ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সুবর্ণচরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১৫, দোকানপাট-বাড়িঘর ভাঙচুর

মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ১১টি দোকান ও ১টি বাড়িতে।

গত বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর উপজেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে চরজব্বার ইউনিয়নের চেউয়াখালী, চর হাসান ভূঁইয়ার হাট বাজার ও পূর্ব চরবাটা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

আহতরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছেন।

পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনার পর থেকে চেউয়াখালী ও চর হাসান ভূঁইয়ার হাট বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে চেউয়াখালী বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি চরজব্বার এলাকায়ও পুলিশের একাধিক টিম সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটেরদিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মোবাইল ফোনে প্রচারিত নির্বাচনের ফলাফল সকলে জানতে শুরু করলে চেউয়াখালী বাজারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তর্কবিতর্কের জেরে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়।

চেউয়াখালী বাজারের শাহজাহান ট্রেডার্স, সিরাজ উদ্দিন মেম্বার এর অফিস, মিজান ট্রেডার্স, রহমান ফার্নিচার, রহমান ক্রোকারিজ, রহমান ইলেকট্রনিকস, রহমান সন্স, ভূঁইয়া ট্রেডার্স, ভূঁইয়া ইলেকট্রনিকস, সালাহ উদ্দিন স্টোরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ভূঁইয়ার হাট বাজারে মো. হারুন নামের এক ব্যক্তির দুটি দোকান ও বাজারের পার্শ্ববর্তী আবু তাহের মাঝির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়।

দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীর সমর্থক ও চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, আনারস প্রতীকের আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীর অনুসারীরা প্রথমে হামলা ও ভাঙচুর করেন।

তবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে, তাহার অনুসারী চর জব্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম বিএসসি, ২নং চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজীব, ৫নং চর জুবলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল্ল্যা খসরুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, প্রথমে দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থকেরা তাদের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন এমন তথ্য মোবাইল ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রচার হলে সাথে সাথে তারা চেউয়াখালী বাজারে আওয়ামী লীগ অফিস ও আনারস মার্কার বিভিন্ন প্রার্থীর বাড়িতে তাদের দোকানপাটের উপর হামলা ভাঙচুর ও মিছিল শুরু করেন।

দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, ভোটে হার জিত থাকে কিন্তু এভাবে কারো সমর্থকের উপর এমন হামলা লজ্জাজনক। এসব ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তারা দুষ্কৃতকারী। এসময় তিনি সকলকে ধৈর্য্য ধারন করার অনুরোধ করেছেন।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কাউসার আলম ভূঁইয়া বলেন, পাল্টাপাল্টি হামলার পর চেউয়াখালী বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে দোয়াতকলমের সমর্থকরা একটি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারীত্বের পরিচয় দিয়ে দায়িত্ব পালন করবে : খাগড়াছড়ি

সুবর্ণচরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১৫, দোকানপাট-বাড়িঘর ভাঙচুর

আপডেট সময় ০৫:৩২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ১১টি দোকান ও ১টি বাড়িতে।

গত বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর উপজেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে চরজব্বার ইউনিয়নের চেউয়াখালী, চর হাসান ভূঁইয়ার হাট বাজার ও পূর্ব চরবাটা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

আহতরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছেন।

পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনার পর থেকে চেউয়াখালী ও চর হাসান ভূঁইয়ার হাট বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে চেউয়াখালী বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি চরজব্বার এলাকায়ও পুলিশের একাধিক টিম সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটেরদিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মোবাইল ফোনে প্রচারিত নির্বাচনের ফলাফল সকলে জানতে শুরু করলে চেউয়াখালী বাজারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তর্কবিতর্কের জেরে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়।

চেউয়াখালী বাজারের শাহজাহান ট্রেডার্স, সিরাজ উদ্দিন মেম্বার এর অফিস, মিজান ট্রেডার্স, রহমান ফার্নিচার, রহমান ক্রোকারিজ, রহমান ইলেকট্রনিকস, রহমান সন্স, ভূঁইয়া ট্রেডার্স, ভূঁইয়া ইলেকট্রনিকস, সালাহ উদ্দিন স্টোরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ভূঁইয়ার হাট বাজারে মো. হারুন নামের এক ব্যক্তির দুটি দোকান ও বাজারের পার্শ্ববর্তী আবু তাহের মাঝির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়।

দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীর সমর্থক ও চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, আনারস প্রতীকের আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীর অনুসারীরা প্রথমে হামলা ও ভাঙচুর করেন।

তবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে, তাহার অনুসারী চর জব্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম বিএসসি, ২নং চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজীব, ৫নং চর জুবলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল্ল্যা খসরুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, প্রথমে দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থকেরা তাদের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন এমন তথ্য মোবাইল ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রচার হলে সাথে সাথে তারা চেউয়াখালী বাজারে আওয়ামী লীগ অফিস ও আনারস মার্কার বিভিন্ন প্রার্থীর বাড়িতে তাদের দোকানপাটের উপর হামলা ভাঙচুর ও মিছিল শুরু করেন।

দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, ভোটে হার জিত থাকে কিন্তু এভাবে কারো সমর্থকের উপর এমন হামলা লজ্জাজনক। এসব ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তারা দুষ্কৃতকারী। এসময় তিনি সকলকে ধৈর্য্য ধারন করার অনুরোধ করেছেন।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কাউসার আলম ভূঁইয়া বলেন, পাল্টাপাল্টি হামলার পর চেউয়াখালী বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে দোয়াতকলমের সমর্থকরা একটি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।