ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে ১ টি স্টিল নৌকাসহ ৩১টি ভারতীয় গরু আটক Logo পবায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো ১১৭টি আমগাছ Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ Logo চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ছোট ভাই’র ১ বছরের জেল ও সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা

এম ডি এন মাইকেল

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই সরফোরাজ হোসেন মৃদুলকে চেক ডিজঅনার মামলায় ১ বছরের কারাদন্ড ও তিন কোটি ষাট লক্ষ টাকা আদায়ের রায় দিয়েছে আদালত। আজ রবিবার দুপুরে মেহেরপুর আদালতের যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের রিচারক (২য়) কবির হোসেন এ রায় দেন।

মামলার বাদি দেবাশিশ বাগচি বলেন, ২০১৪ সালে ভাই ফরহাদ হোসেন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর দেবাশীষ বাগচিকে ব্যবসায়িক অংশীদার নিয়ে শুরু করেন ঠিকেদারি ব্যবসা। শরফোরাজ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠলে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক দিয়ে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেন দেবাশীষকে। সেই চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হলে মৃদুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে দেবাশীষ। মৃদুলও দেবাশীষের নামে চেক চুরির মামলা করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেন। বাড়িতে প্রশাসনের লোকজন পাঠিয়ে তার স্ত্রীকে মানসিক ও শাররিক নির্যাতন করে। এরপর স্বামী স্ত্রী বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। ৫ আগস্ট দেশের পরিবর্তন হলে তারা আত্মগোপন থেকে ফিরে আসে। তিনি আরো বলেন, আদালতের রায়ে খুশি হয়েছি। আমি আশা করি আদালতের মাধ্যমে দ্রুত পাওনা টাকা পাবো।

মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. খ.ম. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এম এ মতিন। উল্লেখ্য সরফরাজ হোসেন মৃদুল ২০১২ সালেও মেহেরপুর জেলা শহরের মহিলা কলেজমোড় সংলগ্ন প্রধান সড়কে ‘ওষুধ বিপনী’ নামে এক ফার্মেসির কর্মচারী ছিলেন।

দিনাতিপাত করতেন অতিকষ্টে। রেশনের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য নিতে দেখা গেছে তাকে। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ভাই সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নৌকার মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মৃদুলের ভাগ্য বদলে যায়। ২০১৫ সালে ভাগিয়ে নেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে বনে যান শত কোটি টাকার মালিক।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ছোট ভাই’র ১ বছরের জেল ও সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা

আপডেট সময় ০৩:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এম ডি এন মাইকেল

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই সরফোরাজ হোসেন মৃদুলকে চেক ডিজঅনার মামলায় ১ বছরের কারাদন্ড ও তিন কোটি ষাট লক্ষ টাকা আদায়ের রায় দিয়েছে আদালত। আজ রবিবার দুপুরে মেহেরপুর আদালতের যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের রিচারক (২য়) কবির হোসেন এ রায় দেন।

মামলার বাদি দেবাশিশ বাগচি বলেন, ২০১৪ সালে ভাই ফরহাদ হোসেন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর দেবাশীষ বাগচিকে ব্যবসায়িক অংশীদার নিয়ে শুরু করেন ঠিকেদারি ব্যবসা। শরফোরাজ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠলে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক দিয়ে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেন দেবাশীষকে। সেই চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হলে মৃদুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে দেবাশীষ। মৃদুলও দেবাশীষের নামে চেক চুরির মামলা করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেন। বাড়িতে প্রশাসনের লোকজন পাঠিয়ে তার স্ত্রীকে মানসিক ও শাররিক নির্যাতন করে। এরপর স্বামী স্ত্রী বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। ৫ আগস্ট দেশের পরিবর্তন হলে তারা আত্মগোপন থেকে ফিরে আসে। তিনি আরো বলেন, আদালতের রায়ে খুশি হয়েছি। আমি আশা করি আদালতের মাধ্যমে দ্রুত পাওনা টাকা পাবো।

মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. খ.ম. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এম এ মতিন। উল্লেখ্য সরফরাজ হোসেন মৃদুল ২০১২ সালেও মেহেরপুর জেলা শহরের মহিলা কলেজমোড় সংলগ্ন প্রধান সড়কে ‘ওষুধ বিপনী’ নামে এক ফার্মেসির কর্মচারী ছিলেন।

দিনাতিপাত করতেন অতিকষ্টে। রেশনের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য নিতে দেখা গেছে তাকে। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ভাই সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নৌকার মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মৃদুলের ভাগ্য বদলে যায়। ২০১৫ সালে ভাগিয়ে নেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে বনে যান শত কোটি টাকার মালিক।