ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হৃদরোগে আক্রান্ত কিশোরী মার্জিয়া আফরিন ঝুমুর বাঁচতে চায়

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

মাত্র ১৫ বছর বয়সের কিশোরী মার্জিয়া আফরিন ঝুমুর। এই বয়সে যার স্কুলে যাবার কথা সমবয়সী এবং বাড়ির সবার সাথে খেলাধুলা করার কথা। কিন্তু এখন ছোট্ট মার্জিয়া আফরিন ঝুমর বেশিরভাগ সময় কাটছে তার বিছানায়। প্রাণচঞ্চল ফুটফুটে এই শিশু দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তার হার্টে ছিদ্র রয়েছে। তাকে প্রতি মাসে নিয়মিত ঔষধপত্র দিতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে মার্জিয়া আফরিন ঝুমুরের চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত দরিদ্র রিক্সা চালক বাবা মোঃ জাহিদ শেখ।

জানা গেছে, মার্জিয়া আফরিন ঝুমুর (১৫) বাগেরহাট জেলার ডেমা ইউনিয়নের ৭’নং ওয়ার্ডের উওর পাড়া এলাকার রিক্সাচালক মোঃ জাহিদ শেখের মেয়ে।

মার্জিয়া আফরিন ঝুমুরের মা সুমাইয়া খাতুন কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, নম্র, ভদ্র ও ভালো মানুষ হিসেবে এলাকায় আমার স্বামী বা আমার সুনাম রয়েছে। আমার জানা মতে আমার স্বামী বা আমি কখনো কারো ক্ষতি করেনি। তাহলে আমার মেয়ের এমন রোগ কেন হলো। আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য আমাদের পরিবারের যা কিছু ছিলো সব ব্যয় করা হয়েছে। এখন অর্থ সংকটে আমার মেয়ে চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মানবিকতার দৃষ্টিতে এবং আমাদের একজন ভাই ও বোন হিসেবে যার – যার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করলে আমার অসুস্থ মেয়ের উন্নত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবো। আমি সমাজের মানবিক ও বিত্তশালীদের প্রতি অনুরোধ করবো আপনাদের সামান্য সহযোগিতায় হয়তো আমার মেয়েটির জীবন বেঁচে যেতে পারে।

মার্জিয়া আফরিন ঝুমুরের বাবা মোঃ জাহিদ শেখ কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, আমাদের এই কুঁড়ে ঘরটি ছাড়া আর কোনো জমি-জমা নেই। অন্যের রিকশাচালীয়ে কোন মতে সংসার চালাই।আমি রিক্সাচালিয়ে যে টাকা রোজগার করি তা দিয়ে ঠিকমতো সংসারই চালাতে পারি না। এর মধ্যে আমার এক মাত্র কন্যা সন্তান হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় আমি বিপাকে পড়েছি। তার জন্য ঠিকমতো খাবার ও চিকিৎসা-ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারছি না। ১’মাস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে ও ওষুধ কিনতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১’লক্ষ টাকা। এবং আমার মেয়েকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আনুমানিক ৪’লক্ষ টাকা মতো খরচা লাগবে আমার একার পক্ষে সম্ভব না তাই আপনারা সকলের যে যা পারেন তাই দিয়ে আমার এক মাত্র মেয়ের চিকিৎসা করাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন।

এ বিষয়ে মোঃ মিলন শেখ বলেন, রিক্সাচালক মোঃ জাহিদ শেখের এক মাত্র মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে দিন পার করছেন। এবং অর্থের অভাবে এই মেয়েটিকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তাই এই গরিব-অসহায় পরিবার টাকে কেউ একটু সহযোগিতা করলে খুব উপকার হতো।

এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, রিক্সা চালক মোঃ জাহিদ শেখের পরিবারটি একেবারেই গরিব-অসহায়। মোঃ জাহিদ শেখের একটি মাত্র কুঁড়ে ঘর ছাড়া আর কিছুই নাই। হাতে খাটে – পেটে খায়, এমন অবস্থা। এক মাত্র কন্যা সন্তান হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া তার কাছে মরার উপর খাড়ার ঘা। মোঃ জাহিদ শেখ আমাদের কাছে এসেছিল, কিছু আর্থিক সাহায্যের জন্য। কিন্তু আমাদের করনীয় তেমন কিছু নেই। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় এমপি শেখ তন্ময়’সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে মোঃ জাহিদ শেখের এক মাত্র কন্যা সন্তানের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগীতা কামনা করেন।

শিশুটিকে সাহায্য পাঠানোর জন্য সরাসরি পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন –
(পার্সোনাল) বিকাশ ও নগদঃ- 01948-360317

আপলোডকারীর তথ্য

হৃদরোগে আক্রান্ত কিশোরী মার্জিয়া আফরিন ঝুমুর বাঁচতে চায়

আপডেট সময় ১১:০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

মাত্র ১৫ বছর বয়সের কিশোরী মার্জিয়া আফরিন ঝুমুর। এই বয়সে যার স্কুলে যাবার কথা সমবয়সী এবং বাড়ির সবার সাথে খেলাধুলা করার কথা। কিন্তু এখন ছোট্ট মার্জিয়া আফরিন ঝুমর বেশিরভাগ সময় কাটছে তার বিছানায়। প্রাণচঞ্চল ফুটফুটে এই শিশু দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তার হার্টে ছিদ্র রয়েছে। তাকে প্রতি মাসে নিয়মিত ঔষধপত্র দিতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে মার্জিয়া আফরিন ঝুমুরের চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত দরিদ্র রিক্সা চালক বাবা মোঃ জাহিদ শেখ।

জানা গেছে, মার্জিয়া আফরিন ঝুমুর (১৫) বাগেরহাট জেলার ডেমা ইউনিয়নের ৭’নং ওয়ার্ডের উওর পাড়া এলাকার রিক্সাচালক মোঃ জাহিদ শেখের মেয়ে।

মার্জিয়া আফরিন ঝুমুরের মা সুমাইয়া খাতুন কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, নম্র, ভদ্র ও ভালো মানুষ হিসেবে এলাকায় আমার স্বামী বা আমার সুনাম রয়েছে। আমার জানা মতে আমার স্বামী বা আমি কখনো কারো ক্ষতি করেনি। তাহলে আমার মেয়ের এমন রোগ কেন হলো। আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য আমাদের পরিবারের যা কিছু ছিলো সব ব্যয় করা হয়েছে। এখন অর্থ সংকটে আমার মেয়ে চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মানবিকতার দৃষ্টিতে এবং আমাদের একজন ভাই ও বোন হিসেবে যার – যার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করলে আমার অসুস্থ মেয়ের উন্নত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবো। আমি সমাজের মানবিক ও বিত্তশালীদের প্রতি অনুরোধ করবো আপনাদের সামান্য সহযোগিতায় হয়তো আমার মেয়েটির জীবন বেঁচে যেতে পারে।

মার্জিয়া আফরিন ঝুমুরের বাবা মোঃ জাহিদ শেখ কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, আমাদের এই কুঁড়ে ঘরটি ছাড়া আর কোনো জমি-জমা নেই। অন্যের রিকশাচালীয়ে কোন মতে সংসার চালাই।আমি রিক্সাচালিয়ে যে টাকা রোজগার করি তা দিয়ে ঠিকমতো সংসারই চালাতে পারি না। এর মধ্যে আমার এক মাত্র কন্যা সন্তান হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় আমি বিপাকে পড়েছি। তার জন্য ঠিকমতো খাবার ও চিকিৎসা-ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারছি না। ১’মাস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে ও ওষুধ কিনতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১’লক্ষ টাকা। এবং আমার মেয়েকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আনুমানিক ৪’লক্ষ টাকা মতো খরচা লাগবে আমার একার পক্ষে সম্ভব না তাই আপনারা সকলের যে যা পারেন তাই দিয়ে আমার এক মাত্র মেয়ের চিকিৎসা করাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন।

এ বিষয়ে মোঃ মিলন শেখ বলেন, রিক্সাচালক মোঃ জাহিদ শেখের এক মাত্র মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে দিন পার করছেন। এবং অর্থের অভাবে এই মেয়েটিকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তাই এই গরিব-অসহায় পরিবার টাকে কেউ একটু সহযোগিতা করলে খুব উপকার হতো।

এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, রিক্সা চালক মোঃ জাহিদ শেখের পরিবারটি একেবারেই গরিব-অসহায়। মোঃ জাহিদ শেখের একটি মাত্র কুঁড়ে ঘর ছাড়া আর কিছুই নাই। হাতে খাটে – পেটে খায়, এমন অবস্থা। এক মাত্র কন্যা সন্তান হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া তার কাছে মরার উপর খাড়ার ঘা। মোঃ জাহিদ শেখ আমাদের কাছে এসেছিল, কিছু আর্থিক সাহায্যের জন্য। কিন্তু আমাদের করনীয় তেমন কিছু নেই। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় এমপি শেখ তন্ময়’সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে মোঃ জাহিদ শেখের এক মাত্র কন্যা সন্তানের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগীতা কামনা করেন।

শিশুটিকে সাহায্য পাঠানোর জন্য সরাসরি পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন –
(পার্সোনাল) বিকাশ ও নগদঃ- 01948-360317