু থেকেই সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন এতিম খানায় এভাবেই তিনি কম্বল দিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর পরই অসহায় এক শিক্ষার্থীর পড়াশুনার দায়ভার নেন তিনি। তার এমন মানবিক কাজের জন্য মানবিক ইউএনও হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন সরকার বলেন, জন্ম কিংবা পদবীতে নয় কর্মেই মানুষের পরিচয়, আমি এতিমদের থাকা খাওয়া এবং কষ্ট দেখে এই শীতে প্রায় ১৫টা এতিমখানায় গিয়েছিলাম, আমি যেটা করছি তা অতি সামান্য, অসহায় শিশুরা যেন একটু ভালো থাকতে পারে সে চেষ্টায় করে যাচ্ছি, আমার কর্মেই মানুষ আমাকে স্মরণ করবে, মানবিক কাজে সকলে এগিয়ে আসলে সুন্দর একটি দেশ গড়া সম্বব।

আপলোডকারীর তথ্য

শীতের রাতে কম্বল আর শুকনো খাবার নিয়ে অসহায় মানুষ ও বিভিন্ন এতিমখানায় ইউএনও

আপডেট সময় ০৯:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নোয়াখালী সংবাদদাতা

শীতের রাতে কম্বল আর শুকনো খাবার নিয়ে বিভিন্ন এতিমখানা এবং অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তিনি।

পহেলা জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) রাত ১০ টার সময় কাউকে না জানিয়ে বেশকিছু দুধ, কম্বল, মসুরডাল, চিনি, হরলিক্সসহ শুনকো খাবার নিয়ে তিনি জান ১নং চর জব্বর ইউনিয়নে সমিতি বাজার বায়তুশ সাইফ জামানিয়া এতিমখানায়। একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা না থাকলেও তিনি দাঁড়াচ্ছেন অসহায় এতিম শিক্ষার্থীদের পাশে। এ সময় তিনি এতিমদের থাকা খাওয়ার খোঁজ খবর নেন।

ইউএনও আল আমিন সরকার সুবর্ণচরে যোগদান করার পর থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজখবর নেন, তারই সাথে তীব্র শীতের শুরু থেকেই সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন এতিম খানায় এভাবেই তিনি কম্বল দিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর পরই অসহায় এক শিক্ষার্থীর পড়াশুনার দায়ভার নেন তিনি। তার এমন মানবিক কাজের জন্য মানবিক ইউএনও হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন সরকার বলেন, জন্ম কিংবা পদবীতে নয় কর্মেই মানুষের পরিচয়, আমি এতিমদের থাকা খাওয়া এবং কষ্ট দেখে এই শীতে প্রায় ১৫টা এতিমখানায় গিয়েছিলাম, আমি যেটা করছি তা অতি সামান্য, অসহায় শিশুরা যেন একটু ভালো থাকতে পারে সে চেষ্টায় করে যাচ্ছি, আমার কর্মেই মানুষ আমাকে স্মরণ করবে, মানবিক কাজে সকলে এগিয়ে আসলে সুন্দর একটি দেশ গড়া সম্বব।