ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাতিলের দাবীতে নাগরিক পরিষদের Logo কুমিল্লার দুই সাংবাদিকের ৫ বছরের দুর্বিষহ হয়রানির অবসান Logo ব্রুনাইয়ে প্রবাসীদের ভোট নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন Logo ঝিনাইদহে ২৫’শ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ Logo নোয়াখালীতে আনসার ভিডিপি ব্যাংকের কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার Logo খুলনায় আদালতের সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে ২ জনকে হত্যা Logo ঝিনাইদহে খুচরা সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ Logo ঝিনাইদহে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতি Logo কুমিল্লায় ৯ দিনব্যাপী মেলায় বইপ্রেমীদের সমাগম Logo খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই : ফখরুল

৭২ বছর পর আজিমপুরে ভাষাশহিদ রফিকের কবর চিহ্নিত

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা

৭২ বছর পর ভাষাশহিদ রফিকউদ্দিন আহমদের কবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে।১৬ বৈশাখ ১৪৩১ (২৯ এপ্রিল ২০২৪) দুপুরে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের গবেষক তথা জ্ঞানভিত্তিক সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক এম এ বার্ণিকের উদ্যোগে ভাষাশহিদ রফিকের ভাতিজা আবদুর রউফ কবরের স্থানটি শনাক্ত করেন।

আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহিদ বরকতের কবরের অব্যবহিত পূর্বেপার্শ্বে শহিদ রফিকের খবরটির অবস্থান নিশ্চিত করা হলো। শহিদ রফিকের ভাতিজা আবদুর রউফ কবরের স্থানটি দেখিয়ে দেয়ার পর, ভাষা-আন্দোলনের গবেষক হিসেব অধ্যাপক এম এ বার্ণিক সেটি সত্যায়ন ও প্রমিতকরণ করেন। এসময় সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনবিদ ড. শরিফ সাকি, কবি জান্নাতুন নাঈম ও সাংবাদিক সাজেদা হক। কবরটি চিহ্নিত করার পরপরই শহিদ রফিকের নামাঙ্কিত ফলক ঝুলিয়ে দেন তারা।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটায় বর্তমান কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রফিক শহিদ হন। কবরটি অস্থায়ী কবর ছিলো বিধায় আজিমপুর কবরস্থান কর্তৃপক্ষ ৭১ বছর আগে এটি ভেঙে দিয়েছিলো।

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল ভাষাশহিদ সালামের কবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে। শহিদ রফিক ও সালামের কবরের স্থান দুটি ভেঙে দেয়া হলেও শহিদ পরিবারের সদস্যগণের নিকট কবরের অবস্থান জানা ছিল।

ইতোমধ্যেই শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়রকে কবরটি পাকা করার অনুমতি চেয়ে এবং কবর দুটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো:

প্রথমত, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের গবেষক অধ্যাপক এম এ বার্ণিকের প্রচেষ্টায় এবং ভাষাশহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ ও ভাষাশহিদ আব্দুস সালামের পরিবারের সহযোগিতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহিদ উক্ত দুজন ভাষাশহিদের অচিহ্নিত কবর দুটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, ইতোপূর্বে আরও ৩ জন ভাষাশহিদের কবর আজিমপুর কবরস্থানে পাকা করে যে প্রক্রিয়ায় স্থায়ী সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই শহিদ রফিক ও শহিদ সালামের কবর দুটি পাকা করে সংরক্ষণ করা আবশ্যক।
তৃতীয়ত, ব্যক্তিগতভাবে পাকা করার অনুমতি সাপেক্ষে পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় কবর দুটি পাকা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।

উক্ত কবরগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সদয় বিবেচনা কামনা করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাতিলের দাবীতে নাগরিক পরিষদের

SBN

SBN

৭২ বছর পর আজিমপুরে ভাষাশহিদ রফিকের কবর চিহ্নিত

আপডেট সময় ০৫:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা

৭২ বছর পর ভাষাশহিদ রফিকউদ্দিন আহমদের কবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে।১৬ বৈশাখ ১৪৩১ (২৯ এপ্রিল ২০২৪) দুপুরে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের গবেষক তথা জ্ঞানভিত্তিক সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক এম এ বার্ণিকের উদ্যোগে ভাষাশহিদ রফিকের ভাতিজা আবদুর রউফ কবরের স্থানটি শনাক্ত করেন।

আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহিদ বরকতের কবরের অব্যবহিত পূর্বেপার্শ্বে শহিদ রফিকের খবরটির অবস্থান নিশ্চিত করা হলো। শহিদ রফিকের ভাতিজা আবদুর রউফ কবরের স্থানটি দেখিয়ে দেয়ার পর, ভাষা-আন্দোলনের গবেষক হিসেব অধ্যাপক এম এ বার্ণিক সেটি সত্যায়ন ও প্রমিতকরণ করেন। এসময় সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনবিদ ড. শরিফ সাকি, কবি জান্নাতুন নাঈম ও সাংবাদিক সাজেদা হক। কবরটি চিহ্নিত করার পরপরই শহিদ রফিকের নামাঙ্কিত ফলক ঝুলিয়ে দেন তারা।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটায় বর্তমান কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রফিক শহিদ হন। কবরটি অস্থায়ী কবর ছিলো বিধায় আজিমপুর কবরস্থান কর্তৃপক্ষ ৭১ বছর আগে এটি ভেঙে দিয়েছিলো।

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল ভাষাশহিদ সালামের কবরটি চিহ্নিত করা হয়েছে। শহিদ রফিক ও সালামের কবরের স্থান দুটি ভেঙে দেয়া হলেও শহিদ পরিবারের সদস্যগণের নিকট কবরের অবস্থান জানা ছিল।

ইতোমধ্যেই শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়রকে কবরটি পাকা করার অনুমতি চেয়ে এবং কবর দুটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো:

প্রথমত, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের গবেষক অধ্যাপক এম এ বার্ণিকের প্রচেষ্টায় এবং ভাষাশহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ ও ভাষাশহিদ আব্দুস সালামের পরিবারের সহযোগিতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহিদ উক্ত দুজন ভাষাশহিদের অচিহ্নিত কবর দুটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, ইতোপূর্বে আরও ৩ জন ভাষাশহিদের কবর আজিমপুর কবরস্থানে পাকা করে যে প্রক্রিয়ায় স্থায়ী সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই শহিদ রফিক ও শহিদ সালামের কবর দুটি পাকা করে সংরক্ষণ করা আবশ্যক।
তৃতীয়ত, ব্যক্তিগতভাবে পাকা করার অনুমতি সাপেক্ষে পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় কবর দুটি পাকা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।

উক্ত কবরগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সদয় বিবেচনা কামনা করা হয়।