ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার চার

মো: নাজমুল হোসেন ইমন,মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: মানিকগঞ্জে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে মোবাইলে স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার কাওয়ালিপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার উত্তর হাতকোড়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন, একই উপজেলার নান্দেশ্বরী গ্রামের নূর মোহাম্মদ, মো. আনোয়ার হোসেন ও চাইরপাড়া গ্রামের শহিদুল্লাহ।রোববার (১১ জুন) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৪, সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
মো. আরিফ হোসেন জানান, ধর্ষণের শিকার নারী একজন পোশাকশ্রমিক। গত ১৫ মে ভিকটিমকে নিয়ে তার এক বান্ধবী তোফাজ্জেল হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান। সে সময় সুকৌশলে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর নেয় তোফাজ্জেল। পরে বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমের মোবাইলে কল দিয়ে তার বান্ধবী সম্পর্কে জানতে চাইত। গত শুক্রবার (৯ জুন) তোফাজ্জেল ভিকটিমের মোবাইলে কল দিয়ে দেখা করার কথা বলে কৌশলে ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া বাজারে আসতে বলে। ভিকটিম ওই স্থানে গেলে তোফাজ্জেল অন্য সহযোগীদের নিয়ে মুখ চেপে ধরে উত্তর হাতকোড়া এলাকার সাদেক কোম্পানির ইটভাটার উত্তর পাশের ক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তোফাজ্জেল, নুর মোহাম্মদ ও শহিদুল্লাহ ভিকটিমের বিবস্ত্র শরীরের স্থিরচিত্র ও ভিডিও করে হুমকি দিয়ে বলে, এখন থেকে যেকোনো সময় ডাকলে তাদের কাছে আসতে হবে। তা না হলে ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ আত্মীয়স্বজনের কাছে পাঠিয়ে দেবে। আর এসব বিষয় পুলিশকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।
তিনি আরও জানান, তোফাজ্জেল ১০ জুন ভিকটিমকে ফোন দিয়ে বিকেল ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার কাওয়ালিপাড়া বাজারের ফাইভ স্টার হোটেলে যেতে বলে। তা না হলে ভিডিও ও স্থিরচিত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় ভিকটিম কোনো উপায় না পেয়ে মানিকগঞ্জ র‌্যাব অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গতকাল (শনিবার) ধামরাই উপজেলার কাওয়ালিপাড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তারা আরও জানায়, তোফাজ্জেল হোসেন এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। তাদের থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার চার

আপডেট সময় ০৫:২৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

মো: নাজমুল হোসেন ইমন,মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: মানিকগঞ্জে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে মোবাইলে স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার কাওয়ালিপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার উত্তর হাতকোড়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন, একই উপজেলার নান্দেশ্বরী গ্রামের নূর মোহাম্মদ, মো. আনোয়ার হোসেন ও চাইরপাড়া গ্রামের শহিদুল্লাহ।রোববার (১১ জুন) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৪, সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
মো. আরিফ হোসেন জানান, ধর্ষণের শিকার নারী একজন পোশাকশ্রমিক। গত ১৫ মে ভিকটিমকে নিয়ে তার এক বান্ধবী তোফাজ্জেল হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান। সে সময় সুকৌশলে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর নেয় তোফাজ্জেল। পরে বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমের মোবাইলে কল দিয়ে তার বান্ধবী সম্পর্কে জানতে চাইত। গত শুক্রবার (৯ জুন) তোফাজ্জেল ভিকটিমের মোবাইলে কল দিয়ে দেখা করার কথা বলে কৌশলে ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া বাজারে আসতে বলে। ভিকটিম ওই স্থানে গেলে তোফাজ্জেল অন্য সহযোগীদের নিয়ে মুখ চেপে ধরে উত্তর হাতকোড়া এলাকার সাদেক কোম্পানির ইটভাটার উত্তর পাশের ক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তোফাজ্জেল, নুর মোহাম্মদ ও শহিদুল্লাহ ভিকটিমের বিবস্ত্র শরীরের স্থিরচিত্র ও ভিডিও করে হুমকি দিয়ে বলে, এখন থেকে যেকোনো সময় ডাকলে তাদের কাছে আসতে হবে। তা না হলে ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ আত্মীয়স্বজনের কাছে পাঠিয়ে দেবে। আর এসব বিষয় পুলিশকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।
তিনি আরও জানান, তোফাজ্জেল ১০ জুন ভিকটিমকে ফোন দিয়ে বিকেল ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার কাওয়ালিপাড়া বাজারের ফাইভ স্টার হোটেলে যেতে বলে। তা না হলে ভিডিও ও স্থিরচিত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় ভিকটিম কোনো উপায় না পেয়ে মানিকগঞ্জ র‌্যাব অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গতকাল (শনিবার) ধামরাই উপজেলার কাওয়ালিপাড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তারা আরও জানায়, তোফাজ্জেল হোসেন এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। তাদের থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।