ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভারত শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাবে:ওয়াং ই’র ফোনালাপ Logo যুদ্ধবিরতি অর্জন জন্য চীনকে পাকিস্তানের ধন্যবাদ : ওয়াং ই’র ফোনালাপ Logo সুইজারল্যান্ডে চীন-মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মতৈক্য Logo ঝিনাইগাতীতে সমলয় পদ্ধতিতে বোর ধান কর্তনের উদ্বোধন Logo রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ Logo যাত্রাবাড়ী থানার ৬১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মিসভা অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ময়মনসিংহ জেলা কমিটি অনুমোদিত Logo চাঁদপুরে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা মূল্যের ২৫ কেজি গাজা জব্দ Logo মাতৃত্ব নয় বরং মাকে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মহিমান্বিত করুন : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী Logo ৮ বছরে ও সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি কোরপাই মনঘাটা-আবিদপুর সড়কে

অপহরণের ৫ বছর পর বাবা–মায়ের কাছে ফিরলেন সামাউন

মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁও

অপহরণের পাঁচ বছর পর মা-বাবার কাছে ফিরেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তরুণ সামাউন আলী (২০)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে অপহরণকারীরা তাঁকে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তায় ছেড়ে যায়। সেখান থেকে পুলিশ ও স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করেন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উদ্ধার হওয়া সামাউন ভানোর ইউনিয়নের গোগবস্তি গ্রামের আব্দুস সোবহানের একমাত্র ছেলে।

পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঁচ বছর আগে সামাউনকে নিয়ে যান চাচাতো ভাই জমিরুল ইসলাম ওরফে মিঠুন। নিয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর তাঁর সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সোবহান একাধিকবার ছেলেকে ফেরত চান মিঠুনের কাছে। মিঠুন ফেরত পাঠানোর কথা বলে কয়েক দফা টাকাও নিয়েছেন সামাউনের বাবার কাছ থেকে। কিন্তু তাঁর ছেলেকে আর ফেরত দেননি।

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছেলেকে খোঁজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সাত মাস আগে ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করেন সোবহান। এতে মিঠুন ও তাঁর বাবা আব্দুল খালেককে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশকে এটি এজাহার হিসেবে রুজু ও সামাউনকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন।

উদ্ধার হওয়া সামাউন জানান, তাঁকে নরসিংদী জেলার কোনো এক গুদামে নিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি কাজ করতেন, বেতন তুলে নিতেন অন্য কেউ। কিছুদিন এভাবে চলার পর সবার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন, কিছুই বলতে পারছেন না। তবে তাঁকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সামাউনের বাবা সোবহান বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে সালিস বসিয়ে একাধিকবার ছেলেকে ফেরতে চেয়েছি। অভিযুক্তরা কোনো কথা শোনেনি। গ্রামবাসীর পরামর্শে মামলা করার পর পুলিশ যখন আসামিদের ধরতে চাইল, তখন তারা ছেলেকে ফেরত দিল।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দিবাকর বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর মামলার তদন্ত শুরু করি। পুলিশের তৎপরতা অপহরণকারীরা বুঝতে পেরে ছেলেটিকে ঘটনাস্থলে ছেড়ে পালিয়েছে। শনিবার বিকেলে আমরা আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছেলেটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব। ছেলেটিকে অসুস্থ মনে হচ্ছে। তার চিকিৎসার প্রয়োজন।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাবে:ওয়াং ই’র ফোনালাপ

SBN

SBN

অপহরণের ৫ বছর পর বাবা–মায়ের কাছে ফিরলেন সামাউন

আপডেট সময় ০৭:০৭:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁও

অপহরণের পাঁচ বছর পর মা-বাবার কাছে ফিরেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তরুণ সামাউন আলী (২০)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে অপহরণকারীরা তাঁকে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তায় ছেড়ে যায়। সেখান থেকে পুলিশ ও স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করেন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উদ্ধার হওয়া সামাউন ভানোর ইউনিয়নের গোগবস্তি গ্রামের আব্দুস সোবহানের একমাত্র ছেলে।

পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঁচ বছর আগে সামাউনকে নিয়ে যান চাচাতো ভাই জমিরুল ইসলাম ওরফে মিঠুন। নিয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর তাঁর সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সোবহান একাধিকবার ছেলেকে ফেরত চান মিঠুনের কাছে। মিঠুন ফেরত পাঠানোর কথা বলে কয়েক দফা টাকাও নিয়েছেন সামাউনের বাবার কাছ থেকে। কিন্তু তাঁর ছেলেকে আর ফেরত দেননি।

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছেলেকে খোঁজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সাত মাস আগে ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করেন সোবহান। এতে মিঠুন ও তাঁর বাবা আব্দুল খালেককে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশকে এটি এজাহার হিসেবে রুজু ও সামাউনকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন।

উদ্ধার হওয়া সামাউন জানান, তাঁকে নরসিংদী জেলার কোনো এক গুদামে নিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি কাজ করতেন, বেতন তুলে নিতেন অন্য কেউ। কিছুদিন এভাবে চলার পর সবার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন, কিছুই বলতে পারছেন না। তবে তাঁকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সামাউনের বাবা সোবহান বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে সালিস বসিয়ে একাধিকবার ছেলেকে ফেরতে চেয়েছি। অভিযুক্তরা কোনো কথা শোনেনি। গ্রামবাসীর পরামর্শে মামলা করার পর পুলিশ যখন আসামিদের ধরতে চাইল, তখন তারা ছেলেকে ফেরত দিল।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দিবাকর বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর মামলার তদন্ত শুরু করি। পুলিশের তৎপরতা অপহরণকারীরা বুঝতে পেরে ছেলেটিকে ঘটনাস্থলে ছেড়ে পালিয়েছে। শনিবার বিকেলে আমরা আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছেলেটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব। ছেলেটিকে অসুস্থ মনে হচ্ছে। তার চিকিৎসার প্রয়োজন।’