ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে ১ টি স্টিল নৌকাসহ ৩১টি ভারতীয় গরু আটক Logo পবায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো ১১৭টি আমগাছ Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ Logo চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

সুন্দরগঞ্জে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জোড়া খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পলাতক আসামি হাফিজুর রহমানকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার ০২/০১)২০২৪ ইং তারিখে র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার আসামি হাফিজুর রহমান উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলীর সঙ্গে একই গ্রামের হযরত আলী ও আব্দুল জলিলের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান চাষ করেন হযরত আলী আমান।

২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে মামলার রায় পেয়ে আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যান। আগাম ধান কাটার বিষয়টি জানার পর হযরত ড. আলি গোপনে তার পাশের রাইচ মিল থেকে বিদ্যুতের তার পুরো জমি ঘিরে ফেলে। ওই দিন সকালে আব্দুল জলিলের আত্মীয় তসলিম উদ্দিন পুরুষ ও মহিলা শ্রমিক নিয়ে ধান কাটতে নামলে প্রথমে তসলিম উদ্দিন বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওই রাতেই তসলিম উদ্দিনের চাচা মফিজল হক বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের দোষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজার রহমান পলাতক ছিলেন।

এদিকে, র‍্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে

অভিযুক্ত হাফিজার রহমানকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া

অব্যাহত ছিল। পরবর্তীতে আসামি আত্মগোপনে থাকা

অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাব-১৩,

সিপিসি-৩ গাইবান্ধা ও র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার

যৌথ অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় কুমিল্লার বুড়িচং থানাধীন ইছাপুর বর্ষা বাজার

এলাকা থেকে আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার

করা হয়।

মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিল। সে হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে স্বীকার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, (এনডি), এনইউপি, পিসিজিএম, বিএন অধিনায়ক, র‍্যাব-১৩, রংপুর।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

সুন্দরগঞ্জে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৩:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জোড়া খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পলাতক আসামি হাফিজুর রহমানকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার ০২/০১)২০২৪ ইং তারিখে র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার আসামি হাফিজুর রহমান উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলীর সঙ্গে একই গ্রামের হযরত আলী ও আব্দুল জলিলের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান চাষ করেন হযরত আলী আমান।

২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে মামলার রায় পেয়ে আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যান। আগাম ধান কাটার বিষয়টি জানার পর হযরত ড. আলি গোপনে তার পাশের রাইচ মিল থেকে বিদ্যুতের তার পুরো জমি ঘিরে ফেলে। ওই দিন সকালে আব্দুল জলিলের আত্মীয় তসলিম উদ্দিন পুরুষ ও মহিলা শ্রমিক নিয়ে ধান কাটতে নামলে প্রথমে তসলিম উদ্দিন বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওই রাতেই তসলিম উদ্দিনের চাচা মফিজল হক বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের দোষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজার রহমান পলাতক ছিলেন।

এদিকে, র‍্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে

অভিযুক্ত হাফিজার রহমানকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া

অব্যাহত ছিল। পরবর্তীতে আসামি আত্মগোপনে থাকা

অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাব-১৩,

সিপিসি-৩ গাইবান্ধা ও র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার

যৌথ অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় কুমিল্লার বুড়িচং থানাধীন ইছাপুর বর্ষা বাজার

এলাকা থেকে আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার

করা হয়।

মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিল। সে হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে স্বীকার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, (এনডি), এনইউপি, পিসিজিএম, বিএন অধিনায়ক, র‍্যাব-১৩, রংপুর।