ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ Logo মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo কটিয়াদীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি Logo বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জনসাধারণের জন্য ৭ টি জাহাজ উন্মুক্ত করেছে কোস্ট গার্ড Logo বরুড়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে মহিলা দলের আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সুবিধাবঞ্চিত ও ঝরে পড়া শিশুদের নিয়ে সিড ফাউন্ডেশনের বিজয় দিবস উদযাপন Logo ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিজয় দিবস পালিত Logo রাঙ্গামাটিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন Logo মুরাদনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন Logo বরুড়ায় মহান বিজয় দিবস পালিত

গাইবান্ধার সাঘাটায় কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় জাকারিয়া আলম সম্রাট নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের সহপাঠী এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জাকারিয়া আলম সম্রাট উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আফজল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কাজী আজহার আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। আটক ওই কিশোরও এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত জাকারিয়া আলম সম্রাটের কাছ থেকে একই উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের মিলন হাজারীর ছেলে রিফাত হোসেন কয়েকদিন আগে একটি ক্যামেরা ভাড়া নেয়। এরপর সম্রাটকে না জানিয়ে রিফাত হোসেন ক্যামেরাটি অন্য এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। গত বুধবার রাতে সম্রাট তাঁর ক্যামেরা ফিরত ও ভাড়ার টাকা ফিরত চান। গত বৃহস্পতিবার রাতে রিফাত হোসেন তার বাড়িতে ক্যামেরা ফিরত দিবে বলে সম্রাটকে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে রিফাত ও তার সহযোগিরা সম্রাটকে হত্যা করে। পরে বাড়ির সেফটিক ট্যাংককে সম্রাটের লাশ রেখে দেয়।

এদিকে, সম্রাট বাড়িতে না ফেরায় তাঁর স্বজনরা সাঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির পর পুলিশ গতকাল রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্রাটের বন্ধু রিফাত হোসেনকে আটক করে থানায় নেয়। এক পর্যায়ে রিফাত হোসেন তার বন্ধু সম্রাটকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়ার তথ্যেমতে পুলিশ রিফাতের বাড়ির পাশে সেফটিক ট্যাংক থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাঘাটা থানার ওসি মমতাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিফাত হোসেন নামের এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। নিহত জাকারিয়ার মা মিনি বেগম বাদী হয়ে দুপুরে সাঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জাকারিয়ার বন্ধু রিফাত হোসেনকে প্রধান আসামি ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

SBN

SBN

গাইবান্ধার সাঘাটায় কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৬:২২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় জাকারিয়া আলম সম্রাট নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের সহপাঠী এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জাকারিয়া আলম সম্রাট উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আফজল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কাজী আজহার আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। আটক ওই কিশোরও এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত জাকারিয়া আলম সম্রাটের কাছ থেকে একই উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের মিলন হাজারীর ছেলে রিফাত হোসেন কয়েকদিন আগে একটি ক্যামেরা ভাড়া নেয়। এরপর সম্রাটকে না জানিয়ে রিফাত হোসেন ক্যামেরাটি অন্য এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। গত বুধবার রাতে সম্রাট তাঁর ক্যামেরা ফিরত ও ভাড়ার টাকা ফিরত চান। গত বৃহস্পতিবার রাতে রিফাত হোসেন তার বাড়িতে ক্যামেরা ফিরত দিবে বলে সম্রাটকে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে রিফাত ও তার সহযোগিরা সম্রাটকে হত্যা করে। পরে বাড়ির সেফটিক ট্যাংককে সম্রাটের লাশ রেখে দেয়।

এদিকে, সম্রাট বাড়িতে না ফেরায় তাঁর স্বজনরা সাঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির পর পুলিশ গতকাল রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্রাটের বন্ধু রিফাত হোসেনকে আটক করে থানায় নেয়। এক পর্যায়ে রিফাত হোসেন তার বন্ধু সম্রাটকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়ার তথ্যেমতে পুলিশ রিফাতের বাড়ির পাশে সেফটিক ট্যাংক থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাঘাটা থানার ওসি মমতাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিফাত হোসেন নামের এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। নিহত জাকারিয়ার মা মিনি বেগম বাদী হয়ে দুপুরে সাঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জাকারিয়ার বন্ধু রিফাত হোসেনকে প্রধান আসামি ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।