ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘোড়া বর্ষের প্রতিপাদ্যে চীন-আরব সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন Logo একচীন নীতিতে পুনরায় সমর্থন জানাল তিন আরব দেশ Logo ম্যাকাও প্রধান নির্বাহীর কার্যপ্রতিবেদন শুনলেন প্রেসিডেন্ট সি Logo দাম ও মানের সমন্বয়ে মধ্যপ্রাচ্যে এগিয়ে চীনা অটোমোবাইল Logo টানা নবম বছর গ্যাস উৎপাদনে চীনের মাইলফলক Logo শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা Logo বরুড়ায় মরহুম হাজী নোয়াব আলী স্মৃতি স্মরনে ডাবল ফ্রিজ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে ১ টি স্টিল নৌকাসহ ৩১টি ভারতীয় গরু আটক Logo পবায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো ১১৭টি আমগাছ

কাজাখ তরুণের ওড়ার স্বপ্ন : তৃণভূমি থেকে নীল আকাশে

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৯:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

বসন্তের শেষে আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠছে। এটা সিনচিয়াংয়ের ইলি কাজাখ স্বায়ত্তশাসিত বান্নারের নারাত সিনিক এলাকার জন্য বছরের সবচেয়ে সুন্দর ঋতু।

হেলিকপ্টারের জানালা দিয়ে সূর্যের আলো এসে মৃদুভাবে মিরবেক তেলিউবেকের মুখের উপর পড়ে। ইলি নদী উপত্যকার উপরে আকাশে এই ২৩ বছর বয়সী কাজাখ তরুণ সুদর্শন পাইলট, কাজের পোশাক ও পেশাদার হেডসেট পরে, একটি রবিনসন আর ৪৪ হেলিকপ্টার ওড়ান ও সুশৃঙ্খলভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

মিরবেক তেলিউবেক একটি রাখাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর একজন পাইলট হওয়ার স্বপ্ন ছিল। ২০২৩ সালে কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি একটি সাধারণ বিমান সংস্থায় কাজ করা শুরু করেন এবং সফলভাবে হেলিকপ্টারের প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স ও বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স অর্জন করেন।

বর্তমানে মিরবেক তেলিউবেক আনুষ্ঠানিকভাবে সিনচিয়াং নারাত ইউবো জেনারেল কোম্পানিতে যোগদান করেছেন এবং একজন পেশাদার হেলিকপ্টার পাইলট হয়ে উঠেছেন। ককপিটে মিরবেক তেলিউবেক কেবল একজন দক্ষ পাইলটই নন, তিনি সিনচিয়াংয়ের সৌন্দর্যের একজন উৎসাহী প্রদর্শকও বটে। তিনি পর্যটকদের সামনে সিনচিয়াংয়ের সুন্দর দৃশ্য তুলে ধরেন; এখানকার বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর সুরেলা সহাবস্থানের হৃদয়গ্রাহী গল্প তুলে ধরেন; এবং তাঁর হেলিকপ্টার পাইলট হওয়ার পথে তার যাত্রার কথা শেয়ার করেন। এটি পর্যটকদের এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয় এবং তিনি একই সাথে পরিপূর্ণ ও খুশি বোধ করেন তিনি।

আকাশ ভ্রমণ প্রকল্পের পাশাপাশি, মিরবেক তেলিউবেকের কোম্পানি আশেপাশের খনি এলাকায় চিকিৎসা-উদ্ধার, আকাশ থেকে মাটিতে বীজ বপন এবং আকাশে নিষেকের মতো কাজও করে। পাইলটের লাইসেন্স পাওয়ার পর, তিনি ৪৩০ ঘন্টারও বেশি সময় আকাশে হেলিকপ্টার উড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি শিক্ষকের সার্টিফিকেট পেতে চাই, শিক্ষানবিশদের ট্রেনিং দিতে চাই। আমার মতো আরও পশুপালকের সন্তানদের নীল আকাশে উড়তে সাহায্য করতে চাই।

সূত্র : ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘোড়া বর্ষের প্রতিপাদ্যে চীন-আরব সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন

SBN

SBN

কাজাখ তরুণের ওড়ার স্বপ্ন : তৃণভূমি থেকে নীল আকাশে

আপডেট সময় ০৯:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

বসন্তের শেষে আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠছে। এটা সিনচিয়াংয়ের ইলি কাজাখ স্বায়ত্তশাসিত বান্নারের নারাত সিনিক এলাকার জন্য বছরের সবচেয়ে সুন্দর ঋতু।

হেলিকপ্টারের জানালা দিয়ে সূর্যের আলো এসে মৃদুভাবে মিরবেক তেলিউবেকের মুখের উপর পড়ে। ইলি নদী উপত্যকার উপরে আকাশে এই ২৩ বছর বয়সী কাজাখ তরুণ সুদর্শন পাইলট, কাজের পোশাক ও পেশাদার হেডসেট পরে, একটি রবিনসন আর ৪৪ হেলিকপ্টার ওড়ান ও সুশৃঙ্খলভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

মিরবেক তেলিউবেক একটি রাখাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর একজন পাইলট হওয়ার স্বপ্ন ছিল। ২০২৩ সালে কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি একটি সাধারণ বিমান সংস্থায় কাজ করা শুরু করেন এবং সফলভাবে হেলিকপ্টারের প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স ও বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স অর্জন করেন।

বর্তমানে মিরবেক তেলিউবেক আনুষ্ঠানিকভাবে সিনচিয়াং নারাত ইউবো জেনারেল কোম্পানিতে যোগদান করেছেন এবং একজন পেশাদার হেলিকপ্টার পাইলট হয়ে উঠেছেন। ককপিটে মিরবেক তেলিউবেক কেবল একজন দক্ষ পাইলটই নন, তিনি সিনচিয়াংয়ের সৌন্দর্যের একজন উৎসাহী প্রদর্শকও বটে। তিনি পর্যটকদের সামনে সিনচিয়াংয়ের সুন্দর দৃশ্য তুলে ধরেন; এখানকার বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর সুরেলা সহাবস্থানের হৃদয়গ্রাহী গল্প তুলে ধরেন; এবং তাঁর হেলিকপ্টার পাইলট হওয়ার পথে তার যাত্রার কথা শেয়ার করেন। এটি পর্যটকদের এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয় এবং তিনি একই সাথে পরিপূর্ণ ও খুশি বোধ করেন তিনি।

আকাশ ভ্রমণ প্রকল্পের পাশাপাশি, মিরবেক তেলিউবেকের কোম্পানি আশেপাশের খনি এলাকায় চিকিৎসা-উদ্ধার, আকাশ থেকে মাটিতে বীজ বপন এবং আকাশে নিষেকের মতো কাজও করে। পাইলটের লাইসেন্স পাওয়ার পর, তিনি ৪৩০ ঘন্টারও বেশি সময় আকাশে হেলিকপ্টার উড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি শিক্ষকের সার্টিফিকেট পেতে চাই, শিক্ষানবিশদের ট্রেনিং দিতে চাই। আমার মতো আরও পশুপালকের সন্তানদের নীল আকাশে উড়তে সাহায্য করতে চাই।

সূত্র : ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।