ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আইপি টিভি মুভি বাংলার সিভিল টিমের নামে দেশজুড়ে চাঁদাবাজি Logo সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদা নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী Logo সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী..লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল Logo মাজার জিয়ারতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন একই পরিবারের ৪ সদস্য Logo রূপগঞ্জে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বাড়িঘর বিধ্বস্ত, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি Logo ভাষাশহিদ অহি উল্লাহ’র ছবি আঁকা প্রসঙ্গে Logo কুমিল্লায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo আট কেজি গাঁজা সহ দেবর-ভাবী গ্রেফতার Logo সুদের টাকায় আমল Logo গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা

গাইবান্ধার সাঘাটায় কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় জাকারিয়া আলম সম্রাট নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের সহপাঠী এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জাকারিয়া আলম সম্রাট উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আফজল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কাজী আজহার আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। আটক ওই কিশোরও এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত জাকারিয়া আলম সম্রাটের কাছ থেকে একই উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের মিলন হাজারীর ছেলে রিফাত হোসেন কয়েকদিন আগে একটি ক্যামেরা ভাড়া নেয়। এরপর সম্রাটকে না জানিয়ে রিফাত হোসেন ক্যামেরাটি অন্য এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। গত বুধবার রাতে সম্রাট তাঁর ক্যামেরা ফিরত ও ভাড়ার টাকা ফিরত চান। গত বৃহস্পতিবার রাতে রিফাত হোসেন তার বাড়িতে ক্যামেরা ফিরত দিবে বলে সম্রাটকে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে রিফাত ও তার সহযোগিরা সম্রাটকে হত্যা করে। পরে বাড়ির সেফটিক ট্যাংককে সম্রাটের লাশ রেখে দেয়।

এদিকে, সম্রাট বাড়িতে না ফেরায় তাঁর স্বজনরা সাঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির পর পুলিশ গতকাল রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্রাটের বন্ধু রিফাত হোসেনকে আটক করে থানায় নেয়। এক পর্যায়ে রিফাত হোসেন তার বন্ধু সম্রাটকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়ার তথ্যেমতে পুলিশ রিফাতের বাড়ির পাশে সেফটিক ট্যাংক থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাঘাটা থানার ওসি মমতাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিফাত হোসেন নামের এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। নিহত জাকারিয়ার মা মিনি বেগম বাদী হয়ে দুপুরে সাঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জাকারিয়ার বন্ধু রিফাত হোসেনকে প্রধান আসামি ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আইপি টিভি মুভি বাংলার সিভিল টিমের নামে দেশজুড়ে চাঁদাবাজি

গাইবান্ধার সাঘাটায় কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৬:২২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিক, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় জাকারিয়া আলম সম্রাট নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের সহপাঠী এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জাকারিয়া আলম সম্রাট উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আফজল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কাজী আজহার আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। আটক ওই কিশোরও এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত জাকারিয়া আলম সম্রাটের কাছ থেকে একই উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের মিলন হাজারীর ছেলে রিফাত হোসেন কয়েকদিন আগে একটি ক্যামেরা ভাড়া নেয়। এরপর সম্রাটকে না জানিয়ে রিফাত হোসেন ক্যামেরাটি অন্য এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। গত বুধবার রাতে সম্রাট তাঁর ক্যামেরা ফিরত ও ভাড়ার টাকা ফিরত চান। গত বৃহস্পতিবার রাতে রিফাত হোসেন তার বাড়িতে ক্যামেরা ফিরত দিবে বলে সম্রাটকে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে রিফাত ও তার সহযোগিরা সম্রাটকে হত্যা করে। পরে বাড়ির সেফটিক ট্যাংককে সম্রাটের লাশ রেখে দেয়।

এদিকে, সম্রাট বাড়িতে না ফেরায় তাঁর স্বজনরা সাঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির পর পুলিশ গতকাল রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্রাটের বন্ধু রিফাত হোসেনকে আটক করে থানায় নেয়। এক পর্যায়ে রিফাত হোসেন তার বন্ধু সম্রাটকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়ার তথ্যেমতে পুলিশ রিফাতের বাড়ির পাশে সেফটিক ট্যাংক থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাঘাটা থানার ওসি মমতাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিফাত হোসেন নামের এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। নিহত জাকারিয়ার মা মিনি বেগম বাদী হয়ে দুপুরে সাঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জাকারিয়ার বন্ধু রিফাত হোসেনকে প্রধান আসামি ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।