ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনবাগে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযুক্ত আসামিরা অধরা

মো. ওমর ফারুক, খোন্দকার: নোয়াখালীর সেনবাগে দাবিকৃত দেড় লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে মারজান আক্তার নাছরিন (২২) নামে এক গৃহবধূকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার ৪নং ওয়ার্ডের আইয়ুব আলী মাস্টার বাড়িতে। গত ১৮ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটলেও ৯দিনেও রহস্যজনক কারণে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা অধরা থাকায় অজ্ঞাত স্থান থেকে নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। নিহতের পরিবার জানায়, প্রায় তিন বছর পূর্বে সোনাইমুড়ি উপজেণার কাশীপুর মাইদের বাড়ির মো. আবুল কালামের কন্যা মারজান আক্তার নাছরিনের সঙ্গে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আবু কালামের ছেলে অটোরিকশা চালক জহির আহমেদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কিছুদিন সুখে কাটলেও পরবর্তীতে দফায় দফায় যৌতুক দাবি করতে থাকে। একাধিকবার বিভিন্ন অংকে যৌতুকের টাকা হাতিয়ে নেয় জহির ও তার পরিবারের সদস্যরা। এরপরও নাছরিনের ওপর যৌতুকের জন্য নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার চলতে থাকে। এক পর্যায়ে নাছরিন পিতার বাড়িতে এসে নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে আর স্বামীর বাড়িতে যাবেনা বলে জানিয়ে দেন। গত তিন মাস পূর্বে এক সালিশি বৈঠকে তাকে আর নির্যাতন করবেনা মর্মে স্টাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে জহির নাছরিনকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে নির্যতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেন। গত ১৩ ডিসেস্বর নাছরিনকে দেড় লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী জহির ও তার পরিবারের সদস্যরা মারধর করে। খবর পেয়ে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার মা পান্না আক্তার ১৬ ডিসেম্বর ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে আসেন। কিন্তু তাতেও পাষন্ডদের মন গলেনি। যৌতুকের টাকা গ্রহণের দুই দিনের মাথায় ১৮ ডিসেস্বর বিকালে স্বামী জহির আহমেদ, শাশুড়ি জরিনা বেগম, ভাসুর মো. উসমান ও অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি মিলে নাছরিনকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে নাছরিন আত্মহত্যা করেছে বলে তার পিতা-মাতাকে খবর দেন। এ ঘটনায় নাছরিনের পিতা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেনবাগ থানার মামলা নং-১৮, তাং- ১৯-১২-২০২২খ্রিস্টাব্দ।

আপলোডকারীর তথ্য

সেনবাগে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযুক্ত আসামিরা অধরা

আপডেট সময় ০৫:০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

মো. ওমর ফারুক, খোন্দকার: নোয়াখালীর সেনবাগে দাবিকৃত দেড় লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে মারজান আক্তার নাছরিন (২২) নামে এক গৃহবধূকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার ৪নং ওয়ার্ডের আইয়ুব আলী মাস্টার বাড়িতে। গত ১৮ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটলেও ৯দিনেও রহস্যজনক কারণে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা অধরা থাকায় অজ্ঞাত স্থান থেকে নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। নিহতের পরিবার জানায়, প্রায় তিন বছর পূর্বে সোনাইমুড়ি উপজেণার কাশীপুর মাইদের বাড়ির মো. আবুল কালামের কন্যা মারজান আক্তার নাছরিনের সঙ্গে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আবু কালামের ছেলে অটোরিকশা চালক জহির আহমেদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কিছুদিন সুখে কাটলেও পরবর্তীতে দফায় দফায় যৌতুক দাবি করতে থাকে। একাধিকবার বিভিন্ন অংকে যৌতুকের টাকা হাতিয়ে নেয় জহির ও তার পরিবারের সদস্যরা। এরপরও নাছরিনের ওপর যৌতুকের জন্য নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার চলতে থাকে। এক পর্যায়ে নাছরিন পিতার বাড়িতে এসে নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে আর স্বামীর বাড়িতে যাবেনা বলে জানিয়ে দেন। গত তিন মাস পূর্বে এক সালিশি বৈঠকে তাকে আর নির্যাতন করবেনা মর্মে স্টাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে জহির নাছরিনকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে নির্যতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেন। গত ১৩ ডিসেস্বর নাছরিনকে দেড় লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী জহির ও তার পরিবারের সদস্যরা মারধর করে। খবর পেয়ে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার মা পান্না আক্তার ১৬ ডিসেম্বর ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে আসেন। কিন্তু তাতেও পাষন্ডদের মন গলেনি। যৌতুকের টাকা গ্রহণের দুই দিনের মাথায় ১৮ ডিসেস্বর বিকালে স্বামী জহির আহমেদ, শাশুড়ি জরিনা বেগম, ভাসুর মো. উসমান ও অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি মিলে নাছরিনকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে নাছরিন আত্মহত্যা করেছে বলে তার পিতা-মাতাকে খবর দেন। এ ঘটনায় নাছরিনের পিতা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেনবাগ থানার মামলা নং-১৮, তাং- ১৯-১২-২০২২খ্রিস্টাব্দ।