ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঢাকা সাব-এডিটরস এর নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ Logo রূপসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল Logo চীন-সার্বিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার ‘যৌথ বিবৃতি’ স্বাক্ষর Logo “দূর থেকে বন্ধু আসছে” থিম সম্বলিত স্মারক ডাকটিকিটও প্রকাশ Logo হাঙ্গেরির গণমাধ্যমে স্বাক্ষরযুক্ত নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন সি চিন পিং Logo সার্বিয়ার জাতীয় জাদুঘরে রয়েছে সূক্ষ্ম ক্লাসিক চিত্রকর্ম:চীনা ফার্স্ট লেডি Logo দেবিদ্বারে বড় ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন প্রবাসী ব্যবসায়ী সাঈদ Logo স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার জমিতে সাইনবোর্ড সাটালেন ইউপি চেয়ারম্যান Logo বালি ঘাটের রাক্ষসী Logo আমতলী উপজেলা নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

সুন্দরগঞ্জে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জোড়া খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পলাতক আসামি হাফিজুর রহমানকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার ০২/০১)২০২৪ ইং তারিখে র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার আসামি হাফিজুর রহমান উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলীর সঙ্গে একই গ্রামের হযরত আলী ও আব্দুল জলিলের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান চাষ করেন হযরত আলী আমান।

২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে মামলার রায় পেয়ে আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যান। আগাম ধান কাটার বিষয়টি জানার পর হযরত ড. আলি গোপনে তার পাশের রাইচ মিল থেকে বিদ্যুতের তার পুরো জমি ঘিরে ফেলে। ওই দিন সকালে আব্দুল জলিলের আত্মীয় তসলিম উদ্দিন পুরুষ ও মহিলা শ্রমিক নিয়ে ধান কাটতে নামলে প্রথমে তসলিম উদ্দিন বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওই রাতেই তসলিম উদ্দিনের চাচা মফিজল হক বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের দোষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজার রহমান পলাতক ছিলেন।

এদিকে, র‍্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে

অভিযুক্ত হাফিজার রহমানকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া

অব্যাহত ছিল। পরবর্তীতে আসামি আত্মগোপনে থাকা

অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাব-১৩,

সিপিসি-৩ গাইবান্ধা ও র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার

যৌথ অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় কুমিল্লার বুড়িচং থানাধীন ইছাপুর বর্ষা বাজার

এলাকা থেকে আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার

করা হয়।

মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিল। সে হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে স্বীকার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, (এনডি), এনইউপি, পিসিজিএম, বিএন অধিনায়ক, র‍্যাব-১৩, রংপুর।

আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকা সাব-এডিটরস এর নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

সুন্দরগঞ্জে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৩:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জোড়া খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পলাতক আসামি হাফিজুর রহমানকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার ০২/০১)২০২৪ ইং তারিখে র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার আসামি হাফিজুর রহমান উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলীর সঙ্গে একই গ্রামের হযরত আলী ও আব্দুল জলিলের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান চাষ করেন হযরত আলী আমান।

২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে মামলার রায় পেয়ে আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যান। আগাম ধান কাটার বিষয়টি জানার পর হযরত ড. আলি গোপনে তার পাশের রাইচ মিল থেকে বিদ্যুতের তার পুরো জমি ঘিরে ফেলে। ওই দিন সকালে আব্দুল জলিলের আত্মীয় তসলিম উদ্দিন পুরুষ ও মহিলা শ্রমিক নিয়ে ধান কাটতে নামলে প্রথমে তসলিম উদ্দিন বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওই রাতেই তসলিম উদ্দিনের চাচা মফিজল হক বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের দোষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজার রহমান পলাতক ছিলেন।

এদিকে, র‍্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে

অভিযুক্ত হাফিজার রহমানকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া

অব্যাহত ছিল। পরবর্তীতে আসামি আত্মগোপনে থাকা

অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাব-১৩,

সিপিসি-৩ গাইবান্ধা ও র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার

যৌথ অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় কুমিল্লার বুড়িচং থানাধীন ইছাপুর বর্ষা বাজার

এলাকা থেকে আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার

করা হয়।

মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিল। সে হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে স্বীকার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, (এনডি), এনইউপি, পিসিজিএম, বিএন অধিনায়ক, র‍্যাব-১৩, রংপুর।