ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শেরপুর সদর -১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম Logo ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার’ শীর্ষক সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ Logo চীনের বক্স অফিস আয়ের ঐতিহাসিক রেকর্ড Logo ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত করবে Logo ২০২৪ সালে চীনের পরিষেবা শিল্প দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে Logo গুলশানে স্পা বাণিজ্যের জোরালো সিন্ডিকেট বিশেষ প্রতিনিধি Logo গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ফ্রিল্যান্সার সামিট উদ্বোধন Logo পলাশবাড়ীতে অবৈধভাবে রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগে দুই যুবক কারাগারে Logo খুলনায় পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ আটক-৪ Logo ঝিনাইগাতীতে দুই সার ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানা

ভূঞাপুরে অটোরিকশার যত্রতত্র পার্কিং, বেড়েছে যানজট, অতিষ্ঠ জনজীবন

ভূঞাপুর পৌর শহরের প্রতিটি পয়েন্টে যানজট এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না কেউই। ঠিক সময়ে স্কুল-কলেজ এমনকি মাদরাসায় যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

সড়কের দুপাশে ব্যাটারিচালিত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ পৌরবাসীর। এর জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের অবহেলা ও তদারকির অভাবকে দায়ী করছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার একটু দূরেই আজমতের মোড় থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু এ পয়েন্টে সড়কের দুপাশ দখল করে অটোরিকশার পার্কিং গড়ে উঠেছে। ভূঞাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ভূঞাপুর বাজার, হাসপাতাল রোড, থানার সামনে, কলেজের সামনে, ইবরাহিম খাঁর মাজারের সামনে এমনকি বাসস্ট্যান্ড সহ ৬/৭ টি পয়েন্টে অটোরিকশার অবৈধ পার্কিং গড়ে ওঠায় প্রতিনিয়ত যানজট লাগছে। শহর ঘুরে দেখা যায়, অটোরিকশার চালকরা ইচ্ছে মতো যেখানে খুশি সেখানে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন আবার রাস্তার মধ্যেই গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের তুলছেন। এতে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও।

ভূঞাপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যানজটের কারণে নাজেহাল অবস্থা থাকে। গুরুত্বপূর্ণ কাজে রিকশা দিয়ে যে জায়গায় ৫ মিনিটে যাওয়ার কথা সেই জায়গায় পৌঁছাতে ২০ মিনিট লাগছে। ফলে অনেক সময় হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এই যানজট নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।’

থানা মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সুজন বলেন, ‘দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে অটোরিকশায় যাত্রী তোলা হয়। কিছু বললে চালক উল্টো আমাদের গালাগালি করে। আসলে শহরের যানজটের বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে উপজেলা ইজিবাইক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাবু বলেন, পৌরসভার অনুমোদিত সাড়ে ৬০০ অটোরিকশা চলাচল করছে। লাইসেন্সবিহীন অনেক অটোরিকশা শহরের ঢুকে পড়লে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে আমরা লক্ষ্য রাখছি।

ভূঞাপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরজু বলেন, ” ভূঞাপুর বাজারের এই যানজট নিরসনে ইতিমধ্যে আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”

ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, “বাজারের যানজট নিরসনে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে পুলিশ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করলে যারা অবৈধ পার্কিং গড়ে তুলেছে তাদের উচ্ছেদ করতে সহজ হবে।”

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুর সদর -১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম

SBN

SBN

ভূঞাপুরে অটোরিকশার যত্রতত্র পার্কিং, বেড়েছে যানজট, অতিষ্ঠ জনজীবন

আপডেট সময় ১১:৪৬:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

ভূঞাপুর পৌর শহরের প্রতিটি পয়েন্টে যানজট এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না কেউই। ঠিক সময়ে স্কুল-কলেজ এমনকি মাদরাসায় যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

সড়কের দুপাশে ব্যাটারিচালিত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ পৌরবাসীর। এর জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের অবহেলা ও তদারকির অভাবকে দায়ী করছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার একটু দূরেই আজমতের মোড় থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু এ পয়েন্টে সড়কের দুপাশ দখল করে অটোরিকশার পার্কিং গড়ে উঠেছে। ভূঞাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ভূঞাপুর বাজার, হাসপাতাল রোড, থানার সামনে, কলেজের সামনে, ইবরাহিম খাঁর মাজারের সামনে এমনকি বাসস্ট্যান্ড সহ ৬/৭ টি পয়েন্টে অটোরিকশার অবৈধ পার্কিং গড়ে ওঠায় প্রতিনিয়ত যানজট লাগছে। শহর ঘুরে দেখা যায়, অটোরিকশার চালকরা ইচ্ছে মতো যেখানে খুশি সেখানে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন আবার রাস্তার মধ্যেই গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের তুলছেন। এতে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও।

ভূঞাপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যানজটের কারণে নাজেহাল অবস্থা থাকে। গুরুত্বপূর্ণ কাজে রিকশা দিয়ে যে জায়গায় ৫ মিনিটে যাওয়ার কথা সেই জায়গায় পৌঁছাতে ২০ মিনিট লাগছে। ফলে অনেক সময় হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এই যানজট নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।’

থানা মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সুজন বলেন, ‘দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে অটোরিকশায় যাত্রী তোলা হয়। কিছু বললে চালক উল্টো আমাদের গালাগালি করে। আসলে শহরের যানজটের বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে উপজেলা ইজিবাইক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাবু বলেন, পৌরসভার অনুমোদিত সাড়ে ৬০০ অটোরিকশা চলাচল করছে। লাইসেন্সবিহীন অনেক অটোরিকশা শহরের ঢুকে পড়লে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে আমরা লক্ষ্য রাখছি।

ভূঞাপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরজু বলেন, ” ভূঞাপুর বাজারের এই যানজট নিরসনে ইতিমধ্যে আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”

ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, “বাজারের যানজট নিরসনে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে পুলিশ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করলে যারা অবৈধ পার্কিং গড়ে তুলেছে তাদের উচ্ছেদ করতে সহজ হবে।”