ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৪ দিনে ১৯৭ টি যানবাহন ও স্থাপনাসহ আগুন

স্টাফ রিপোর্টার

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত হরতাল ও অবরোধের সময় ২৪ দিনে ১৯৭ টি যানবাহন ও স্থাপনাসহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পুড়ে যায়। যানবাহনের মধ্যে মোট বাস ১১৮টি, ট্রাক ২৬টি, কাভার্ড ভ্যান ১৩টি, মোটরসাইকেল ৮টি, প্রাইভেটকার ২টি, মাইক্রোবাস ৩টি, পিকআপ ৩টি, সিএনজি ৩টি, ট্রেন ২টি, নছিমন ১টি, লেগুনা ৩টি, ফায়ার সার্ভিস এর পানিবাহী গাড়ি ১টি, পুলিশের গাড়ি ১টি, অ্যাম্বুলেন্স ১টি, বিএনপি অফিস ৫টি, আওয়ামী লীগ অফিস ১টি, পুলিশ বক্স ১টি, কাউন্সিলর অফিস ১টি, বিদ্যুৎ অফিস ২টি, বাস কাউন্টার ১টি, শোরুম ২টি আরও ২টি স্থাপনা পুড়ে যায়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক দিনে গড়ে ৭টি করে যানবাহনে আগুন দেয়া হয়। দিনে গড়ে ৫টি করে বাসে আগুন দেয়া হয়।

অপরদিকে দেখা গেছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়, এছাড়া দেশের ৩৪টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে বাকি ৩০ জেলায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক কোন অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশে ৬০টি উপজেলায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস এবং বাকি ৪৩৫টি উপজেলায় কোন আগুনের সংবাদ পায়নি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৯৫টি, ঢাকা বিভাগে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, রংপুর বিভাগে ৭টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২টি, সিলেট বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ঢাকা সিটি করপোরেশন এর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬০টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে। এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মিরপুরে এলাকায় সবচেয়ে আগুনের ঘটনা বেশি। মিরপুর এলাকায় ১৭টি, গুলিস্তানে ৯টি, নয়াপল্টন-কাকরাইল এলাকায় ৭টি, খিলগাঁও-মুগদা এলাকায় ৭টি, পোস্তাগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৭টি, মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় ৫টি, মোহাম্মদ ৪টি, বারিধারা ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯ টি, ৩০ অক্টোবর-০টি, ৩১ অক্টোবর ১২টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৩ নভেম্বর ০টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর ২টি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর ৭টি, ১০ নভেম্বর ২টি, ১১ নভেম্বর ৭টি, ১২ নভেম্বর ৭টি, ১৩ নভেম্বর ৮টি, ১৪ নভেম্বর ৪টি, ১৫ নভেম্বর ৬টি, ১৬ নভেম্বর ৭টি, ১৭ নভেম্বর ০টি, ১৮ নভেম্বর ৬টি, ১৯ নভেম্বর ১৩টি, ২০ নভেম্বর ৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মোট ১৯৭টি আগুন নির্বাপণ করতে সারাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ৩৪১টি ইউনিট ও ১৮৮৮ জন জনবল কাজ করে।

এদিকে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৬টি, চট্টগ্রামে ১৪টি, বগুড়া ১৩টি, নারায়ণগঞ্জ ৬টি, মানিকগঞ্জ ৪টি, ফরিদপুর ৪টি, লালমনিরহাট ৪টি, নাটোর ৪টি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।
উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বগুড়া সদর উপজেলায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। বগুড়া সদরে ৮টি, গাজীপুর সদরে ৬টি, নারায়ণগঞ্জ সদরে ৪টি, ফেনী সদরে ৩টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, দিনে গড়ে ৭টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে দিনে গড়ে প্রায় ৫টি করে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আগুনের ঘটনা বেশি, মিরপুরে সবচেয়ে বেশি। দেশের ৩৪ জেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তবে ৩০টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটেনি। জেলা হিসেবে গাজীপুরে ও উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস এর ৩৪১টি ইউনিট ও ১৮৮৮ জন জনবল কাজ করেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

২৪ দিনে ১৯৭ টি যানবাহন ও স্থাপনাসহ আগুন

আপডেট সময় ১২:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত হরতাল ও অবরোধের সময় ২৪ দিনে ১৯৭ টি যানবাহন ও স্থাপনাসহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পুড়ে যায়। যানবাহনের মধ্যে মোট বাস ১১৮টি, ট্রাক ২৬টি, কাভার্ড ভ্যান ১৩টি, মোটরসাইকেল ৮টি, প্রাইভেটকার ২টি, মাইক্রোবাস ৩টি, পিকআপ ৩টি, সিএনজি ৩টি, ট্রেন ২টি, নছিমন ১টি, লেগুনা ৩টি, ফায়ার সার্ভিস এর পানিবাহী গাড়ি ১টি, পুলিশের গাড়ি ১টি, অ্যাম্বুলেন্স ১টি, বিএনপি অফিস ৫টি, আওয়ামী লীগ অফিস ১টি, পুলিশ বক্স ১টি, কাউন্সিলর অফিস ১টি, বিদ্যুৎ অফিস ২টি, বাস কাউন্টার ১টি, শোরুম ২টি আরও ২টি স্থাপনা পুড়ে যায়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক দিনে গড়ে ৭টি করে যানবাহনে আগুন দেয়া হয়। দিনে গড়ে ৫টি করে বাসে আগুন দেয়া হয়।

অপরদিকে দেখা গেছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়, এছাড়া দেশের ৩৪টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে বাকি ৩০ জেলায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক কোন অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশে ৬০টি উপজেলায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস এবং বাকি ৪৩৫টি উপজেলায় কোন আগুনের সংবাদ পায়নি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৯৫টি, ঢাকা বিভাগে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, রংপুর বিভাগে ৭টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২টি, সিলেট বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ঢাকা সিটি করপোরেশন এর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬০টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে। এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মিরপুরে এলাকায় সবচেয়ে আগুনের ঘটনা বেশি। মিরপুর এলাকায় ১৭টি, গুলিস্তানে ৯টি, নয়াপল্টন-কাকরাইল এলাকায় ৭টি, খিলগাঁও-মুগদা এলাকায় ৭টি, পোস্তাগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৭টি, মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় ৫টি, মোহাম্মদ ৪টি, বারিধারা ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯ টি, ৩০ অক্টোবর-০টি, ৩১ অক্টোবর ১২টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৩ নভেম্বর ০টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর ২টি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর ৭টি, ১০ নভেম্বর ২টি, ১১ নভেম্বর ৭টি, ১২ নভেম্বর ৭টি, ১৩ নভেম্বর ৮টি, ১৪ নভেম্বর ৪টি, ১৫ নভেম্বর ৬টি, ১৬ নভেম্বর ৭টি, ১৭ নভেম্বর ০টি, ১৮ নভেম্বর ৬টি, ১৯ নভেম্বর ১৩টি, ২০ নভেম্বর ৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মোট ১৯৭টি আগুন নির্বাপণ করতে সারাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ৩৪১টি ইউনিট ও ১৮৮৮ জন জনবল কাজ করে।

এদিকে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৬টি, চট্টগ্রামে ১৪টি, বগুড়া ১৩টি, নারায়ণগঞ্জ ৬টি, মানিকগঞ্জ ৪টি, ফরিদপুর ৪টি, লালমনিরহাট ৪টি, নাটোর ৪টি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।
উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বগুড়া সদর উপজেলায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। বগুড়া সদরে ৮টি, গাজীপুর সদরে ৬টি, নারায়ণগঞ্জ সদরে ৪টি, ফেনী সদরে ৩টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, দিনে গড়ে ৭টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে দিনে গড়ে প্রায় ৫টি করে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আগুনের ঘটনা বেশি, মিরপুরে সবচেয়ে বেশি। দেশের ৩৪ জেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তবে ৩০টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটেনি। জেলা হিসেবে গাজীপুরে ও উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস এর ৩৪১টি ইউনিট ও ১৮৮৮ জন জনবল কাজ করেছে।