ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কটিয়াদীতে তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo ব্রাহ্মণপাড়া জামায়াতে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo হোসেনপুর জুন্নুরাইন নূরানী হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসার শুভ উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo মির্জাপুরে ছিনতাইকারীদের খপ্পরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার Logo গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে চীন: চীনা মুখপাত্র Logo শ্রীলংকা চীনের সঙ্গে বহুপাক্ষিক অবস্থানে সমন্বয় জোরদার করতে ইচ্ছুক Logo চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ভিয়েতনাম জাপানের প্রতিনিধি দলের বৈঠক Logo চীন-শ্রীলঙ্কা সম্পর্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতার নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন Logo শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে বসেই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ Logo অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই বর্তমান কমিশনের প্রধান লক্ষ্য

এহেনো উৎসব চাইনা

এহেনো উৎসব চাইনা
সেন্টু রঞ্জন চক্রবর্তী, আগরতলা

উৎসব আসে
আসে বারোমাসে তেরো পার্বন,
আকাশে চাঁদ উঠে
ঢাকের কাঠি আকাশ ফাটায়
আরতি রহিমারা দীর্ঘশ্বাস টানে, চোখে কষ্টের নদী প্লাবন ডাকে,
মায়ের আঁচলে যন্ত্রনারা হেটে বেড়ায় উদাস পথিকের মতো।

এ উৎসব
বারবার আসে বারবার যায়
মানুষের বদলায়না কিছুই,
শুধুই-
নীরবে হাজার বছর ধরে মানুষকে ব্যথিত করে যায়
উপহাস করে চলে দুঃখীদের,
উৎসবের নামে অহংকারীরা মেতে উঠে প্রাচুর্যের মহিমায়
মাতাল সময়গুলি অভুক্ত মানুষের কাছে একান্তই অপ্রাসঙ্গিক।

গরীবের ঈশ্বর অবশ্য ভিন্ন রকম
তাঁদের প্রার্থনায় তার মনোযোগ না দিলেও চলে
তার কোনো দায়বদ্ধতা নেই
তার কোনো অথরিটি ও নেই
তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী,
প্রতিপত্তিওয়ালাদের নিয়ে তিনি সর্বদাই ব্যস্ত থাকেন
তাঁদের চাওয়া পাওয়ার খাই মেটাতেই সময় গুজরান হয় এই মহামহিমের।

আমরা
এহেনো উৎসব চাইনা,
আমরা ঈশ্বরহীন পৃথিবী চাই,
বারোমাসে তেরো পাবন আমাদের বেমানান
আমরা সকলের জন্য একটা ভিন্ন পৃথিবী চাই,
সে পৃথিবীতে সবাই সবাইকে ভালোবাসবে
সবাই হাসবে, সবাই গাইবে
কেউ ঈশ্বরের কৃপার জন্য প্রার্থনায় সময় নষ্ট না করে
মানুষের জন্য সময়কে ব্যয় করবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কটিয়াদীতে তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

এহেনো উৎসব চাইনা

আপডেট সময় ০৭:২২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

এহেনো উৎসব চাইনা
সেন্টু রঞ্জন চক্রবর্তী, আগরতলা

উৎসব আসে
আসে বারোমাসে তেরো পার্বন,
আকাশে চাঁদ উঠে
ঢাকের কাঠি আকাশ ফাটায়
আরতি রহিমারা দীর্ঘশ্বাস টানে, চোখে কষ্টের নদী প্লাবন ডাকে,
মায়ের আঁচলে যন্ত্রনারা হেটে বেড়ায় উদাস পথিকের মতো।

এ উৎসব
বারবার আসে বারবার যায়
মানুষের বদলায়না কিছুই,
শুধুই-
নীরবে হাজার বছর ধরে মানুষকে ব্যথিত করে যায়
উপহাস করে চলে দুঃখীদের,
উৎসবের নামে অহংকারীরা মেতে উঠে প্রাচুর্যের মহিমায়
মাতাল সময়গুলি অভুক্ত মানুষের কাছে একান্তই অপ্রাসঙ্গিক।

গরীবের ঈশ্বর অবশ্য ভিন্ন রকম
তাঁদের প্রার্থনায় তার মনোযোগ না দিলেও চলে
তার কোনো দায়বদ্ধতা নেই
তার কোনো অথরিটি ও নেই
তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী,
প্রতিপত্তিওয়ালাদের নিয়ে তিনি সর্বদাই ব্যস্ত থাকেন
তাঁদের চাওয়া পাওয়ার খাই মেটাতেই সময় গুজরান হয় এই মহামহিমের।

আমরা
এহেনো উৎসব চাইনা,
আমরা ঈশ্বরহীন পৃথিবী চাই,
বারোমাসে তেরো পাবন আমাদের বেমানান
আমরা সকলের জন্য একটা ভিন্ন পৃথিবী চাই,
সে পৃথিবীতে সবাই সবাইকে ভালোবাসবে
সবাই হাসবে, সবাই গাইবে
কেউ ঈশ্বরের কৃপার জন্য প্রার্থনায় সময় নষ্ট না করে
মানুষের জন্য সময়কে ব্যয় করবে।