ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে চাঁদাবাজ মোহনের অপকর্ম

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ০৮:০০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পরিচয়দানকারী মেছমাউল আলম মোহনের বিরুদ্ধে গুরুতর চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলিং অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়- ২০২১ সালে ছিলেন ঢাকার দৈনিক কয়েকটি পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে মেছমাউল আলম মোহল। তার বিভিন্ন অপকর্ম চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কারণে ওই পত্রিকা গুলো থেকে তাকে বহিষ্কার করে।
কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও স্পা সেন্টার থেকে চাঁদাবাজি করে কোটি টাকার মালিক বনে যায় এই মোহন। যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়তো, ছিলনা আয়ের উৎস কিভাবে এত স্বল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যায় এই মোহন।

গত ০৬/০৮/২০২১ সালে তার স্ত্রীর চিকিৎসার টাকা জোগানোর জন্য সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার কামরুল ইসলাম নামের এক যুবকের কাছ থেকে এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি করিয়ে দেওয়ার নামে নিয়েছিল বিশ হাজার টাকা প্রতারণা করে।
জাফলংয়ে পাথর ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিনের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নেয় মামলা থেকে অব্যাহতি দিবে বলে।
সে কি করে হঠাৎ হয়ে যায়- কোটি টাকার মালিক, তার নেই কোন উচ্চশিক্ষা। দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ভুয়া সম্পাদক লোকো সমাজে দাপিয়ে বেড়ায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে, এই সাংবাদিকতার ফাঁদ তৈরি করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের সাংবাদিকতার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে করে যাচ্ছে আইডি কার্ড বাণিজ্য। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

পত্রিকার আইডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নারী ও পুরুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ লাখ টাকার ও বেশি প্রতারক মোহনে সিলেট বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ উঠেছে এবং সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার এক পাথর ব্যবসায়ী নাজমুল এর কাছ থেকে ডিবি পুলিশ অফিসার দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

তার অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আনোয়ার হোসেন ও পুরানা পল্টনের বিরানী বিক্রেতা ছেলের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ১ লক্ষ টাকা, এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন তার গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জে এসব টাকা দিয়ে জমি রেখে চাষাবাদ ও বাড়ি করার জন্য।

সেই প্রতারক মেছ মাউল আলম মোহন কে ভুক্তভোগীরা টাকার জন্য চাপ দিলে সে সবাইকে মামলা হামলা ও ডিবি পুলিশের ভয় দেখিয়ে এড়িয়ে যায়।

তার এসব প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা আমাদের মাতৃভূমি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানা যায়। পরবর্তীতে ঢাকা গোয়েন্দা সংস্থার বরাবর অভিযোগ করলে গোয়েন্দা সংস্থা প্রতারক মোহনের অফিসে সাইনবোর্ড খোলা পায় ও তার বাসা আগের জায়গায় নেই বলে জানান।

কিন্তু সম্প্রতি সময় আবারো ব্ল্যাকমেইলিং এর মতো গুরুতর কাজে জড়িয়ে পড়ে এই প্রতারক মোহন।
আবারো বাটপারি সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রতিনিধি বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার আসল রহস্য এই আয়ের উৎস কোথায়? মোহনের রয়েছে ঢাকায় এক বিশাল অপরাধ জগতের সিন্ডিকেট ওই সিন্ডিকেট দ্বারা চলছে রমরমা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে শিল্পপতিদের ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ। যে সকল এলাকাগুলোতে প্রতারণা ফাঁদ তৈরি করে সুন্দরী মেয়ে দিয়ে,ওই সকল স্থানের নাম, উত্তরা, রামপুরা, গুলশান, নানী, গাবতলী, গুলিস্তান, শাহজাদপুর, ভাটারা থানা এলাকায় রয়েছে বিশাল প্রতারণার ফাঁদ।

পরবর্তীতে গোয়েন্দা অফিসার তার পূর্বের কর্মস্থল দৈনিক পত্রিকা গুলোর অফিসে গিয়ে প্রতারক মোহন সম্পর্কে জানতে চায় কিন্তু ঐ সকল দৈনিক পত্রিকা সম্পাদকগণ গোয়েন্দা অফিসার কে বলেন সে আমাদের পত্রিকা গত এক বছর আগে ছেড়ে চলে গেছে তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নাই।
এ বিষয়ে তাকে একাধিকবার ফোন করলে সে ফোন কেটে দেয়।
চলবে…..

আপলোডকারীর তথ্য

সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে চাঁদাবাজ মোহনের অপকর্ম

আপডেট সময় ০৮:০০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পরিচয়দানকারী মেছমাউল আলম মোহনের বিরুদ্ধে গুরুতর চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলিং অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়- ২০২১ সালে ছিলেন ঢাকার দৈনিক কয়েকটি পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে মেছমাউল আলম মোহল। তার বিভিন্ন অপকর্ম চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কারণে ওই পত্রিকা গুলো থেকে তাকে বহিষ্কার করে।
কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও স্পা সেন্টার থেকে চাঁদাবাজি করে কোটি টাকার মালিক বনে যায় এই মোহন। যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়তো, ছিলনা আয়ের উৎস কিভাবে এত স্বল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যায় এই মোহন।

গত ০৬/০৮/২০২১ সালে তার স্ত্রীর চিকিৎসার টাকা জোগানোর জন্য সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার কামরুল ইসলাম নামের এক যুবকের কাছ থেকে এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি করিয়ে দেওয়ার নামে নিয়েছিল বিশ হাজার টাকা প্রতারণা করে।
জাফলংয়ে পাথর ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিনের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নেয় মামলা থেকে অব্যাহতি দিবে বলে।
সে কি করে হঠাৎ হয়ে যায়- কোটি টাকার মালিক, তার নেই কোন উচ্চশিক্ষা। দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ভুয়া সম্পাদক লোকো সমাজে দাপিয়ে বেড়ায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে, এই সাংবাদিকতার ফাঁদ তৈরি করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের সাংবাদিকতার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে করে যাচ্ছে আইডি কার্ড বাণিজ্য। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

পত্রিকার আইডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নারী ও পুরুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ লাখ টাকার ও বেশি প্রতারক মোহনে সিলেট বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ উঠেছে এবং সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার এক পাথর ব্যবসায়ী নাজমুল এর কাছ থেকে ডিবি পুলিশ অফিসার দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

তার অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আনোয়ার হোসেন ও পুরানা পল্টনের বিরানী বিক্রেতা ছেলের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ১ লক্ষ টাকা, এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন তার গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জে এসব টাকা দিয়ে জমি রেখে চাষাবাদ ও বাড়ি করার জন্য।

সেই প্রতারক মেছ মাউল আলম মোহন কে ভুক্তভোগীরা টাকার জন্য চাপ দিলে সে সবাইকে মামলা হামলা ও ডিবি পুলিশের ভয় দেখিয়ে এড়িয়ে যায়।

তার এসব প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা আমাদের মাতৃভূমি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানা যায়। পরবর্তীতে ঢাকা গোয়েন্দা সংস্থার বরাবর অভিযোগ করলে গোয়েন্দা সংস্থা প্রতারক মোহনের অফিসে সাইনবোর্ড খোলা পায় ও তার বাসা আগের জায়গায় নেই বলে জানান।

কিন্তু সম্প্রতি সময় আবারো ব্ল্যাকমেইলিং এর মতো গুরুতর কাজে জড়িয়ে পড়ে এই প্রতারক মোহন।
আবারো বাটপারি সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রতিনিধি বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার আসল রহস্য এই আয়ের উৎস কোথায়? মোহনের রয়েছে ঢাকায় এক বিশাল অপরাধ জগতের সিন্ডিকেট ওই সিন্ডিকেট দ্বারা চলছে রমরমা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে শিল্পপতিদের ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ। যে সকল এলাকাগুলোতে প্রতারণা ফাঁদ তৈরি করে সুন্দরী মেয়ে দিয়ে,ওই সকল স্থানের নাম, উত্তরা, রামপুরা, গুলশান, নানী, গাবতলী, গুলিস্তান, শাহজাদপুর, ভাটারা থানা এলাকায় রয়েছে বিশাল প্রতারণার ফাঁদ।

পরবর্তীতে গোয়েন্দা অফিসার তার পূর্বের কর্মস্থল দৈনিক পত্রিকা গুলোর অফিসে গিয়ে প্রতারক মোহন সম্পর্কে জানতে চায় কিন্তু ঐ সকল দৈনিক পত্রিকা সম্পাদকগণ গোয়েন্দা অফিসার কে বলেন সে আমাদের পত্রিকা গত এক বছর আগে ছেড়ে চলে গেছে তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নাই।
এ বিষয়ে তাকে একাধিকবার ফোন করলে সে ফোন কেটে দেয়।
চলবে…..