ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

৭২ বছর পর আজিমপুরে ভাষাশহিদ রফিকের কবর চিহ্নিত

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা

৭২ বছর পর ভাষাশহিদ রফিকউদ্দিন আহমদের কবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে।১৬ বৈশাখ ১৪৩১ (২৯ এপ্রিল ২০২৪) দুপুরে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের গবেষক তথা জ্ঞানভিত্তিক সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক এম এ বার্ণিকের উদ্যোগে ভাষাশহিদ রফিকের ভাতিজা আবদুর রউফ কবরের স্থানটি শনাক্ত করেন।

আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহিদ বরকতের কবরের অব্যবহিত পূর্বেপার্শ্বে শহিদ রফিকের খবরটির অবস্থান নিশ্চিত করা হলো। শহিদ রফিকের ভাতিজা আবদুর রউফ কবরের স্থানটি দেখিয়ে দেয়ার পর, ভাষা-আন্দোলনের গবেষক হিসেব অধ্যাপক এম এ বার্ণিক সেটি সত্যায়ন ও প্রমিতকরণ করেন। এসময় সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনবিদ ড. শরিফ সাকি, কবি জান্নাতুন নাঈম ও সাংবাদিক সাজেদা হক। কবরটি চিহ্নিত করার পরপরই শহিদ রফিকের নামাঙ্কিত ফলক ঝুলিয়ে দেন তারা।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটায় বর্তমান কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রফিক শহিদ হন। কবরটি অস্থায়ী কবর ছিলো বিধায় আজিমপুর কবরস্থান কর্তৃপক্ষ ৭১ বছর আগে এটি ভেঙে দিয়েছিলো।

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল ভাষাশহিদ সালামের কবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে। শহিদ রফিক ও সালামের কবরের স্থান দুটি ভেঙে দেয়া হলেও শহিদ পরিবারের সদস্যগণের নিকট কবরের অবস্থান জানা ছিল।

ইতোমধ্যেই শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়রকে কবরটি পাকা করার অনুমতি চেয়ে এবং কবর দুটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো:

প্রথমত, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের গবেষক অধ্যাপক এম এ বার্ণিকের প্রচেষ্টায় এবং ভাষাশহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ ও ভাষাশহিদ আব্দুস সালামের পরিবারের সহযোগিতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহিদ উক্ত দুজন ভাষাশহিদের অচিহ্নিত কবর দুটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, ইতোপূর্বে আরও ৩ জন ভাষাশহিদের কবর আজিমপুর কবরস্থানে পাকা করে যে প্রক্রিয়ায় স্থায়ী সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই শহিদ রফিক ও শহিদ সালামের কবর দুটি পাকা করে সংরক্ষণ করা আবশ্যক।
তৃতীয়ত, ব্যক্তিগতভাবে পাকা করার অনুমতি সাপেক্ষে পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় কবর দুটি পাকা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।

উক্ত কবরগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সদয় বিবেচনা কামনা করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

চুরির মামলায় বিপিএল হাউজিংয়ের সাবেক কর্মকর্তার জামিন বাতিল

৭২ বছর পর আজিমপুরে ভাষাশহিদ রফিকের কবর চিহ্নিত

আপডেট সময় ০৫:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা

৭২ বছর পর ভাষাশহিদ রফিকউদ্দিন আহমদের কবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে।১৬ বৈশাখ ১৪৩১ (২৯ এপ্রিল ২০২৪) দুপুরে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের গবেষক তথা জ্ঞানভিত্তিক সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক এম এ বার্ণিকের উদ্যোগে ভাষাশহিদ রফিকের ভাতিজা আবদুর রউফ কবরের স্থানটি শনাক্ত করেন।

আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহিদ বরকতের কবরের অব্যবহিত পূর্বেপার্শ্বে শহিদ রফিকের খবরটির অবস্থান নিশ্চিত করা হলো। শহিদ রফিকের ভাতিজা আবদুর রউফ কবরের স্থানটি দেখিয়ে দেয়ার পর, ভাষা-আন্দোলনের গবেষক হিসেব অধ্যাপক এম এ বার্ণিক সেটি সত্যায়ন ও প্রমিতকরণ করেন। এসময় সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনবিদ ড. শরিফ সাকি, কবি জান্নাতুন নাঈম ও সাংবাদিক সাজেদা হক। কবরটি চিহ্নিত করার পরপরই শহিদ রফিকের নামাঙ্কিত ফলক ঝুলিয়ে দেন তারা।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটায় বর্তমান কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রফিক শহিদ হন। কবরটি অস্থায়ী কবর ছিলো বিধায় আজিমপুর কবরস্থান কর্তৃপক্ষ ৭১ বছর আগে এটি ভেঙে দিয়েছিলো।

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল ভাষাশহিদ সালামের কবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে। শহিদ রফিক ও সালামের কবরের স্থান দুটি ভেঙে দেয়া হলেও শহিদ পরিবারের সদস্যগণের নিকট কবরের অবস্থান জানা ছিল।

ইতোমধ্যেই শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়রকে কবরটি পাকা করার অনুমতি চেয়ে এবং কবর দুটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো:

প্রথমত, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের গবেষক অধ্যাপক এম এ বার্ণিকের প্রচেষ্টায় এবং ভাষাশহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ ও ভাষাশহিদ আব্দুস সালামের পরিবারের সহযোগিতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহিদ উক্ত দুজন ভাষাশহিদের অচিহ্নিত কবর দুটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, ইতোপূর্বে আরও ৩ জন ভাষাশহিদের কবর আজিমপুর কবরস্থানে পাকা করে যে প্রক্রিয়ায় স্থায়ী সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই শহিদ রফিক ও শহিদ সালামের কবর দুটি পাকা করে সংরক্ষণ করা আবশ্যক।
তৃতীয়ত, ব্যক্তিগতভাবে পাকা করার অনুমতি সাপেক্ষে পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় কবর দুটি পাকা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।

উক্ত কবরগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সদয় বিবেচনা কামনা করা হয়।